প্রকাশ সিনহা, কলকাতা: রেশন দুর্নীতিতে ফের চাঞ্চল্যকর তথ্য সামনে এল। কেন্দ্রীয় তদন্তকারী সংস্থা এনফোর্সমেন্ট ডিরেক্টরেট (ED) জানিয়েছে, রেশন দুর্নীতিতে ধৃত বাকিবুর রহমানের NPG রাইস মিল প্রাইভেট লিমিটেডের ব্যাঙ্ক অ্যাকাউন্টে নগদ ২২৮ কোটি টাকা জমা পড়েছিল। চার্জশিটে এই দাবি করেছে ED। এই বিপুল অঙ্কের টাকা কোথা থেকে এল, সেই সংক্রান্ত নির্দিষ্ট তথ্য মেলেনি বলে চার্জশিটে দাবি করেছে ED. (Ration Scam)


এ প্রসঙ্গে বাকিবুরের চার্টার্ড অ্যাকাউন্ট্যান্ট জয়শঙ্কর গুপ্তের উল্লেখও রয়েছে চার্জশিটে। ED জানিয়েছে, এই বিপুল পরিমাণ টাকার উৎস সম্পর্কে কোনও নির্দিষ্ট তথ্য নেই বলে জানিয়েছেন জয়শঙ্কর। ED-র দাবি, জেরায় বাকিবুর দাবি করেন, চাল-আটা বিক্রি করেই তাঁর রাইস মিলের অ্যাকাউন্টে ২২৮ কোটি টাকা জমা পড়ে। যদিও  রেশন দুর্নীতির টাকাই ঘুরপথে বাকিবুরের রাইস মিলের অ্যাকাউন্টে জমা পড়েছে বলে দাবি করেছেন কেন্দ্রীয় তদন্তকারীরা। (Bakibur Rahman)


ED সূত্রে জানা গিয়েছে, এক অ্যাকাউন্ট থেকে অন্য অ্যাকাউন্টে টাকার লেনদেন হতেই পারে। কিন্তু এক্ষেত্রে বাকিবুরের NPG রাইস মিল প্রাইভেট লিমিটেডের ব্যাঙ্ক অ্যাকাউন্টে নগদে ২২৮ কোটি টাকা জমা পড়ে। ধাপে ধাপে, বিভিন্ন সময়ে এই টাকা জমা পড়ে, যা ভাবাচ্ছে কেন্দ্রীয় তদন্তকারীদের। চার্জশিটের ৪৪ নং পাতায় ED জানিয়েছে, বাকিবুরের সংস্থার ব্যাঙ্ক অ্যাকাউন্টের রেকর্ড খতিয়ে দেখতে গিয়েই এই বিপুল পরিমাণ নগদ জমা পড়েছে বলে জানতে পারেন তাঁরা।  


আরও পড়ুন: লোকসভা নির্বাচনের আগে ব্যাপক রদবদল, IPS-সহ ৭৯ পুলিশ আধিকারিককে বদলির নির্দেশ নবান্নের


বাকিবুরের দাবি, চাল-আটা বিক্রি করেই  ওই টাকা এসেছে। কিন্তু  ED-র প্রশ্ন, চাল এবং আটা বিক্রি করে বাকিবুরের একটি সংস্থাতেই শুধুমাত্র নগদে এত টাকা জমা পড়ল? অজানা সূত্র থেকে এত টাকা এল, সেই নিয়ে কারও কাছে সদুত্তরই বা নেই কেন, প্রশ্ন তুলছে ED. রেশন দুর্নীতিতে যে দুর্নীতি হয়েছে, সেই টাকাই ঘুরপথে নগদে বাকিবুরের রাইস মিলের অ্যাকাউন্টে জমা করা হয়েছে বলে দাবি ED-র।


ED সূত্রে জানা গিয়েছে, ৪১৯ কোটির মধ্য়ে ২২৮ কোটি শুধুমাত্র NPG রাইস মিলের অ্যাকাউন্টে পড়েছিল। ইডি সূত্রে খবর এই নগদ লেনলেনের বিষয়ে জানতেন জ্য়োতিপ্রিয় মল্লিকও। এই বিপুল পরিমাণ টাকার উৎস সম্পর্কে কোনও নির্দিষ্ট তথ্য নেই। এর আগে, ED জানিয়েছিল, কুইন্টাল পিছু ২০ টাকা কমিশন নিতেন জ্য়োতিপ্রিয়। জ্যোতিপ্রিয়ের সহযোগী বাকিবুর এবং NPG রাইস মিল প্রাইভেট লিমিটেডের অন্যতম ডিরেক্টর সাহিদুল রহমান, মন্ত্রীর কমিশন নেওয়ার বিষয়টি স্বীকার করেছেন বলেও জানায় তারা।