প্রকাশ সিনহা, কলকাতা :কিছুদিন আগে সন্দেশখালিতে ( Sandeshkhali ) ইডির ( ED ) অভিযান নিয়ে তোলপাড় হয়ে গিয়েছিল রাজ্য। সেই অভিঘাত এখনও চলছে। ক্রমেই চড়ছে অশান্তির পারদ। ক্রমেই জল গড়াতে গড়াতে গিয়েছে বহুদূর। তারপরে ফের সাতসকালে রেশন দুর্নীতির তদন্তে অ্যাকশনে নেমেছে ED। সল্টলেক, সেক্টর ফাইভ, বাগুইআটি, EM বাইপাসের মেট্রোপলিটন-সহ কলকাতার ৬টি জায়গায় একযোগে চালানো হয়েছে তল্লাশি-অভিযান। আর্থিক দুর্নীতির তদন্তে কৈখালিতে শেয়ার ব্যবসায়ী হানিস তোশওয়ালের ফ্ল্যাটে হানা দেয় ED। সেখানে গিয়ে এমন এক ঘটনা ঘটে, যা মনে করিয়ে দিয়েছে জীবনকৃষ্ণ সাহাকে। সেই তৃণমূল বিধায়ক, যাঁকে সিবিআই জেরা করতে গেলে তিনি পাশের পুকুরে ছুড়ে ফেলে দিয়েছিলেন মোবাইল ফোন।
ED-র অভিযানে ঘটে গেল মুর্শিদাবাদের বড়ঞার পুনরাবৃত্তি। তৃণমূল বিধায়ক জীবনকৃষ্ণ সাহার ধাঁচেই বাকিবুর রহমান ঘনিষ্ঠ শেয়ার ব্য়বসায়ীর ফ্ল্যাট থেকে পাশের বাড়ির ছাদে ছুড়ে ফেলা হয় দুটি মোবাইল ফোন। আর্থিক দুর্নীতির তদন্তে এদিন সকালে কৈখালির PS ম্যাগনাম কমপ্লেক্সে কেন্দ্রীয় এজেন্সির দাবি, তল্লাশি চলাকালীন ব্যবসায়ীর আটতলার ফ্ল্যাট থেকে ছুড়ে পাশের বাড়ি ছাদে ফেলে দেওয়া হয় দুটি মোবাইল ফোন। পরে ওই দুটি মোবাইল ফোন উদ্ধার করেন ED-র আধিকারিকরা। সন্দেহজনক তথ্য লুকোতেই মোবাইল ফোন ফেলে দেওয়া হয়েছিল বলে অনুমান ED-র। ঠিক যেমনটা করেছিলেন জীবনকৃষ্ণ।
আরও পড়ুন :
হাসপাতাল থেকে ছুটি পাওয়ার আগেই সৌরভের মাকে দেখে এলেন মিঠুন
বড়ঞার তৃণমূল বিধায়ক জীবনকৃষ্ণ সাহার সেই দুটি মোবাইল ফোন থেকে একশো শতাংশ তথ্য উদ্ধার করা সম্ভব হয় বলে দাবি করে সিবিআই। কেন্দ্রীয় এজেন্সির দাবি, SSC মামলার তদন্ত শুরু হওয়ার পরেই জীবনকৃষ্ণ তাঁর দুটি ফোন থেকে প্রচুর কথোপকথন ও ছবি ডিলিট করে দেন। কিন্তু ফরেন্সিক বিশেষজ্ঞদের সাহায্যে মুছে দেওয়া ডেটার একশো শতাংশই উদ্ধার করা সম্ভব হয় পরে। অন্তত এমনটাই দাবি কেন্দ্রীয় গোয়েন্দাদের। সিবিআইয়ের দাবি, ডেটা রিট্রিভ করে জীবনকৃষ্ণর কাছ থেকে নিয়োগ দুর্নীতির টাকা কোথায় কোথায় পৌঁছেছে, সে সম্পর্কে গুরুত্বপূর্ণ তথ্যপ্রমাণ মেলে। কেন্দ্রীয় গোয়েন্দাদের অনুমান, এই সমস্ত তথ্য লুকোতেই বাড়িতে তল্লাশি চলাকালীন ফোন দুটি পুকুরে ফেলে দেন জীবনকৃষ্ণ। তাহলে কি কোনও বড়সড় আর্থিক দুর্নীতি ঢাকতেই মোবাইল ছুড়ে ফেললেন রেশন-দুর্নীতি কাণ্ডে ধৃত বাকিবুর রহমান ঘনিষ্ঠ শেয়ার ব্য়বসায়ী?
আরও পড়ুন :