বিটন চক্রবর্তী, পূর্ব মেদিনীপুর: মাছ চাষের জন্য ভেড়ি সংস্কারে বাধা দিচ্ছে পুলিশ। ঋণ নিয়েও কাজ করা যাচ্ছে না। এই দাবি করে জেলাশাসকের কাছে স্বেচ্ছামৃত্যুর আবেদন করল পূর্ব মেদিনীপুরের (East Midnapur) নয়াচরের মৎস্যজীবীদের (Fisherman) একাংশ। বিষয়টি নিয়ে শুরু হয়েছে তরজা। মৎস্যমন্ত্রীর আশ্বাস, কাউকে ভয় পেতে হবে না। পুলিশ সুপার জানিয়েছেন, নির্দিষ্ট কারণেই কাজ করতে দেওয়া হয়নি।
পুলিশের বিরুদ্ধে ভেড়ি সংস্কারে বাধা দেওয়ার অভিযোগ। স্বেচ্ছামৃত্যুর আবেদন পূর্ব মেদিনীপুরের নয়াচরের মৎস্যজীবীদের একাংশর। ঘটনা সামনে আসতেই শোরগোল পড়েছে এলাকায়।
মৎস্যজীবীদের দাবি, আমফান ও ইয়াসের জেরে তাঁদের ব্যবসা ক্ষতির মুখে পড়েছে। তা সত্ত্বেও চড়া সুদে মহাজনদের কাছ থেকে ঋণ নিয়ে যন্ত্রের মাধ্যমে ভেড়ি সংস্কার শুরু করেন তাঁরা। কিন্তু কাজ শুরু হতে না হতে পুলিশ তা বন্ধ করে দিয়েছে।
এরপরই পরিস্থিতির কথা তুলে ধরে জেলাশাসকের কাছে স্বেচ্ছামৃত্যুর আবেদন করেছেন মৎস্যজীবীরা।
এ বিষয়ে পুলিশ সুপার জানিয়েছেন, নয়াচর উপকূল এলাকা হওয়ায় যন্ত্র দিয়ে মাটি কাটায় কিছু বিধিনিষেধ রয়েছে। সেজন্য ওখানে কোনও যন্ত্র ব্যবহারের অনুমতি দেওয়া হয়নি। এছাড়া সেখানে অনেক ম্যানগ্রোভ বনাঞ্চলও রয়েছে। সেগুলি বাঁচাতেই যন্ত্র ব্যবহারে নিষেধাজ্ঞা রয়েছে।
এই ঘটনায় পুলিশের পাশাপাশি নাম না করে নিজের দলের কয়েকজন নেতার দিকে আঙুল তুলেছেন এক তৃণমূল নেতা। তবে মৎস্যজীবীদের আশ্বস্ত করে মৎস্যমন্ত্রী অখিল গিরি জানিয়েছেন, নয়াচরের কোনও মৎস্যজীবীকেই বঞ্চিত করা হবে না। তাঁরা যাতে ভালভাবে জীবিকা নির্বাহ করতে পারেন তার ব্যবস্থা করা হচ্ছে। অহেতুক ভয় পেতে হবে না।
চলতি মাসেই মাঝ সমুদ্রে ভয়াবহ বিপত্তি (Accident) বাঁধে। মাছ ধরার সময়, পাটাতন ভেঙে বঙ্গোপসাগরে ডুবে যায় ট্রলার। ঘটনাটি ঘটে সাগর থেকে ২৫ কিলোমিটার দূরে বঙ্গোপসাগরের জলদা খাঁড়িতে। সমুদ্রে মাছ ধরার সময় পাটাতন ভেঙে ডুবে যায় মা অন্নপূর্ণা নামে ওই ট্রলার। আশপাশের ট্রলার থেকে অন্য মৎস্যজীবীরা এসে ডুবন্ত ট্রলারের ৪ মৎস্যজীবীকে উদ্ধার করেন। ওই মৎস্যজীবীরা সাগরের মহিষামারি এলাকার বাসিন্দা।
দক্ষিণ ২৪ পরগনার (South 24 Parganas) ঘোড়ামারা দ্বীপের কাছে দুর্ঘটনা (Accident)। হুগলি নদীতে (Hooghly River) ডুবে যায় বাংলাদেশের (Bangladesh) পণ্যবাহী বার্জ (Barge)। জানা যায়, রাতে হলদিয়া থেকে পণ্য নিয়ে বাংলাদেশ যাচ্ছিল বার্জটি। চড়ায় ধাক্কা মেরে সেটি হুগলি নদীতে ডুবতে শুরু করে। বার্জের নাবিকদের চিত্কার শুনে সাগর থানায় (Sagar Police Station) খবর দেন স্থানীয় মত্স্যজীবীরা (Fishermen)। পরে সাগর থানার পুলিশ ২টি ট্রলার (Trawler) নিয়ে নাবিকদের উদ্ধার করে।