নিউইয়র্ক : "আমি কখনই ভাবিনি যে আমেরিকাতে এরকম কিছু ঘটতে পারে - কখনো ভাবিনি এটা ঘটতে পারে ... আমি যে অপরাধ করেছি তা হল, আমাদের দেশকে যারা ধ্বংস করতে চায় তাদের থেকে রক্ষা করেছি"। আদালতে হাজিরা দিয়ে নিউ ইয়র্ক থেকে ব্যক্তিগত বিমানে ফ্লরিডায় মার-আ-লাগোয় ফিরে আমেরিকার জো বাইডেন প্রশাসনকে একহাত নিলেন ডোনাল্ড ট্রাম্প (Former President of United States, Donald Trump )।

  পর্ন তারকাকে টাকা দিয়ে মুখ বন্ধ রাখার মতো গুরুতর অভিযোগে গ্রেফতার হওয়ার পরও দমেননি তিনি। আদালতে দাঁড়িয়ে আত্মপক্ষ সর্থমন করে ট্রাম্প বলেন ' আমি নির্দোষ' ।


বললেন , 'অবৈধভাবে কিছুই করিনি'। প্রশাসনকে সরাসরি নিশানা করতে গিয়ে তিনি বলেন, ' আমি দুঃস্বপ্নেও ভাবিনি, আমেরিকায় এমন কিছু হতে পারে। আমার অপরাধ ছিল দেশরক্ষায় দৃঢ়তা প্রদর্শন।'  মঙ্গলবার ভারতীয় সময় মধ্যরাতের আগেই নিউইয়ার্কের ম্যানহাটন আদালতের নির্দেশে হেফাজতে নেওয়া হয় প্রাক্তন মার্কিন প্রেসিডেন্টকে। মঙ্গলবারই গ্রেফতার করা হয় আমেরিকার প্রাক্তন প্রেসিডেন্টকে। তাঁর বিরুদ্ধে অভিযোগ, শারীরিক সম্পর্ক নিয়ে মুখ না খুলতে পর্ন তারকা স্টর্মি ড্যানিয়েন্সকে ( Stormy Daniels) ঘুষ দিয়েছিলেন ট্রাম্প। এই প্রথম মার্কিন কোনও প্রেসিডেন্টের বিরুদ্ধে অপরাধমূলক ধারায় মামলা দায়ের হল। 


নিউইয়র্কের ম্য়ানহাটন আদালতে আত্মসমর্পন করার কথা ছিল তাঁর। কিন্তু পুলিশ সূত্রে খবর, বিচারকের নির্দেশে তাঁকে গ্রেফতার করা হয়। ট্রাম্প গ্রেফতার হয়েছেন ঠিকই, কিন্তু পুলিশ বা জেল হেফাজতে তাঁকে থাকতে হবে না। তাই ব্যক্তিগত বিমানে ফ্লরিডা ফিরে যান তিনি। এদিকে, ট্রাম্প অনুগামীদের অভিযোগ, পুরোটাই রাজনৈতিক ষড়ষন্ত্র। 


ইতিমধ্যেই ক্যাপিটল হিংসার কথা মাথায় রেখে কঠোর নিরাপত্তার বেড়াজালে মোড়া হয়েছে নিউইয়র্ককে। ট্রাম্পের গ্রেফতারির পরই নিউইয়র্কের রাস্তায় নেমেছে দলে দলে ট্রাম্প অনুগামী।  আদালতে ডোনাল্ড ট্রাম্পের ভিডিওতেও আরোপ করা হয়েছে নিষেধাজ্ঞা। 


আগামী প্রেসিডেন্ট নির্বাচনে প্রতিদ্বন্দ্বিতা করার কথা আগেই ঘোষণা করেছিলেন ট্রাম্প। এই মামলার ফলে সেটা আর সম্ভব কি না, তা নিয়েই চলছে জল্পনা।


অভিযোগ, এরপর ২০১৬-তে প্রেসিডেন্ট নির্বাচনের আগে মুখ বন্ধ রাখার জন্য তাঁকে এক লক্ষ ৩০ হাজার মার্কিন ডলার ঘুষ দেন ট্রাম্প। সেই সংক্রান্ত মামলাতেই এদিন গ্রেফতার করা হল আমেরিকার প্রাক্তন রিপাবলিকান প্রেসিডেন্টকে। যদিও প্রাক্তন প্রেসিডেন্টের গ্রেফতারি নিয়ে হোয়াইট হাউসের তরফে কোনও প্রতিক্রিয়া দেওয়া হয়নি। তবে জানানো হয়েছে, বর্তমান প্রেসিডেন্ট জো বাইডেন বিষয়টি নিয়ে আগ্রহী নন।