কলকাতা: নিয়োগ দুর্নীতিকাণ্ডে ঘুঁটি সাজাচ্ছে কেন্দ্রীয় তদন্তকারী সংস্থা এনফোর্সমেন্ট ডিরেক্টরেট (Enforcement Directorate)। এবার 'কালীঘাটের কাকু' ওরফে সুজয়কৃষ্ণ ভদ্রকে (Sujaykrishna Bhadra) জিজ্ঞাসাবাদ করতে পারে তারা। তাঁকে শীঘ্রই তলব করা হতে পারে বলে ইডি সূত্রে খবর। ইডি-র দাবি, সুজয়কৃ্ষ্ণর বাড়ি ও অফিসে তল্লাশিতে তাঁর সঙ্গে তিনটি কোম্পানির যোগ মিলেছে (ED Summon)।


সুজয়কৃষ্ণ যদিও কোনও রকম প্রত্যক্ষ বা পরোক্ষ যোগের অভিযোগ অস্বীকার করেছেন (SSC Case)। কিন্তু ইডি-র দাবি, এই কোম্পানিগুলির মাধ্যমে কোটি কোটি টাকা লেনদেন হয়েছে। এভাবেই কালো টাকা সাদা করা হয়েছে বলে ইডি-র দাবি। ওই কোম্পানির এক হিসাব রক্ষককে তলব করেছে ইডি। কেন্দ্রীয় এজেন্সির দাবি, এই হিসাব রক্ষক টাকার লেনদেন সামলাতেন। তাঁকে জিজ্ঞাসাবাদ করে সুজয়কৃষ্ণর বয়ান মিলিয়ে দেখা হবে।


সুজয়কৃষ্ণকে এর আগে জিজ্ঞাসাবাদ করে সিবিআই। ইডি শুধু কয়েক দিন আগে তল্লাশি চালায় তাঁর বাড়িতে। সেখানে অল্প ক্ষণ কথা হয় তাঁর সঙ্গে। সেই সময় তিন সংস্থার সঙ্গে সংযোগ অস্বীকার করেন সুজয়কৃষ্ণ। কিন্তু ইডি-র একটি সূত্র জানাচ্ছে, বেশ কিছু তথ্য হাতে এসেছে ইডি-র হাতে। তাতে তাঁর সংযোগ ধরা পড়েছে। এর মধ্যে দু'টি সংস্থার হিসেবরক্ষককে জিজ্ঞাসাবাদ করা হয়েছে। টাকার উৎস কী ছিল, তা জানতে চাওয়া হবে। 


আরও পড়ুন: Malda News: সাত সকালে বাজির দোকানে আগুন, পর পর বিস্ফোরণের শব্দ, ইংরেজবাজারে ঝলসে মৃত্যু একজনের


ইডি-র দাবি, দেড় হাজার পাতার নথি বাজেয়াপ্ত করেছে তারা। সেখান থেকে বেশ কিছু তথ্য হাতে এসেছে। ডিজিটাল নথিপত্রও হাতে এসেছে তাদের। প্রায় ১২-১৩টি মোবাইল ফোনের সন্ধান মিলেছে। ওই তিন সংস্থায় কারা বিনিয়োগ করতেন, কী উপায়ে হতো লেনদেন, জানতে চাইছেন তদন্তকারীরা। সেই নিয়ে শীঘ্রই সুজয়কৃষ্ণবে তলব করা হতে পারে জিজ্ঞাসাবাদের জন্য।


এর পাশাপাশি,  নিয়োগ দুর্নীতিকাণ্ডেনাইসা-র কর্তা নীলাদ্রি দাসকে জেলে গিয়ে জেরা করতে চায় কেন্দ্রীয় গোয়েন্দা সংস্থা। সূত্রের খবর, নাইসা-র এক আধিকারিকের জবানবন্দি এবং আরও দুই আধিকারিকের বয়ান খতিয়ে দেখে নতুন তথ্য মিলেছে। তিন আধিকারিকের বয়ান সামনে রেখেই প্রেসিডেন্সি জেলে গিয়ে নাইসা-র ভাইস প্রেসিডেন্ট নীলাদ্রি দাসকে জেরা করবে সিবিআই। সার্ভারে ঢুকে নাইসা-র আধিকারিকরা নম্বরে হেরফের ঘটাতেন বলে অভিযোগ। 


এসএসসি-র এক আধিকারিকের ফোন নম্বর এবং হোয়াটসঅ্যাপ চ্যাট থেকে এমন একাধিক বিস্ফোরক তথ্য পাওয়া গিয়েছে বলে জানা যাচ্ছে ইডি সূত্রে। ইডি-র একটি সূত্রে জানা গিয়েছে, ওই আধিকারিকের ফোনটি সেন্চ্রাল ফরেন্সিক ল্যাবে পাঠানো হয়। তাতেই একাধিক তথ্য পাওয়া গিয়েছে। কী ভাবে অযোগ্য চাকরিপ্রার্থীদের নম্বর বাড়ানো হত, সে ব্যাপারে তথ্য মিলেছে বলে খবর।