কলকাতা : নিয়োগ দুর্নীতির ( Recruitment Scam ) মামলায় ঘনিষ্ঠ অর্পিতা মুখোপাধ্যায়ের ( Arpita Mukherjee )  দুটি ফ্ল্যাট থেকে কোটি কোটি টাকা নগদ ও সোনা ও হিরের অলঙ্কার উদ্ধার এবং তাঁর গ্রেফতারির ৬ দিন পর, পার্থ চট্টোপাধ্যায়কে ( Partha Chatterjee )  মন্ত্রিসভা থেকে সরিয়ে দেয় তৃণমূল শীর্ষ নেতৃত্ব। দল থেকে তাঁকে সাসপেন্ডও করা হয়! যদিও আজই পর্যন্ত দলের বিরুদ্ধে একটিও কথা বলা তো দূরে থাক, দলের পক্ষেই বারবার মন্তব্য করে গিয়েছেন প্রাক্তন শিক্ষামন্ত্রী। কিন্তু আবার তাঁরই একদা সতীর্থ, রাজ্যের মন্ত্রী ফিরহাদ হাকিম বুঝিয়ে দিলেন পার্থর পাশে তাঁরা নেই। 


স্বপ্নেও ভাবতে পারিনি : ফিরহাদ

নিয়োগ দুর্নীতি মামলায় মঙ্গলবার জেল হেফাজত শেষে  পার্থ চট্টোপাধ্যায়, অর্পিতা মুখোপাধ্যায় ও মানিক ভট্টাচার্যকে আদালতে পেশ করবে ইডি। এদের মধ্যে পার্থ-অর্পিতাকে ভার্চুয়ালি পেশ করা হবে। এদিনই নিয়োগ-দুর্নীতি ও পার্থ চট্টোপাধ্যায়কে নিয়ে বিস্ফোরক মন্তব্য করলেন মন্ত্রী ফিরহাদ হাকিম। তিনি বলেন, 'টাকার বিনিময়ে চাকরি, আমাদের সবার কাছে লজ্জার। এই পার্থদাকে আমি চিনতাম না, এই পার্থদা আমার কাছে নতুন। স্বপ্নেও ভাবতে পারিনি কেউ টাকা নিয়ে চাকরি দেবে। কারও অধিকার হরণ করে চাকরি দেওয়া অন্যায়, পাপ'
মন্তব্য মন্ত্রী ফিরহাদ হাকিমের । 


পার্থ দলের পাশে


দল তাঁর সঙ্গে দূরত্ব তৈরি করলেও, ধারাবাহিকভাবে দলের পাশে দাঁড়িয়েছেন একদা তৃণমূলের নাম্বার টু। সে দলের পাশে থাকার বার্তাই হোক বা প্রতিষ্ঠা দিবসের শুভেচ্ছা জানানোই হোক! এর আগে তৃণমূলের উদ্দেশে ডিসেম্বর মাসকে ডেডলাইন করে বার বার হুঁশিয়ারি দিয়েছিলেন বিরোধী দলনেতা শুভেন্দু অধিকারী। সেই সময়ও দলের পাশে থাকার বার্তা শোনা গেছিল পার্থ চট্টোপাধ্যায়ের গলায়! রাজ্যে আসন্ন পঞ্চায়েত ভোটের ফলও তৃণমূলের পক্ষে যাবে বলেও বার্তা দিয়েছেন প্রাক্তন শিক্ষামন্ত্রী। এই পরিস্থিতিতে দল যে তাঁর পাশে নেই, তা বুঝিয়ে দিলেন ফিরহাদ। 


কুণালের কটাক্ষ



শুধু ফিরহাদ হাকিম নন, এর আগে পার্থ চট্টোপাধ্যায় প্রসঙ্গে চাঁচাছোলা কথা বলেছিলেন তৃণমূলের রাজ্য সম্পাদক কুণাল ঘোষ। পার্থর গ্রেফতারির অব্যবহিত পরেই কুণালের মন্তব্য ছিল,' আমার জেল জীবন দেখে এই পার্থ চট্টোপাধ্যায়, আমি যখন বলেছিলাম চক্রান্ত, তখন ইনি বলেছিলেন আমি না কি পাগল। আজ পার্থ চট্টোপাধ্যায়, যদি জেল হেফাজত হয়, ঢুকে দেখুন কেমন লাগে। আমি আশা করব, আমার ক্ষেত্রে যেমন বন্দি জীবনের প্রত্যেকটি নিয়ম প্রযোজ্য ছিল, পার্থ চট্টোপাধ্যায়ের ক্ষেত্রেও কারা দফতরও তাই করবে। ' পার্থ চট্টোপাধ্যায়কে নিয়ে মন্তব্যের জেরে, দল তাঁকে সেন্সরও করে। 


তবে দল যে পার্থর সঙ্গে নেই তা বারবার বিভিন্ন নেতার কথায় প্রকাশিত।