ঋত্বিক প্রধান, পূর্ব মেদিনীপুর: রক্তাক্ত অবস্থায় এক যুবকের দেহ উদ্ধার (Body Rescue) করল কাঁথি থানার পুলিশ (Police)। তাঁকে খুন (Murder Case) করা হয়েছে বলে অভিযোগ এলাকার বাসিন্দাদের। মৃতের নাম নিমাই জানা (Nimai Jana)। মৃত্যুকালীন বয়েস হয়েছিল তার ৪০ বছর। জানা গিয়েছে, নিমাই জানা কাঁথি -১ব্লকের বহলিয়া গ্রামের বাসিন্দা। 
 


পঞ্চায়েত ভোটের আগে ক্রমশ অপরাধের সংখ্যা বেড়েই চলেছে। কোথাও বোমা উদ্ধার, কোথায় আবার দেহ উদ্ধার করা হয়েছে। তবে এই ঘটনার সঙ্গে কোনও রাসায়নিক সূত্র আছে কিনা, তা এখনও জানা যায়নি। এদিন বিকেলে এই ঘটনাকে কেন্দ্র করে উত্তপ্ত হয়ে ওঠে এলাকা। স্থানীয় সূত্রে জানা গিয়েছে,কয়েকদিন ধরে নিমাইর সঙ্গে প্রতিবেশীদের পারিবারিক বিবাদ চলছিল। তারপর এদিন বিকেলে তাকে রক্তাক্ত অবস্থায় বাড়ি থেকে বেরোনোর রাস্তায় পড়ে থাকতে দেখেন এলাকার মানুষজন। শরীরের বিভিন্ন জায়গায় আঘাতের চিহ্ন ছিল বলে প্রত্যক্ষদর্শীদের দাবি। পরে খবর পেয়ে সেখানে যায় কাঁথি থানার পুলিশ। তাঁরা মৃতদেহটি উদ্ধার করে। কারা এই খুনের ঘটনা ঘটিয়েছে সে ব্যাপারে তদন্ত শুরু করেছে পুলিশ।


প্রসঙ্গত, পঞ্চায়েত ভোটের আগে একাধিক জেলায় দেহ উদ্ধারের ঘটনা ঘটেছে। উত্তর ২৪ পরগনায় অশোকনগর থানার হিজলিয়া এলাকায় অশোকনগর কল্যাণগড় পুরসভার ভ্যাটের পাশ থেকে উদ্ধার হয়েছে এক ব্যক্তির পচাগলা মৃতদেহ। এলাকাটি হাবরা-নৈহাটি রোডের পার্শ্ববর্তী এলাকা। তদন্তকারীদের প্রাথমিক অনুমান ওই এলাকায় বাইরে থেকে কেউ বা কারা দেহটি ফেলে গিয়েছে।স্থানীয় বাসিন্দারা জানাচ্ছেন, দেহটি উল্টো করে কাদার মধ্যে মুখ ঢোকানো অবস্থায় পড়েছিল। স্থানীয় এক বাসিন্দা সকালবেলা ওই অবস্থায় দেহটি দেখতে পান। তারপরেই খবর দেওয়া হয় অশোকনগর থানায়। পুলিশ এসে দেহটি উদ্ধার করে অশোকনগর স্টেট জেনারেল হাসপাতালে পাঠিয়েছে। পরে তা ময়নাতদন্তের জন্য নিয়ে যাওয়া হয়েছে। দেহ উদ্ধারের ঘটনায় ইতিমধ্যেই চাঞ্চল্য ছড়িয়েছে এলাকায়।


আরও পড়ুন, চিকেন পক্সে রাজ্যে পরপর মৃত্যু, ফেব্রুয়ারিতে না ফেরার দেশে কজন ?


উত্তর ২৪ পরগনার অশোকনগরেই একটি মেস থেকে একদিন আগেই উদ্ধার হয়েছে এক কলেজ পড়ুয়ার দেহ। দেহের গলা ও দেহে ধারাল অস্ত্র দিয়ে কোপানোর চিহ্ন মিলেছিল। খাটের নীচ থেকে উদ্ধার হয়েছিল ক্ষতবিক্ষত দেহ। ১৯ বছরের নার্সিং পড়ুয়া উদ্ধব সরকার পড়তেন অশোকনগর নার্সিং ট্রেনিং কলেজে। পুলিশ সূত্রে খবর, অশোকনগর থানা এলাকার কচুয়ায় এই বাড়িতে মেস করে থাকতেন নিহত পড়ুয়া উদ্ধব সহ ৪ জন। ৪ জনেরই বাড়ি দক্ষিণ দিনাজপুরের গঙ্গারামপুরে। ২ জন বাড়ি চলে যান। মেসে ছিলেন উদ্ধব ও বিক্রম সরকার।  স্থানীয় সূত্রে দাবি, সকালে বিক্রমকে মেসে তালা দিয়ে চলে যেতে দেখা যায়। তারপরে টানা ফোন করেও উদ্ধবের বাড়ির লোকজন তাঁকে পাননি। মোবাইল ফোন সুইচড অফ ছিল। তাঁরাই খবর দেন মেসের মালিককে। মেস মালিক পুলিশকে খবর দেওয়ার পর পুলিশ এসে দরজা ভেঙে খাটের নীচ থেকে রক্তাক্ত দেহ উদ্ধার করে। মেসের মালিকের দাবি, পড়ুয়াদের ব্যবহারের জন্য তিনি যে রেফ্রিজারেটর রেখেছিলেন। তার মধ্যে তাঁর একটি ছুরি ছিল। ঘটনার পর থেকে সেই ছুরি উধাও।