পূর্ব মেদিনীপুর: এবার শান্তিকুঞ্জেই জনসংযোগে যাওয়ার পরামর্শ দিলেন তৃণমূলের রাজ্য সাধারণ সম্পাদক কুণাল ঘোষ (Kunal Ghosh)। দলের মহিলা কর্মীদের উদ্দেশে বললেন, 'তমলুকের সাংসদ দিব্যেন্দু অধিকারীর স্ত্রীকে দিয়েই জনসংযোগ শুরু করুন।' 'বিজেপির ঘরে ভিক্ষা করতে হচ্ছে তৃণমূলকে', কটাক্ষ গেরুয়া শিবিরের। ফের তৃণমূল-বিজেপি আঁতাতের অভিযোগে সরব হল সিপিএম।
শান্তিকুঞ্জেই জনসংযোগে যাওয়ার পরামর্শ কুণাল ঘোষের
তৃণমূল কংগ্রেসের রাজ্য সাধারণ সম্পাদক কুণাল ঘোষ বলেন, 'মহিলারা একটু বেশি করে দায়িত্ব নিন। কারণ বাড়ির ভিতর থেকে ঢুকে ওদের ভোটটা বের করে আনতে হবে। বোঝান। একদিন দেখা করবে না, দু’দিন দেখা করবে। রাস্তায় ধরুন। কোনও ঝগড়াঝাটি নয়। দিব্যেন্দু অধিকারীর বউকে দিয়ে শুরু করুন। খোদ তমলুকের সাংসদ দিব্যেন্দু অধিকারীর স্ত্রীকে দিয়ে জনসংযোগ প্রক্রিয়া শুরু করার কথাও বললেন তিনি।' তিনি আরও বলেন, 'মহিলারা একটু বেশি করে দায়িত্ব নিন। কারণ বাড়ির ভিতর থেকে ঢুকে ওদের ভোটটা বের করে আনতে হবে। বোঝান। একদিন দেখা করবে না, দু’দিন দেখা করবে। রাস্তায় ধরুন। কোনও ঝগড়াঝাটি নয়। দিব্যেন্দু অধিকারীর বউকে দিয়ে শুরু করুন। মহিলারও তো দুঃখ থাকে। ভাসুরের জন্য স্বামীর...যাচ্ছে। ফলে তাকে আপনি...কথা বলুন। তিনিও নিশ্চয়ই কোনও যুক্তিসম্মত কথা বলার মহিলা হবেন। তাদের সঙ্গে কথা বলুন। যারা ঘোষিতভাবে বিজেপি। যারা ঘোষিতভাবে আমাদের বিরোধিতা করেছে।'
আরও পড়ুন, ১২৬ বছর বয়েসে নিজেই হেঁটে এলেন শহরে, দেশের অনুপ্রেরণা পদ্মশ্রী স্বামী শিবানন্দ
'বিজেপির ঘরে ভিক্ষা করতে হচ্ছে তৃণমূলকে', বলেন রাহুল সিন্হা
'বিজেপির ঘরে ভিক্ষা করতে হচ্ছে তৃণমূলকে', পাল্টা আক্রমণ করেন রাহুল সিন্হা। তার সংযোজন,' যে কোনও রাজনৈতিক দল যে কোনও বাড়িতে প্রচারে যেতেই পারে। যদি তাদের কোনও আপত্তি না থাকে। তৃণমূলের এমন অবস্থা হয়েছে বিজেপির ঘরে ভিক্ষে করতে যেতে হচ্ছে'। তৃণমূল ও বিজেপির মধ্যে জনসংযোগ তরজা চললেও, এর নেপথ্যে অন্য সমীকরণ দেখছে সিপিএম। সিপিএমের কেন্দ্রীয় কমিটির সদস্য সুজন চক্রবর্তী বলেন, 'মোদির কাছে দিদি আত্মসমর্পণ করেছে। আর দিদির কাছে শুভেন্দু। আঁতাঁত। এগুলো আইওয়াশ।'কুণাল ঘোষ আরও বলেন যে, ' এটা আমি কথায় কথায় বলেছি। যে আমি যেটুকু শুনেছি যে, দিব্যেন্দুর স্ত্রীও অত্যন্ত যুক্তিসম্মত কথাবার্তা শোনেন। আমি কথার কথা বলছি, তিনিও তো একজন সাংসদের স্ত্রী। শিশির বাবুর স্ত্রীও একজন সাংসদের স্ত্রী। তো তাহলে আমাদের মহিলা যারা আছেন, তাঁরা তাঁদের সঙ্গে দেখা করে স্কিমগুলো বোঝান। ফলে শুধু তো তাঁরা নন, এটা একটা প্রতীক।'