সৌভিক মজুমদার, কলকাতা: দিল্লি নয়, মেনকা গম্ভীরকে (Maneka Gambhir) কলকাতাতেই জিজ্ঞাসাবাদ করতে হবে ইডিকে, নির্দেশ দিল কলকাতা হাইকোর্ট। এ নিয়ে অভিষেক বন্দোপাধ্যায়ের (Abhishek Banerjee) শ্যালিকার (Sister In Law) আবেদনে সাড়া দিয়ে দিয়েছে হাইকোর্ট (CHC)। সঙ্গে তাঁর আর্জি মেনে রক্ষাকবচের আবেদনেও সায় দিয়েছে।
কী বলল হাইকোর্ট?
বিচারপতি মৌসুমী ভট্টাচার্য জানিয়েছেন, আগামী ৫ সেপ্টেম্বর সকাল সাড়ে ১০টায় কলকাতায় ইডি-র আঞ্চলিক অফিসে হাজির হতে হবে মেনকা গম্ভীরকে। ইডির তরফে যে গোপনীয় নথির যুক্তি দেওয়া হয়েছে, তা গ্রহণযোগ্য নয়, পর্যবেক্ষণ হাইকোর্টের। নথি দিল্লি থেকে কলকাতায় আনা যাবে না, এই যুক্তিও গ্রহণযোগ্য নয়। জানিয়েছে হাইকোর্ট। পাশাপাশি হাইকোর্ট তাঁকে রক্ষাকবচও দিয়েছে। তাঁর বিরুদ্ধে এই মুহূর্তে কোনও পদক্ষেপ করতে পারবে না ইডি, নির্দেশ বিচারপতি মৌসুমী ভট্টাচার্যের। সুপ্রিম কোর্ট অভিষেক বন্দোপাধ্যায় ও তাঁর স্ত্রী রুজিরা বন্দোপাধ্যায়ের ক্ষেত্রে যে রায় দিয়েছিল, এই মামলার রায় দেওয়ার সময় সেটিও মাথায় রেখেছে কলকাতা হাইকোর্ট। শীর্ষ আদালত বলেছিল, কলকাতাতেই জিজ্ঞাসাবাদ করতে হবে অভিষেক-রুজিরাকে। সেই সময় রক্ষাকবচও দেওয়া হয়েছিল তাঁদের। সেই নির্দেশনামা কলকাতা হাইকোর্টের কাছে গুরুত্বপূর্ণ বিষয় হয়ে দাঁড়িয়েছে।
অভিষেকের সঙ্গে তলব মেনকাকেও...
অভিষেককে ডাকার ২ দিন পরেই তাঁর শ্যালিকা মেনকা গম্ভীরকে দিল্লির সদর দফতরে কয়লাকাণ্ডে তলব করা হয়েছিল। আগামী ৫ সেপ্টেম্বর হাজিরার নির্দেশ। ইডি সূত্রে খবর, বিদেশি ব্যাঙ্কে লেনদেন নিয়ে অভিষেকের শ্যালিকাকে জিজ্ঞাসাবাদ করা হবে। দিল্লিতে তলবের বিরুদ্ধেই হাইকোর্টে আবেদন করেন অভিষেক-শ্যালিকা। উল্লেখ্য, কয়লাকাণ্ডের তদন্তে অভিষেক বন্দ্যোপাধ্যায়ের স্ত্রী ও শ্যালিকাকে জিজ্ঞাসাবাদ করতে চেয়ে ২০২১ সালে নোটিস দিয়েছিল সিবিআই। ২০২১ সালের ফেব্রুয়ারি মাসে কয়লাকাণ্ডের তদন্তে অভিষেক বন্দ্যোপাধ্যায়ের শ্যালিকাকে পৌনে তিন ঘণ্টা ধরে জিজ্ঞাসাবাদ করেন তাঁরা। লন্ডনের একটি ব্যাঙ্ক অ্যাকাউন্টের বিষয়ে তথ্য চাওয়া হয় বলে গোয়েন্দা সূত্রে দাবি করা হয়। সেই সময় সিবিআইকে সময় দেন অভিষেক বন্দ্যোপাধ্যায়ের স্ত্রী রুজিরাও। এবার কয়লাপাচার কাণ্ডে অভিষেকের সঙ্গে তলব করা হয়েছে শ্যালিকা মেনকাকেও। ১২ অগাস্ট তাঁকে নোটিস দেয় ইডি। ২৮ অগাস্ট নোটিস পৌঁছয় অভিষেকের কাছে। কিন্তু মেনকার আইনজীবীর প্রশ্ন ছিল, যে ঘটনাকে কেন্দ্র করে ডাকা হচ্ছে, তা এই রাজ্যে ঘটেছে। তা হলে তাহলে দিল্লিতে ডেকে পাঠানো হচ্ছে কেন? এর পরই কলকাতায় জিজ্ঞাসাবাদের নির্দেশ হাইকোর্টের।