আবীর দত্ত, শিবাশিস মৌলিক ও বিটন চক্রবর্তী,পূর্ব মেদিনীপুর: ভূপতিনগর বিস্ফোরণকাণ্ডে সক্রিয় NIA। ফের কেন্দ্রীয় এজেন্সির স্ক্যানারে তৃণমূলের নেতা-কর্মীরা। বৃহস্পতিবার, ৮ জনকে তলব করা হল নিউটাউনে NIA-র অফিসে। তলবের খবর প্রকাশ্যে আসতেই, কুণাল ঘোষ বলেছেন, 'পূর্ব মেদিনীপুরে হারছে বুঝে, NIA-কে নামিয়ে তৃণমূলের নেতা, কর্মীকে তলব করিয়েছে গদ্দার।'


২০২২ সালের ২ ডিসেম্বর,কাঁথিতে অভিষেক বন্দ্যোপাধ্যায়ের সভার আগের রাতে, ভূপতিনগরে তৃণমূল নেতার বাড়িতে ভয়ঙ্কর বিস্ফোরণ হয়। বিস্ফোরণের তীব্রতায় ধূলিসাৎ হয়ে যায় আস্ত বাড়ি। উদ্ধার হয় তৃণমূলের বুথ সভাপতি-সহ ৩ জনের ঝলসানো দেহ। চাঞ্চল্যকরভাবে বিস্ফোরণস্থল থেকে দেড় কিলোমিটার দূরে উদ্ধার হয় তৃণমূল নেতার মৃতদেহ। আশেপাশের এলাকাতে আরও ২ তৃণমূল কর্মীর মৃতদেহ উদ্ধার করে পুলিশ।


স্বতঃপ্রণোদিত মামলা রুজু করে তদন্ত শুরু করে এনআইএ। সেই মামলাতেই এবার, তৃণমূলের নেতা-কর্মী সহ ৮ জনকে তলব করা হল। তাঁরা হলেন,পূর্ব মেদিনীপুর জেলা পরিষদের পূর্ত কর্মাধ্যক্ষ মানবকুমার পড়ুয়া,স্থানীয় তৃণমূল নেতা সুবীর মাইতি এবং নবকুমার পাণ্ডা। তলবের বিষয়টি জানিয়ে চিঠি দেওয়া হয়েছে ভূপতিনগরের ওসিকেও।


এই প্রসঙ্গে কুণাল ঘোষ সোশাল মিডিয়ায় লিখেছেন,'পূর্ব মেদিনীপুরে হারছে বুঝে, NIA-কে নামিয়ে তৃণমূলের বেশ কয়েকজন নেতা, কর্মীকে তলব করিয়েছে গদ্দার। ওসিকে চাপ দেওয়া হচ্ছে তাদের পাঠানো নিশ্চিত করতে। আমাদের কর্মীদের গ্রেফতার করিয়ে বা চাপ দিয়ে এলাকা ফাঁকা করানোর মরিয়া চেষ্টা বিজেপির। এই তলবে নেতা, কর্মীরা যাবেন না। আইনি পথে লড়াই হবে।'


তৃণমূল কংগ্রেসের রাজ্য সাধারণ সম্পাদক কুণাল ঘোষ বলেন, আমাদের কোনও কর্মী বা নেতা এই নোটিসে সাড়া দিয়ে যাবে না, কারণ এটা রাজনীতির জন্য করছে, ভোটের আগে করছে। আমরা আইনি পথে এটার লড়াই করব। এলাকায় শুভেন্দুর পায়ের তলায় ভিত সরছে, মাটি সরছে, পূর্ব মেদিনীপুরের ২টি আসন বিজেপি হারতে চলেছে, তৃণমূল জিততে চলেছে, তাই মরিয়া চেষ্টায় আমাদের কর্মী এবং সংগঠক, নেতাদের এখন NIA দিয়ে ডেকে পাঠিয়ে, এলাকা ফাঁকা করার চক্রান্ত করছে।


আরও পড়ুন, 'সবার পাশে থাকব..', আজ ভোট প্রচারে গিয়ে বার্তা BJP প্রার্থী অভিজিৎ গঙ্গোপাধ্যায়ের


বিরোধী দলনেতা শুভেন্দু অধিকারী বলেন,' ভূপতিনগরের নাড়ুয়াবিলাতে যেখানে বিস্ফোরণ হয়েছিল সেখানে হাইকোর্ট NIA তদন্তের নির্দেশ দিয়েছিল। এটা প্রায় ৮, ১০ মাস ১ বছর হয়ে গেল, ডাকাডাকি চলছে, সেই মামলায় এখনও গ্রেফতার হয়নি এবং সমস্ত কেসই পুরনো কেস, আমরা দায়িত্ব নিয়ে বলতে পারি এই কেসের সঙ্গে রাজনীতির কোনও সম্পর্ক নেই। সব মিলিয়ে আরও এক মামলায় কেন্দ্রীয় এজেন্সির তৎপরতা নিয়ে তুঙ্গে রাজনৈতিক তরজা।