রাজা চট্টোপাধ্যায়, জলপাইগুড়ি : সাত সকালে চা বাগানে (Tea Garden) ঢুকে পড়ল ৩৫টি হাতির একটি দল। আতঙ্ক ছড়াল বানারহাটের (Banarhat) মগোলকাটা চা বাগানে।


রবিবার শ্রমিকরা ঘুম থেকে উঠে কাজে যোগ দিতে যাচ্ছিলেন। সেই সময় তাঁরা দেখতে পান, বাগানে প্রায় ৩৫টি হাতির একটি দল ঘুরে বেড়াচ্ছে। এই দৃশ্য দেখে আতঙ্কিত হয়ে পড়েন শ্রমিকরা। সঙ্গে সঙ্গে বিষয়টি বিন্নাগুড়ি বন্যপ্রাণী স্কোয়াডের কর্মীদের জানানো হয়। খবর পাওয়া মাত্রই ঘটনাস্থলে ছুটে আসেন বনকর্মীরা।
 
স্থানীয়রা জানান, শনিবার গভীর রাতে হাতির দলটি ডায়নার জঙ্গল থেকে বেরিয়ে প্রথমে মোগলকাটা বস্তিতে (Slum) ঢুকে পড়ে। সেখানে ধানখেতে রাতভর খাবার খেয়ে, সকালের দিকে জঙ্গলে ফেরার সময় সূর্যের আলো ফুটে ওঠায় চা বাগানের মাঝে দাঁড়িয়ে পড়ে।


হাতির দলে বেশ কয়েকটি শাবক ছিল বলে জানিয়েছেন স্থানীয়রা। দলটি এখনও চা বাগানে দাপিয়ে বেড়াচ্ছে। কখনো শ্রমিক মহল্লায়, আবার কখনো ধান খেতে ঢুকে পড়ছে। বনকর্মীরা হাতিগুলিকে জঙ্গলে ফেরানোর চেষ্টা চালাচ্ছেন।


ভাল্লুকের জন্য পাতা খাঁচায় চিতা !


প্রসঙ্গত, গতকাল বন দফতরের পাতা খাঁচায় ধরা পড়ে একটি পূর্ণ বয়স্ক পুরুষ চিতাবাঘ। মেটেলি ব্লকের কিলকোট চা বাগানের ঘটনা। ঘটনায় শোরগোল পড়ে যায়।


সপ্তাহ দু'য়েক আগে বাগানের ১২ ও ১৩ নম্বর সেকশনের মধ্যবর্তী এলাকায় বন দফতরের তরফে ওই খাঁচা পাতা হয়। গতকাল ভোরে বাগানের মানুষ ওই এলাকায় চিতাবাঘের গর্জন শুনতে পায়। কাছে গিয়ে দেখা যায়, একটি চিতাবাঘ খাঁচার মধ্যে ধরা পড়েছে। এদিক ওদিক ছোটাছুটি করছে। খাঁচায় চিতাবাঘ ধরা পড়ার খবর চাউর হতেই এলাকায় বহু মানুষ জড়ো হয়ে যায়। খবর দেওয়া হয় বন দফতরের খুনিয়া স্কোয়াডে। বনকর্মীরা এসে খাঁচা-সহ চিতাবাঘটিকে গরুমারায় নিয়ে যায়। 


সপ্তাহ দুয়েক আগে কিলকোট চা বাগানে ভাল্লুকের আতঙ্ক ছড়িয়েছিল। বাগানে কাজ করার সময় শ্রমিকরা ভাল্লুক দেখতে পায় বলে দাবি করে। ওইদিনই বনকর্মীরা এসে ভাল্লুকের খোঁজ চালালেও কোনও হদিশ মেলেনি। এরপর ভাল্লুক ধরার জন্য বন দফতরের তরফে খাঁচা বসানো হয়। সেই খাঁচায় এদিন ওই চিতাবাঘটি ধরা পড়ে বলে জানা যায়।


আরও পড়ুন ; ভাল্লুকের জন্য পাতা খাঁচায় ধরা পড়ল পূর্ণ বয়স্ক চিতা !