ঋত্বিক প্রধান, পূর্ব মেদিনীপুর:  পূর্ব মেদিনীপুরের (East Midnapur) পটাশপুরে (Patashpur) ২৩টি বিজেপি (BJP) পরিবার যোগ দিল তৃণমূলে (TMC)। স্থানীয় বিধায়কের উপস্থিতিতে হল দলবদল। তৃণমূলে যোগ দিয়েই পুরনো দলের বিরুদ্ধে তোপ দেগেছেন দলত্যাগীরা। বিজেপির কাঁথি সাংগঠনিক জেলার সভাপতি অবশ্য এই বিষয়ে প্রতিক্রিয়া দিতে চাননি।


পুরভোটে ভরাডুবির পর পূর্ব মেদিনীপুরের এগরা লাগোয়া পটাশপুরে ভাঙন ধরল বিজেপিতে।শ্রীরামপুর গ্রাম পঞ্চায়েত এলাকার ২৩টি বিজেপি পরিবার নাম লেখাল তৃণমূলে।রবিবার পটাশপুরের তৃণমূল বিধায়ক উত্তম বারিকের উপস্থিতিতেই হল দলবদল।দল বদলেই গেরুয়া শিবিরের বিরুদ্ধে তীব্র আক্রমণ শানান দলত্যাগীরা। 


সুধাকৃষ্ণ জানা নামে তৃণমূলে যোগদানকারী বিজেপি কর্মী বলেছেন, বিজেপিতে কোনও কাজের সুযোগ নেই, মমতা বন্দ্য়োপাধ্যায় যেভাবে মানুষের জন্য কাজ করছেন,  তা দেখেই দলবদলের এই  সিদ্ধান্ত। 


তৃণমূল বিধায়কের দাবি, উন্নয়নে সামিল হতেই বিজেপি থেকে তৃণমূলে যোগদান। পটাশপুরের তৃণমূল বিধায়ক উত্তম বারিক বলেছেন,  মমতা বন্দ্যোপাধ্যায়ের উন্নয়ন কর্মসূচি ও এলাকার উন্নয়ন দেখে ২৩টি পরিবার তৃণমূলে যোগ দিল।


এদিকে, এ বিষয়ে বিজেপির কাঁথি সাংগঠনিক জেলার সভাপতি জানিয়েছেন,দলবদলের বিষয়ে নির্দিষ্ট কোনও তথ্য নেই। তাই এনিয়ে তিনি কোনও মন্তব্য করবেন না।


উল্লেখ্য, সম্প্রতি রাজ্যের ১০৮ পুরসভা নির্বাচনে বিপুল জয় পেয়েছে ক্ষমতাসীন তৃণমূল কংগ্রেস। প্রতিদ্বন্দ্বিতায় কোথাও দাঁড়াতেই পারেনি বিজেপি। নদিয়ার তাহেরপুর পুরসভা বামেরা পেলেও বিজেপির ঝুলি শূন্যই থেকেছে। কোনও পুরসভাই তারা দখল করতে পারেনি তারা। উত্তরবঙ্গের শক্তঘাঁটিতেও বিজেপির ফল প্রত্যাশামাফিক হয়নি। সবমিলিয়ে রাজ্যে বিধানসভা ভোটের পর যে ভোটগুলি হয়েছে, তাতে বিজেপির প্রাপ্ত ভোটের হার নিম্নমুখী হচ্ছে। তাদেরকে পিছনে ফেলে বাম দলগুলির ভোট শতাংশের হারে এগিয়ে যাওয়ার প্রবণতা এবারও দেখা গিয়েছে। 


বিধানসভা ভোটের আগে তৃণমূল থেকে বিজেপিতে যোগদানের ঘটনা দেখা যাচ্ছিল। কিন্তু তৃণমূলকে হারিয়ে বিজেপির ক্ষমতা দখলের স্বপ্ন অধরাই থেকে গিয়েছে। বিধানসভা ভোটে বিপুল সংখ্যা গরিষ্ঠতা নিয়ে তৃণমূলের ক্ষমতায় প্রত্যাবর্তনের পর উল্টোস্রোত দেখা যায়। বিজেপি ও অন্যান্য দল থেকে তৃণমূলে যোগদানের ঘটনা নিত্যনৈমিত্তিক হয়ে দাঁড়ায়। সেই ধারা এখন ও অব্যাহত রয়েছে।