প্রকাশ সিনহা, পার্থপ্রতিম ঘোষ ও সত্যজিৎ বৈদ্য, কলকাতা ও ভুবনেশ্বর: ইডি-র দুই আধিকারিককে হুমকি দিয়েছেন পার্থ চট্টোপাধ্যায়। তিনি নাকি এও বলেছেন যে এসএসকেএম (SSKM) তাঁরই হাসপাতাল। যেমন মেডিক্যাল রিপোর্ট চাইবেন, সেটাই পাবেন। আদালতে চাঞ্চল্যকর দাবি করেছেন, ইডি-র আইনজীবী। এসএসকেএম-এ মেডিক্যাল টেস্ট করালে হয়ত AIIMS-এর মতোই রিপোর্ট আসত, আদালতে দাবি পার্থর আইনজীবী। এরই মধ্যে ৩ অগাস্ট পর্যন্ত পার্থ চট্টোপাধ্যায় ও অর্পিতা মুখোপাধ্যায়কে ইডি হেফাজতের নির্দেশ।
ভর্তি-তরজা:
শেষ অবধি ভুবনেশ্বর এইমস ভর্তি নেয়নি পার্থ চট্টোপাধ্যায়কে। জানিয়ে দিয়েছে তাঁর শারীরিক পরিস্থিতি গুরুতর নয়। পার্থ চট্টোপাধ্যায়ের এসএসকেএম-এ থাকা নিয়ে আগেই আপত্তি জানিয়েছিল এনফোর্সমেন্ট ডিরেক্টরেট। সোমবার আদালতে ইডি-র আইনজীবী দাবি করেন, সরকারি হাসপাতালে থাকার সুবিধা নিয়ে প্রভাব খাটানোর চেষ্টা করেছেন মন্ত্রী। এমনকী, অসুস্থ অবস্থায় হাসপাতালে নিয়ে যাওয়ার সময়, ইডি-র দুই আধিকারিককে তিনি হুমকি দেন বলেও অভিযোগ। ইডি-র দাবি, মন্ত্রী বলেছেন - এসএসকেএম তাঁর হাসপাতাল, যা চাইবেন করবেন, যেমন মেডিক্যাল রিপোর্ট চাইবেন, সেটাই পাবেন। মন্ত্রীর এই হুমকির ভিডিও আছে বলেও দাবি করেন ইডি-র আইনজীবী। প্রয়োজনে তা আদালতে পেশও করা হবে। এমনকী তল্লাশি অভিযানের সময়েও পার্থ চট্টোপাধ্যায়, অসহযোগিতা করেছেন বলেও অভিযোগ করেন ইডির আইনজীবী। তিনি দাবি করেন, পার্থ চট্টোপাধ্যায় সিজার লিস্ট ও অ্যারেস্ট মেমোতে সই করতে চাননি।
পার্থর শারীরিক পরিস্থিতি:
এদিন পার্থ চট্টোপাধ্যায়কে ভর্তি নেয়নি ভুবনেশ্বরের এইমস কর্তৃপক্ষ। সেখানকার মেডিক্যাল রিপোর্ট আদালতে জমা দিয়ে ইডি-র আইনজীবী বলেন, পার্থ চট্টোপাধ্যায়ের (Partha Chatterjee) ক্রনিক রোগ আছে। রক্তচাপ রয়েছে ১২১/৬১। অক্সিজেন লেভেল রয়েছে ১০০ শতাংশ। শ্বাসপ্রশ্বাস ব্যবস্থা নর্মাল রয়েছে। ১৫ বছর ধরে ডায়াবিটিসের সমস্যা রয়েছে পার্থর, তবে তাঁর শর্করার মাত্রা নিয়ন্ত্রণে আছে। বলা হয়েছে, তাঁর এমন কোনও রোগ নেই যে, হাসপাতালে ভর্তি হওয়ার প্রয়োজন আছে। ইডির তরফে আরও বলা হয়, পার্থ চট্টোপাধ্যায় নিজের অসুস্থতা নিয়ে মিথ্যা তথ্য দিয়েছেন। সেই কারণে, তাঁকে ভুবনেশ্বর নিয়ে যেতে কেন্দ্রীয় সরকারের টাকা নষ্ট হয়েছে।
এর পাল্টা পার্থ চট্টোপাধ্যায়ের আইনজীবী বলেছিলেন, এসএসকেএম-এ মেডিক্যাল টেস্ট হলেও হয়ত একই রিপোর্ট আসত। অন্যদিকে ইডির আইনজীবী বলেছিলেন, ইডি চায় সিজিও (CGO) কমপ্লেক্সে চিকিৎসককে নিয়ে গিয়ে মেডিক্যাল টেস্ট করাতে।