কলকাতা : সন্দেশখালিকাণ্ডের ১০ দিন পর ফের রেশন দুর্নীতি তদন্তে অভিযানে ইডি। শহরের চার জায়গায় তদন্তে নামল কেন্দ্রীয় এজেন্সি। সল্টলেকের সেক্টর ফাইভে শঙ্কর আঢ্যর সিএ অরবিন্দ সিংহর অফিসে হানা।
এবার হানা কোথায় কোথায়?
কেন্দ্রীয় বাহিনীকে দিয়ে এরিয়া ডমিনেশন করিয়ে কলকাতার চারটি জায়গায় চলছে তল্লাশি। সল্টলেকের সেক্টর ফাইভের সিডকো গ্লোবাল টাওয়ারের ১২ তলায় শঙ্কর আঢ্যর চার্টার্ড অ্যাকাউন্ট্যান্ট অরবিন্দ সিংয়ের অফিসে হানা দিয়েছেন ED-র আধিকারিকরা। নিউ মার্কেটের কাছে চৌরঙ্গি লেনে SR আঢ্য ফিনান্স প্রাইভেট লিমিটেডের অফিসেও ED-র অভিযান। এটি শঙ্কর আঢ্যর ফোরেক্স কোম্পানি বলে ED-র দাবি। আগের দিন এই অফিস সিল করে দিয়ে যায় কেন্দ্রীয় এজেন্সি।
ইডির অভিযোগ
কেন্দ্রীয় এজেন্সির দাবি, শঙ্কর আঢ্যর এই ফোরেক্স কোম্পানির মাধ্যমে রেশন দুর্নীতির কোটি কোটি টাকা বিদেশে পাচার হয়েছে। কালো টাকা সাদাও করা হয়েছে শঙ্করের কোম্পানির মাধ্যমে। ED-র দাবি, ফোরেক্স কোম্পানির মাধ্যমে বিদেশি মুদ্রা বিনিময় নির্দিষ্ট নিয়ম মেনে হয়নি। ফোরেক্স ট্রেডিংয়ের মাধ্যমে কীভাবে টাকা পাচার, শঙ্কর আঢ্যর CA-র কাছে সেই পরিকল্পনার হদিশ মিলবে বলে মনে করছে ED।
মেরুন ডায়েরি রহস্য
অন্যদিকে, রেশন দুর্নীতির তদন্তে উদ্ধার করা হয়েছে মেরুন ডায়েরি। তাতে পাওয়া গিয়েছে চাঞ্চল্যকর তথ্য। দাবি ইডি সূত্রের। মন্ত্রী জ্যোতিপ্রিয় মল্লিকের প্রাক্তন আপ্ত সহায়ক অভিজিৎ দাসের বাড়ি থেকে উদ্ধার করা ডায়েরিতে রয়েছে। তাতে পাওয়া গিয়েছে লেনদেনের হিসেব। খবর সূত্রের। ওই ডায়েরিতে আছে মন্ত্রীর হয়ে অভিজিৎ কোথায়, কাদের কাছ থেকে, কত টাকা তুলেছেন, দাবি ইডি-র।
সূত্রের খবর, মন্ত্রী জ্যোতিপ্রিয় মল্লিকের প্রাক্তন আপ্ত সহায়ক অভিজিৎ দাসের হাওড়ার বাড়ি থেকে উদ্ধার হওয়া ওই ডায়েরিতে যাবতীয় টাকা লেনদেনের হিসেব লেখা রয়েছে। ED-র দাবি, নিজের বয়ানে অভিজিৎ স্বীকার করেছেন, তিনি জ্যোতিপ্রিয়র হয়ে টাকা তুলতেন। ED সূত্রে খবর, মন্ত্রীর প্রাক্তন আপ্ত সহায়ক অভিজিৎ দাসের বাড়ি থেকে উদ্ধার হওয়া ওই ডায়েরিতে ব্যবসায়ী হিতেশ চন্দকের কাছ থেকেও টাকা তোলার কথা লেখা রয়েছে। ED-র দাবি, জিজ্ঞাসাবাদে হিতেশ জানিয়েছেন, সমাজ সেবার নাম করে জ্যোতিপ্রিয় তাঁর কাছ থেকে ওই টাকা নেন।
আরও পড়ুন : ১২ বছর পর বৃষ রাশিতে বৃহস্পতির প্রবেশ, সৌভাগ্য ফুলেফেঁপে উঠবে এই রাশিগুলির
( বিস্তারিত আসছে ... )