ঋত্বিক প্রধান, পূর্ব মেদিনীপুর: অফিসের বাথরুম থেকে উদ্ধার হল কর্মরত অ্যাসিস্ট্যান্ট ইঞ্জিনিয়ারের ঝুলন্ত দেহ। ঘটনায় চাঞ্চল্য ছড়িয়েছে পূর্ব মেদিনীপুরের কাঁথি ১নং পঞ্চায়েত সমিতিতে। খুন নাকি আত্মহত্যা? অস্বাভাবিক মৃত্যুর মামলা রুজু করে তদন্ত শুরু করেছে কাঁথি থানা।
দীর্ঘক্ষণ পঞ্চায়েত সমিতির অফিসের বাথরুমের দরজা বন্ধ থাকায় সন্দেহ! ধাক্কাধাক্কির পরেও ভিতর থেকে সাড়াশব্দ না পেয়ে ভাঙা হল দরজা। দরজা ভাঙার পর দেখা গেল বাথরুমের সিলিং থেকে ঝুলছে অ্যাসিস্ট্যান্ট ইঞ্জিনিয়ারের দে। কাঁথি ১ নং পঞ্চায়েত সমিতি অফিসে কর্মরত অ্যাসিস্ট্যান্ট ইঞ্জিনিয়ারের অস্বাভাবিক মৃত্যুতে ছড়াল রহস্য। আত্মহত্যা নাকি খুন? মৃত্যুর কারণ সম্পর্কে রয়েছে ধোঁয়াশা।
মৃত্যুর পিছনে রহস্য আছে এই দাবি করে, মহকুমাশাসকের অফিসের সামনে বিক্ষোভ দেখানে সরকারি কর্মীদের একাংশ। কাঁথির মহকুমাশ শাসক আদিত্যমোহন বিক্রম হিরানির কথায়, বছর বাহান্নর ওই অ্যাসিস্ট্যান্ট ইঞ্জিনিয়ারের নাম তরুণ পতি। পঞ্চায়েত সমিতির সভাপতির দাবি, অফিসে এসে রোজকার মতোই স্বাভাবিক ছিলেন অ্যাসিস্ট্যান্ট ইঞ্জিনিয়ার।
পূর্ব মেদিনীপুর কাঁথি ১ নং পঞ্চায়েত সমিতির সভাপতি প্রদীপ গায়েন জানান, উনি প্রতিদিনের মতোই অফিসে আসেন। স্বাভাবিক ভাবেই সবার সঙ্গে কথা বলেন। আমার সঙ্গেও বলেন। এরপর কর্মীদের থেকে জানতে পেরেছি বাথরুমে গিয়ে ২০২৫ মিনিট দরজা বন্ধ। সন্দেহ হওয়ায় ডাকাডাকি। দরজা ভেঙে দেখা যায় ঝুলন্ত দেহ। কাঁথি থানায় খবর দিলে পুলিশ মৃতদেহ নিয়ে যায়।
প্রৌঢ় কি আত্মহত্যা করেছেন? নাকি খুন? পঞ্চায়েত সমিতির অ্যাসিস্ট্যান্ট ইঞ্জিনিয়ারের রহস্য-মৃত্যুতে সহকর্মীদের মধ্যে ছড়িয়েছে চাঞ্চল্য। ঘটনায় অস্বাভাবিক মৃত্যুর মামলা রুজু করে তদন্তে নেমেছে কাঁথি থানার পুলিশ।
গত ৪ সেপ্টেম্বর পশ্চিম মেদিনীপুরের পুলিশ ব্যারাকের মধ্যে উদ্ধার হয় এসআইয়ের ঝুলন্ত দেহ। মৃত সঞ্জয় চৌধুরী কেশপুর থানায় সাব ইন্সপেক্টর পদে কর্মরত ছিলেন বলে জানা গিয়েছে। তাঁর বাড়ি পুরুলিয়ায়। এদিন সকালে ব্যারাকের মধ্যে এই পুলিশ অফিসারকে ঝুলন্ত অবস্থায় দেখেন সহকর্মীরা। প্রাথমিক তদন্তে আত্মহত্যা বলে অনুমান পুলিশের।
উল্লেখ্য, এ দিনই কম্বল জড়ানো মৃতদেহ উদ্ধার ঘিরে চাঞ্চল্য ছড়ায় হুগলির পোলবায়। শনিবার সকালে ঘটনাটি ঘটে পোলবারজারুরা দিল্লি রোডের পাশে। শনিবার সকালে স্থানীয় বাসিন্দারা জঙ্গলের মধ্যে কম্বল জড়ানো মৃতদেহটি দেখতে পেয়ে পোলবা থানায় খবর দেয়। ঘটনাস্থলে আসে পোলবা থানার পুলিশ। মৃতদেহ দিয়ে পচন ধরেছে ও দুর্গন্ধ ছড়ায়। দেহ শনাক্ত করতে অসুবিধায় পড়েছে পুলিশ।
স্থানীয়দের অনুমান খুন, করে ওই এলাকায় ফেলে দিয়ে যাওয়া হয়েছে। যেহেতু পচন ধরেছে সে কারণে স্বাভাবিকভাবেই এখনও পর্যন্ত মৃতর নাম বা পরিচয় জানা যায়নি। পুলিশ মৃতদেহটির পরিচয় জানার চেষ্টা করছে। প্রাথমিক তদন্তে পুলিশের অনুমান, অনন্ত দুদিন আগে মৃত্যু হয়েছে ওই ব্যক্তির। মৃতদেহ উদ্ধার করে ময়না তদন্তে পাঠানো হচ্ছে। কীভাবে মৃত্যু ময়না তদন্তের পরেই তা জানা যাবে।