কলকাতা: পুরনিয়োগ দুর্নীতি মামলায় (Municipal Recruitment Scam) পুরসভাগুলি যে নথি জমা দিয়েছে তাতে সন্তুষ্ট নয় ইডি (ED)। ইডি-র দাবি ২০টি পুরসভাকে নথি পাঠানোর জন্য নোটিস পাঠানো হয়েছিল। তাঁর মধ্যে ৬-৭টি পুরসভা সব নথি জমা দেয়নি। ইডি-র অনুমান যে নথি জমা পড়েনি সেখানেই লুকিয়ে আছে রহস্য। সেই নথির সন্ধানেই এবার কর্মীদের জিজ্ঞাসাবাদ করা হবে বলে সূত্রের খবর।


সম্প্রতি পুরসভা নিয়োগ দুর্নীতি মামলায় পুর ও নগরোন্নয়ন দফতরকে চিঠি দিয়ে ওএমআর শিট সংক্রান্ত তথ্য জানতে চেয়েছিল সিবিআই। সূত্রের খবর, ২০১৪-র পর থেকে পুরসভাগুলিতে নিয়োগ সংক্রান্ত যে সমস্ত পরীক্ষা হয়েছে, তার OMR শিট কোথায় রয়েছে জানতে চেয়েছিল তারা। তদন্তকারীরা জানতে চেয়েছিলেন, OMR শিটে কোনও কারচুপি হয়েছিল কিনা? পুরসভা নিয়োগ দুর্নীতি মামলায় তারপরেই OMR শিটের খোঁজে নেমে পড়েছিল সিবিআই।


সূত্রের খবর, পুর ও নগরোন্নয়ন দফতরকে চিঠি দিয়ে OMR শিট সংক্রান্ত তথ্য জানতে চেয়েছিল কেন্দ্রীয় তদন্তকারী সংস্থা। পুরসভায় নিয়োগেও যে দুর্নীতির জাল ছড়িয়েছিল, সেই তথ্য প্রথম ফাঁস হয়,প্রোমোটার অয়ন শীলের অফিসে ইডির তল্লাশি অভিযানের পরে। স্কুলে নিয়োগ দুর্নীতির তদন্ত করতে গিয়ে হদিশ মিলেছিল পুরসভাতেও নিয়োগ দুর্নীতির। 


ইডি সূত্রে জানা যায়, অয়ন শীলের অফিস থেকে অন্তত ৬০টি পুরসভার নিয়োগ সংক্রান্ত নথি ও চাকরিপ্রার্থীদের নামের তালিকা উদ্ধার হয়েছিল। অফিসের ড্রয়ার থেকে উদ্ধার হয় ৪০০টি OMR শিট। যার মধ্যে অনেকগুলি OMR শিট ফাঁকা ছিল। এরপর গত ৭ জুন পুরসভায় নিয়োগ দুর্নীতির অভিযোগের শিকড়ে পৌঁছতে, দক্ষিণবঙ্গের ১৪টি পুরসভায় তল্লাশি চালায় সিবিআই। সূত্রে খবর, যে ১৪টি পুরসভায় অভিযান চালানো হয়, সেখান থেকে প্রায় ১৮-২০ হাজার পাতার নথি বাজেয়াপ্ত করেছিলেন তদন্তকারীরা। এর মধ্যে ৪টি পুরসভার নথির সঙ্গে প্রায় এক হাজার OMR শিট মিলেছিল।


আরও পড়ুন, প্রবল বর্ষণে নদী বাঁধ ভেঙে ভাসল মালদার একাধিক গ্রাম, জমা জলে ডেঙ্গির আশঙ্কা


 সিবিআইয়ের তরফে দাবি ছিল, ২০১৪-র পর থেকে বিভিন্ন পদে যে নিয়োগ হয়েছে তার OMR শিটের কপি রয়েছে ওই ৪টি পুরসভার নথিতে। আর তারপরেই পুর ও নগরোন্নয়ন দফতরের কাছে, ২০১৪-র পর থেকে পুরসভাগুলিতে নিয়োগ সংক্রান্ত যে সমস্ত পরীক্ষা হয়েছিল, তার OMR শিট কোথায় রয়েছে জানতে চেয়েছিল সিবিআই।