বিটন চক্রবর্তী, পূর্ব মেদিনীপুর: ফের ডান্ডা মেরে ঠান্ডা করার নিদান দিতেই বিতর্কে জড়ালেন বিজেপি রাজ্য সভাপতি সুকান্ত মজুমদার (Sukanta Majumdar)।গতকাল পূর্ব মেদিনীপুরের নন্দকুমারে বিজেপির কর্মী সম্মেলনের মঞ্চ থেকে তিনি দলের কর্মীদের উদ্দেশে বলেন, বড় ডান্ডা হাতের কাছে রাখুন। তৃণমূলের কেউ যদি অন্যরকম কিছু করে, এখানে তৃণমূলের যে শেখ সুফিয়ান আছেন, তাঁরা যদি কিছু করেন, তাহলে আগে ডান্ডা দিয়ে সোজা করে দেবেন। তাঁর পরামর্শ, পরে যেন কর্মীরা তাঁকে জানান, দাদা, কোর্স কমপ্লিট হয়ে গেছে। তার বক্তব্য, সিপিএম ৩৫ বছরে আমার কিছু করতে পারেননি আর উনি কি করবেন। পাশাপাশি এদিনের সভা মঞ্চ থেকে পুলিশকেও হুঁশিয়ারি দেন সুকান্ত মজুমদার।


প্রসঙ্গত,পঞ্চায়েত ভোটে (Panchayat Election) কাঠি পড়তেই অস্ত্র-হুঙ্কার, প্রয়োজনে হাতে অস্ত্র তুলে নেওয়ার হুঁশিয়ারি, রাজ্য বিজেপির সভাপতির সুকান্ত মজুমদারের (Sukanta Majumdar)। বর্ধমানে বিজয়া সম্মিলনীর মঞ্চ থেকে সুকান্ত মজুমদার হুঁশিয়ারি দিয়ে বলেন, ‘ধমক-চমক আর দেখতে রাজি নই। মায়ের উপর আঘাত এলে হাতে অস্ত্র তুলতে বাধ্য হব।' সুকান্ত মজুমদার বলেন, ’দড়ি ধরে মারো টান, রাজা হবে খান খান। আমরাও এ রাজাকে খান খান করে ছাড়ব। এই রানিকে খান খান করে ছাড়ব। তার জন্য লড়াইয়ের জন্য প্রস্তুত হতে হবে। কাউকে চোখ দেখাবে, ধমকাবে, চমকাবে, আমরা একবছর দেখে নিয়েছি আর আমরা দেখতে রাজি নই। তৃণমূল কংগ্রেস এবং পুলিশ প্রশাসনকে আমরা পরিষ্কারভাবে বলতে চাই যে, আমরা গণতান্ত্রিক পদ্ধতিতে বিশ্বাস করি যে, আমরা শান্তিপ্রিয় ছেলে মায়ের, কিন্তু প্রয়োজনে অস্ত্র হাতে তুলতেও ভয় পাই না। মায়ের ওপর যখন আঘাত আসবে, তখন আমরা অস্ত্র ধরতে বাধ্য হই। আগামী দিনে পঞ্চায়েত নির্বাচন আসছে নিজের নিজের অঞ্চলকে নিজের নিজের দুর্গে পরিণত করুন, যাতে তৃণমূল কংগ্রেস ভোট লুট করতে না পারে, এই প্রতিজ্ঞা করুন, তবেই বিজয়া সম্মিলনী সফল হবে।'


আরও পড়ুন, গুজরাতে সেতু বিপর্যয়ে 'কাটমানি' নিয়ে বিস্ফোরক কুণাল, টুইটে তোপ বিজেপিকে


প্রসঙ্গত, পঞ্চায়েত নির্বাচন (Panchayat Election 2023) নিয়ে বড় খবর। সম্ভবত আগামী বছর মার্চ-এপ্রিলে পঞ্চায়েত নির্বাচন হতে পারে, ইঙ্গিত রাজ্য নির্বাচন কমিশনের (State Election Commission)। রাজ্য পুলিশ দিয়েই পঞ্চায়েত ভোট, এমনই ইঙ্গিত কমিশন-প্রশাসন সূত্রে। সেই মতো বুধবার  ২০টি জেলার আসন বিন্যাস-আসন সংরক্ষণ নিয়ে খসড়া তালিকা প্রকাশ করা হবে। জানুয়ারিতে প্রকাশিত হতে পারে নির্বাচনী বিজ্ঞপ্তি। ভোটগ্রহণ সম্ভবত মার্চ-এপ্রিল মাসে। নির্বাচন কমিশন সূত্রে জানা যাচ্ছে,  ২০টি জেলার খসড়া তালিকা নিয়ে কোনও রাজনৈতিক দলের কোনও রকম সমস্যা থাকলে ২ নভেম্বর পর্যন্ত জেলাশাসক এবং নির্বাচন কমিশনের কাছে অভিযোগ জানানো যাবে। তার পর নভেম্বরের শেষে চূড়ান্ত তালিকা প্রকাশ। এখনও পর্যন্ত রাজ্য পুলিশ দিয়েই ভোট করানোর পরিকল্পনা রয়েছে।পঞ্চায়েত নির্বাচন নিয়ে আগামী বছর জানুয়ারি মাসে আনুষ্ঠানিক বিজ্ঞপ্তি প্রকাশ করা হবে। তবে ফেব্রুয়ারির আগে ভোট হওয়ার সম্ভাবনা নেই বলে কমিশন সূত্রে খবর। ডিসেম্বর মাসে প্রধান, উপপ্রধান, সভাপতি, সহ সভাপতি, সভাধিপতি পদ সংরক্ষণের কাজ শুরু হবে।