প্রকাশ সিনহা, কলকাতা : ১০০ নয়, ২০০ নয়, ৩০০ নয়, এখনও অবধি তদন্তেই নিয়োগ দুর্নীতির ( Bengal Recruitment Scam )  বহর ৩৫০ কোটি! সোমবার আদালতে দাঁড়িয়ে এমনটাই দাবি করল খোদ ইডি ( ED ) ! সেই সঙ্গে নিয়োগ দুর্নীতি মামলায় ধৃত তৃণমূল নেতা শান্তনু বন্দ্যোপাধ্যায়কে ( Shantanu Banerjee )  আদালতে তুলে এই কেন্দ্রীয় এজেন্সি বলল, দুর্নীতির অঙ্ক কোথায় গিয়ে দাঁড়াবে তা বলা যাচ্ছে না! এই কেলেঙ্কারি দেখে এভারেস্টকেও অযোধ্যা পাহাড় বলে মনে হচ্ছে!


ধৃত তৃণমূল নেতা শান্তনু বন্দ্য়োপাধ্য়ায়কে হেফাজতে চেয়ে ED-র আইনজীবী আরও বলেন, শান্তনু বন্দ্যোপাধ্যায়ের দুটি মোবাইল ফোন বাজেয়াপ্ত করা হয়েছে। মোবাইল ফোন দুটি গোল্ড মাইন অর্থাৎ সোনার খনি। শান্তনুর মোবাইল থেকে একাধিক চাকরি প্রাপকের অ্যাডমিট কার্ডের ছবি পাওয়া গেছে। সেখানে এমন তথ্য রয়েছে, যা ভরা আদালতে বলা যাবে না। কেস ডায়েরিতে এমন এমন নাম রয়েছে যা, দেখলে চমকে যাবেন। আরও অনেক প্রভাবশালী জড়িত রয়েছেন, কেস ডায়েরিতেই তা সব স্পষ্ট হবে।  এরপরই, ইডির আইনজীবী চাঞ্চল্য়কর দাবি করেন, পুরোটা দেখে পার্থ চট্টোপাধ্যায়ের একটা যোগ থাকার কথা মনে করা হচ্ছে।


ইডি-র দাবি, বাজেয়াপ্ত করা শান্তনুর ২টি মোবাইল ফোন স্ক্যান করে নিয়োগ সংক্রান্ত গুরুত্বপূর্ণ তথ্য মিলেছে। একাধিক ব্যক্তির সঙ্গে নিয়োগ সংক্রান্ত বিষয়ে চ্যাট করেছেন যুব তৃণমূল নেতা। শান্তনুর মোবাইল ফোনের গ্যালারিতেও মিলেছে নিয়োগ সংক্রান্ত তথ্য এবং সম্পত্তির হদিশ, এমনই দাবি ইডি-র। 


রিমান্ড লেটারে ইডি বলেছে, সুবিধা পাইয়ে দেওয়ার জন্য, নগদে ১ কোটি টাকা শান্তনু বন্দ্যোপাধ্যায়কে দিয়েছেন বলে জেরায় দাবি করেছেন যুব তৃণমূলের রাজ্য় সম্পাদক কুন্তল ঘোষ।  পাল্টা কুন্তলের ঘাড়ে দায় ঠেলেন ধৃত তৃণমূল নেতা শান্তনু বন্দ্য়োপাধ্য়ায়।  কয়েকশো কোটি টাকা তুলেছে কুন্তল, দাবি শান্তনুর। তিনি দাবি করেন, এই দুর্নীতির মাস্টারমাইন্ড কুন্তলই। নিয়োগ দুর্নীতির মাথা খুঁজতে, আদালতের নির্দেশে তদন্ত করছে ED-CBI-এর মতো কেন্দ্রীয় এজেন্সি।তার মধ্যে নতুন করে তোলপাড় ফেলে দিল আদালতে ইডি-র সওয়াল এবং আদালতের বাইরে শান্তনু বন্দ্যোপাধ্যারের দাবি।                      


আরও পড়ুন :


'এই পার্থদাকে আমি চিনতাম না' কেন এমন মন্তব্য মন্ত্রী ফিরহাদ হাকিমের