বিটন চক্রবর্তী, পূর্ব মেদিনীপুর: খোদ শুভেন্দু অধিকারীর (Suvendu Adhikri) জেলাতেই বিভিন্ন পঞ্চায়েতে বোর্ড গড়তে হাত মেলাল তৃণমূল (TMC) ও বিজেপি (BJP)। নন্দীগ্রাম (Nandigram) ১ নম্বর ব্লকে মহম্মদপুর পঞ্চায়েতে বিজেপির (BJP) সমর্থনে বোর্ড গড়ল তৃণমূল! ঘটনার নেপথ্যে ফের প্রকাশ্যে চলে এল শাসকের কোন্দল। মহিষাদলের নাটশালেও বিজেপির সমর্থনে বোর্ড গড়েছে তৃণমূল। তমলুকের বিষ্ণুবাড়ে আবার তৃণমূলের সমর্থনে বোর্ড গড়েছে বিজেপি।


গ্রাম পঞ্চায়েতের চেয়ার তৃণমূলের! সেই চেয়ারের চারটি পায়া বিজেপির। খোদ বিরোধী দলনেতা শুভেন্দু অধিকারীর খাসতালুকেই এমন কাণ্ড ঘটেছে! নন্দীগ্রামের ১ নম্বর ব্লকের মহম্মদপুর পঞ্চায়েতে তৃণমূল বোর্ড গড়েছে বিজেপির সমর্থনে! আরও চাঞ্চল্যকরভাবে এই ঘটনা ঘিরে ফের সামনে চলে এল তৃণমূলের কোন্দল। পঞ্চায়েত ভোটে(Panchayat Election)  হাড্ডাহাড্ডি লড়াইয়ের পরে মহম্মদপুর গ্রাম পঞ্চায়েতের ১৮টি আসনের মধ্যে তৃণমূল একাই পায় ১২টি আসন। বিজেপি জয়ী হয় ৬টি আসনে।                          


অর্থাৎ বোর্ড গড়ার ক্ষেত্রে তৃণমূলের সামনে কোনও বাধা ছিল না। কিন্তু, সূত্রের খবর মহম্মদপুর পঞ্চায়েতের প্রধান কে হবেন তা নিয়েই তৃণমূলের অন্দরে গোল পাকে। নেতৃত্বের মনোনীত প্রার্থী শাহনওয়াজ খানকে ভোট দেওয়ার জন্য হুইপ জারি করে তৃণমূল। হুইপের চিঠি পৌঁছে যায় তৃণমূলের জয়ী ১২ জন সদস্যের হাতে। কিন্তু, এদিন কার্যত অন্য খেলা হয়ে গেল বোর্ড গঠনের সময়ে! তৃণমূল নেতা শেখ সুফিয়ানের জামাই হাবিবুল রহমানের পক্ষে ভোট দেন বিজেপির ৬ জন। দলের হুইপ অগ্রাহ্য করে হাবিবুলই হন প্রধান! বিষয়টি সামনে আসতেই তৃণমূল এবং বিজেপি - দুই দলের নেতৃত্বেই রীতিমতো অপ্রস্তুতে পড়েছেন! 


বিজেপির সমর্থনে তৃণমূলের প্রধান! নন্দীগ্রামের মহম্মদপুর পঞ্চায়েতে অন্য 'খেলা'। নন্দীগ্রামের মতো জায়গায় পঞ্চায়েতের বোর্ড গঠনের এমন ছবি দেখে কটাক্ষ করতে ছাড়ছে না সিপিএম। শুধু নন্দীগ্রামই নয়। শুভেন্দু অধিকারীর জেলার মহিষাদলের নাটশাল ১ নম্বর পঞ্চায়েতে বিজেপির সমর্থনে বোর্ড গড়েছে তৃণমূল। প্রধান তৃণমূলের। উপপ্রধান বিজেপির! তমলুকের বিষ্ণুবাড় ২ নম্বর পঞ্চায়েতে আবার তৃণমূলের সমর্থনে বোর্ড গড়ে বিজেপি।  ১৪টি আসনের মধ্যে ৫টি আসনে জয়ী হয় গেরুয়া শিবির। তৃণমূল পায় ৩টি আসন। সিপিএম এবং নির্দল দু-পক্ষই ৩টি করে আসনে জয়ী হয়। বোর্ড গঠনে বিজেপিকে সমর্থন জানায় তৃণমূল।