নন্দীগ্রাম (পূর্ব মেদিনীপুর):   পূর্ব মেদিনীপুরের  নন্দীগ্রামে (Nandigram) শুভেন্দু অধিকারীর (Suvendu Adhikari) গড়ে বিজেপিতে (BJP) ভাঙন! বিজেপি ছেড়ে তৃণমূলে (TMC)  যোগ (Join) দিলেন শতাধিক কর্মী। যোগদানকারীদের মধ্যে রয়েছেন তৃণমূল গ্রাম পঞ্চায়েত সদস্য শঙ্কর দাস। তাঁর সঙ্গে  শতাধিক বিজেপি কর্মীর তৃণমূলে ফিরে এসেছেন বলে দাবি। বিধানসভা নির্বাচনে শুভেন্দু অধিকারীর হয়ে কাজ করেছিলেন শঙ্কর দাস।


নন্দীগ্রামের গোকুলনগরে তৃণমূল কংগ্রেসের যোগদান সভা ঘিরে তরজা শুরু হয়েছে। বিজেপি তাদের কর্মীদের তৃণমূলে যোগদানের দাবি খারিজ করে দিয়েছে।


যদিও স্থানীয় তৃণমূল কংগ্রেস নেতৃত্বের  দাবি,  ‘বিজেপি কোনও প্রতিশ্রুতিই পালন করেনি। তাই বিজেপির ওই কর্মীরা তৃণমূলে যোগ দিয়েছেন’।


যোগদানকারীদের একজন বলেছেন, বিজেপিতে যোগ দেওয়া ঐতিহাসিক ভুল ছিল। এখানে আন্দোলনকারী ছিলেন শুভেন্দু অধিকারী। এতে কোনও সন্দেহ নেই। কিন্তু তাঁর সঙ্গে যাওয়াটা ঠিক হয়নি। ভুল করে চলে গিয়েছিলাম। পঞ্চায়েত নির্বাচনে সেই ভুল হবে না। এই গোকুলনগর পঞ্চায়েতেই তৃণমূল ফের জিতবে।


অন্যদিকে, স্থানীয় বিজেপি নেতার কটাক্ষ, যেমন ঝাড় তেমন বাঁশ। নন্দীগ্রামে ভোটের সময় পায়ে চোট লাগার দাবি করে সহানুভূতি কুড়োতে চেয়েছিলেন তৃণমূল নেত্রী। কিন্তু নন্দীগ্রামের মানুষ সেই  নাটক ধরে ফেলেন। এখন ভোটে জিতে শুভেন্দু অধিকারী বিধানসভার বিরোধী দল নেতা। আর এখন তৃণমূল বিজেপি ছেড়ে তাদের যোগদানের নাটক করছে। বলা হচ্ছে শঙ্কর দাস তৃণমূলে যোগ দিয়েছেন। কিন্তু বিজেপিতে ওই নামের কেউ ছিল না।


শংকর দাস ২০২১ -এর বিধানসভা নির্বাচনে শুভেন্দু  অধিকারীর সঙ্গে বিজেপির হয়ে কাজ করেছিলেন। আবার এই গোকুলনগর অঞ্চল  থেকে বিধানসভায় ৪১৫৬ ভোটে বিজেপি প্রার্থী শুভেন্দু  অধিকারী লিড পেয়েছিলেন। সেই শঙ্কর দাসের নেতৃত্বে আজ গোকুলনগর অঞ্চলে শতাধিক বিজেপি কর্মী সমর্থক তৃণমূলে যোগদান করলেন। জেলা পরিষদের সহ সভাধিপতি  তথা নন্দীগ্রামে মমতা বন্দ্যোপাধ্যায়ের নির্বাচনী এজেন্ট সেখ সুফিয়ান, শঙ্কর দাস সহ সকালের হাতে তৃণমূলের পতাকা তুলে দেন।