কলকাতা : মাসকাবারি খরচ বাড়তে পারে আরও। ডিমের দাম তো বেড়েছিলই বা কব্জি ডুবিয়ে মাংস ভাত খাওয়াও কঠিন হবে অনেকের কাছে। হাতের কাছে সহজ প্রোটিন পুষ্টিও ক্রমশ চলে যাচ্ছে নাগালের বাইরে। ফের বাড়ছে মুরগির মাংসের দাম। মুরগির দামও যেভাবে লাফিয়ে বাড়ছে, তাতে পকেটের কথা ভাবতে হচ্ছে সাধারণকে।
গড়িয়াহাট বাজারে কাটা মুরগি বিক্রি হচ্ছে কেজি প্রতি ২৮০ টাকায়। আজ কলকাতায় গোটা মুরগির পাইকারি দর ১৬০ টাকা। গত একমাসে প্রায় ৪০-৪৫ টাকা বেড়েছে মুরগির মাংসের দাম। জোগান কম থাকায় দাম বাড়ছে বলে জানিয়েছেন বিক্রেতারা। গত ডিসেম্বরেও বাড়ে মুরগির মাংসের দাম ( Chicken Price )। সেই সময় ২২০-২৩০ টাকায় পৌঁছয় মুরগির দাম। গোটা মুরগি পাইকারি বাজারে তখন দাম বেড়ে হয় ১২৮ টাকা। তিন মাসের মাথায় আবারও বাড়ল দাম। শুধু মুরগির মাংস নয়, ডিমের দামও বেড়েছে সম্প্রতি। বাজারে সবজির দামও আকাশছোঁয়া।
আরও পড়ুন :
মমতা - অভিষেকের বারণ, তবুও হুগলির পুরশুড়ায় বালি খাদানের নিয়ন্ত্রকও কুন্তল ! বিশাল তার দাপট
গত জানুয়ারিতে বাড়ে ডিমের দাম। কলকাতার বাজারে এক পিস ডিম এখন ৭ টাকা। এর আগে নভেম্বরের শেষে ডিমের দাম ৫০ পয়সা বেড়েছিল। এখন হাঁসের ডিম প্রতি পিস ১২ টাকায় বিক্রি হচ্ছে। ডিমের দাম বাড়ায় পকেটে টান পড়ছে সাধারণ ক্রেতাদের।
এর আগে নভেম্বরের মাঝামাঝি, মূল্যবৃদ্ধি ঠেকাতে নবান্নর বৈঠকে হিমঘর থেকে সমস্ত আলু বের করে দিতে নির্দেশ দেন মুখ্যমন্ত্রী। মুরগির মাংস ও সবজির অতিরিক্ত দাম নিয়েও অসন্তোষ প্রকাশ করেন মমতা বন্দ্যোপাধ্যায়। সাধারণত শীতে সবজির দাম কমে,
কিন্তু, শেষ শীতে ঠান্ডার আমেজ বাড়লেও, সেভাবে আলুর দাম কমতে দেখা যায়নি। ১৫ ডিসেম্বরের মধ্যে হিমঘর থেকে সমস্ত আলু বের করার নির্দেশ দেন মুখ্যমন্ত্রী।
পেট্রোল সেঞ্চুরি করেছে অনেক আগেই । ডিজেলও ৯০ এর কোঠায় । পরিবহণ খরচ বেড়ে যাওয়ায় তার প্রভাব পড়েছে সবজির দামেও। আগামী দিনে মুরগির মাংসের দাম কমার সম্ভাবনা প্রায় নেই বললেই চলে বলেই মনে করছেন বিক্রেতারা।
সামনেই বিয়েবাড়ির মরসুম। তারপর পয়লা বৈশাখ। এই সময় ডিম বা মাংসের চাহিদা বেশি থাকে। ফলে এখনই মুরগির মাংসের দাম নিয়ন্ত্রণে আসবে, সে সম্ভাবনা বিশেষ নেই বলে জানাচ্ছেন বিক্রেতারা।