হিন্দোল দে, কলকাতা : পার্থ চট্টোপাধ্যায় ও অর্পিতা মুখোপাধ্যায়ের গ্রেফতারির পর একের পর এক সম্পত্তি ইডির নজরে আসছে। সেই সব সম্পত্তি কার নামে, কার যাতায়াত ছিল সেখানে, কবে কেনা হয়, সব দিকেই নজর এনফোর্সমেন্ট ডিরেক্টরেটের। ঠিক যেমন বারুইপুরে ED’র নজরে একাধিক সম্পত্তি রয়েছে । এরমধ্যে রয়েছে, বারুইপুরের একটি বিলাসবহুল বাগানবাড়ি। যার মালিকানা ঘিরে এখন জোর জল্পনা।


বারুইপুরের বেগমপুর গ্রাম পঞ্চায়েতের পুঁড়ী গ্রাম। এই গ্রামেই রয়েছে তিন বিঘা জমির ওপর বিশাল এক বাগানবাড়ি। নাম বিশ্রাম। বাড়ির একদিকে, বড় বড় গাছ, পিছনদিকে বিশাল এক পুকুর। আর এই শান-বাঁধানো পুকুর ঘাটেই নাকি মাঝেমধ্যেই দেখা যেত পার্থ চট্টোপাধ্যায়কে। সবাই এই বাড়ি চিনত পার্থর বাড়ি হিসেবেই। এখানে, তৃণমূল কংগ্রেসের মহাসচিবের সঙ্গে আসতেন আর কারা ? এই প্রশ্নের উত্তরে চমকে দিলেন স্থানীয় এক তৃণমূল নেতাই । 

জাহাঙ্গির মণ্ডল নামে এক তৃণমূল নেতা জানালেন, ৩ বিঘে জমির উপর ওই বাড়ি। ওঁর মেয়ে সোহিনীর নামে ওই বাড়ি। কে আসতেন সঙ্গে ? ওই তৃণমূল কর্মীর দাবি, ' কে অর্পিতা, কে মোনালিসা চিনতাম না... ওঁর গাড়িতে অনেক লোকজন আসত। গাড়ি বাইরে গেটের সামনে থাকত।  গেট বন্ধ হয়ে যেত। ' 



বাড়ির দেখাশোনার দায়িত্বে পার্থর জামাই। তিনিই মাঝে মধ্যে এসে দেখে যেতেন। যদিও জাহাঙ্গিরের দাবি,  জমি বিক্রি হয়েছিল অনেকদিন আগে। জ্যোতি বসুর আপ্ত সহায়ক এই বাড়িটা কেনেন। তাঁর থেকে পার্থ চট্টোপাধ্যায় ট্রান্সফার নেন।


অন্যদিকে আবার জানা যায়, হুগলির জাঙ্গিপাড়ার এক গ্রামে মামার বাড়ি পার্থ চট্টোপাধ্যায় ঘনিষ্ঠ অর্পিতার। সেখানেও তাঁর সঙ্গে বেশ কয়েকবার গিয়েছেন তৃণমূলের মহাসচিব। দুর্গাপুজোয় গিয়ে স্থানীয় পুকুরে মাছও ধরেছেন প্রাক্তন শিক্ষামন্ত্রী। অর্পিতার মামাবাড়ি থেকে দেড়শো মিটার এগোলেই এক বাড়ি। স্থানীয়দের বক্তব্য মাটির এই বাড়িটিই সম্প্রতি নতুন করে তৈরি করান অর্পিতা। এখানেও বেশ কয়েকবার এসেছেন পার্থ চট্টোপাধ্যায়। তিনি গ্রেফতার হওয়ার পর থেকেই এখন এখানে উত্‍সুক জনতার ভিড়!