কলকাতা: নিয়োগ দুর্নীতির (SSC Case) শুনানি চলাকালীন বিস্ফোরক দাবি এনফোর্সমেন্ট ডিরেক্টরেটের (Enforcement Directorate)। তাদের দাবি, তদন্তে তাবড় প্রভাবশালীদের নাম উঠে এসেছে। কেস ডায়েরি দেখলেই তা পরিষ্কার হয়ে যাবে। কিন্তু প্রকাশ্য আদালতে সব প্রভাবশালীদের নামগুলি বলা সম্ভব নয়। শান্তনু বন্দ্যোপাধ্যায়কে নিয়ে শুনানিতে এমনই মন্তব্য করল ইডি (ED)।
শুধু মন্তব্যই নয়, বিচারককে দেখানো হয় শান্তনুর কেস ডায়েরিও
এ দিন ব্যাঙ্কশাল কোর্টে শুনানি চলাকালীন আদালতে ইডি বলে, "কেস ডায়েরি দেখে নিন। ভবিষ্যতে বুঝতে পারবেন কী হতে চলেছে। একবার কেস ডায়েরিতে প্রভাবশালীদের নামগুলো শুধু দেখুন। প্রকাশ্য আদালতে নামগুলো বলতে পারছি না।" এই মন্তব্যের পরই বিচারককে দেখানো হয় শান্তনুর কেস ডায়েরি। ইডি বলে, "৬ লক্ষ টাকা বাৎসরিক বেতনের লোকের কাছ থেকে এখনও পর্যন্ত ২০ কোটির সম্পত্তি উদ্ধার হয়েছে।"
নিয়োগ দুর্নীতি মামলায় এখনও পর্যন্ত যত জন গ্রেফতার করা হয়েছে, সকলের ক্ষেত্রেই প্রভাবশালী তত্ত্ব উঠে এসেছে। এর আগেও, একাধিক বার সিবিআই এবং ইডি প্রভাবশালীদের ভূমিকা নিয়ে সরব হয়েছে। বুধবার ইডি-র আইনজীবী বিষয়টি আদালতে তুলে ধরেন। প্রকাশ্যে নাম বলতে না চাইলেও, বিচারককে কেস ডায়েরিতে প্রভাবশালীদের নাম দেখে নেওয়ার আর্জি জানান।
ইডি সূত্রে জানা যাচ্ছে, নিয়োগ দুর্নীতির তদন্তে এখনও পর্যন্ত ২৫ থেকে ৩০ জন প্রভাবশালী ব্যক্তির নাম উঠে এসেছে। তদন্তকারী অফিসার বিজয় কুমার এই দিন সেই কেস ডায়েরি বিচারককে দেন। অর্থাৎ কোর্টরুমে দাঁড়িয়ে বিচারককে প্রভাবশালীদের নামও দেখান তিনি।
বার্ষিক ৬ লক্ষ টাকার বেতনে ২০ কোটির সম্পত্তি শান্তনুর!
নিয়োগ দুর্নীতিতে ধৃত শান্তনু বিদ্যুৎ দফতরের কর্মী। বাবার মৃত্যুর পর সেই চাকরি পান তিনি। বার্ষিক ৬ লক্ষ টাকা বেতন পান। অথচ নিয়োগ দুর্নীতির তদন্তে তাঁর বিপুল সম্পত্তির হদিশ মিলেছে। বাড়ি, গাড়ি, রেস্তরাঁ, গেস্ট হাউস মিলিয়ে প্রায় ২০ কোটি টাকার সম্পত্তির হদিশ মিলেছে। এ দিন আদালতে ফের জামিনের জন্য আবেদন করেন শান্তনু। তবে ইডি-র মন্তব্যই এখন আলোচনার কেন্দ্রে। কারণ হুগলি জেলায় তৃণমূলের নেতা হিসেবে পরিচিতি ছিল তাঁর। তাঁর সঙ্গে প্রভাবশালীদের সংযোগই শুধু নয়, আনাগোনাও ছিল বলে ইতিমধ্যেই এমন দাবি উঠে এসেছে। সেই আবহেই কেস ডায়েরিতে প্রভাবশালীদের নামের উল্লেখ করল ইডি।