কলকাতা: নিয়োগ দুর্নীতি মামলার তদন্তে সুজয়কৃষ্ণ ভদ্র ওরফে কালীঘাটের কাকুর সংযোগ (Kalighater Kaku) খোঁজা চলছে। নিউ আলিপুরে লিপস অ্যান্ড বাউন্ডসের অফিসে ১৮ ঘণ্টা ধরে ম্যারাথন তল্লাশি চালাল এনফোর্সমেন্ট ডিরেক্টরেট (ED)। সোমবার সকাল সাড়ে ১১টা নাগাদ নিউ আলিপুরের P ব্লকে লিপস অ্যান্ড বাউন্ডসের অফিসে হানা দেন ইডি-র আধিকারিকরা। অফিসের তিন কর্মীকে রাতভর চলে জিজ্ঞাসাবাদ। মঙ্গলবার ভোরে সেখান থেকে বেরোন তাঁরা। (SSC Case)
ইডি সূত্রে খবর, নিউ আলিপুরে লিপস অ্যান্ড বাউন্ডসের অফিসের ডেটাবেস এবং ডিজিটাল নথি পরীক্ষা করে দেখা হয়। মঙ্গলবার ভোর ৫টা ৪০-এ লিপস অ্যান্ড বাউন্ডসের অফিস থেকে তিনটি ব্যাগ নিয়ে বেরোতে দেখা যায় ইডি-র অফিসারদের। সূত্রের খবর, বেশ কিছু নথি বাজেয়াপ্ত করা হয়েছে। প্রায় ১ হাজার পাতার নথি উদ্ধার করা হয়েছে বলে খবর।
ইডি সূত্রে খবর, জেরায় কালীঘাটের কাকু সুজয়কৃষ্ণ ভদ্র দাবি করেন তিনি লিপস অ্যান্ড বাউন্ডসের চিফ অপারেটিং অফিসার বা COO ছিলেন। সেই সূত্রেই তল্লাশি। কালীঘাটের কাকুর যোগ রয়েছে এমন আরও দু'টি জায়গায় গতকাল তল্লাশি চালায় ইডি, যার মধ্যে একটি হল দক্ষিণ কলকাতার লি রোডে কাকুর মেয়ে-জামাইয়ের ফ্ল্যাট। এর পাশাপাশি, দক্ষিণ ২৪ পরগনার বিষ্ণুপুরের সাঁজুয়া এলাকায় প্রয়াত তৃণমূল নেতা রমজান শেখের আবাসন প্রকল্পে হানা দেন ইডি-র আধিকারিকরা। সেখানে লিপস অ্যান্ড বাউন্ডসের নামে পানীয় জলের কারখানা রয়েছে বলে ইডি-র চার্জশিটে উল্লেখ।
আরও পড়ুন: Visva Bharati Ragging : 'মানসিক নির্যাতন', এবার বিশ্বভারতীর হস্টেলে 'র্যাগিং', UGC কে চিঠি ছাত্রের
এর আগে. সুজয়কৃষ্ণর বিরুদ্ধে চার্জশিটে লি রোডের ওই ফ্ল্যাটের উল্লেখ করে ইডি। নিয়োগ দুর্নীতির কালো টাকা সাদা করতেই ওই ফ্ল্যাট কেনা হয়েছিল বলে ইডি-র তদন্তকারীদের সন্দেহ। চার্জশিটে ইডি দাবি করে, সুজয়কৃষ্ণর মেয়ে-জামাইয়ের এই ফ্ল্যাটের ডিড ভ্যালু খাতায়-কলমে আড়াই কোটি দেখানো হলেও, আদতে তা ৭-৮ কোটি হতে পারে।
সম্প্রতি নিয়োগ দুর্নীতির মামলায়, ইডি-র চার্জশিটে, প্রথমবার উল্লেখ করা হয় অভিষেক বন্দ্যোপাধ্যায়ের নাম। ১২৬ পাতার সেই চার্জশিটে কালীঘাটের কাকুর সঙ্গে অভিষেকের 'সম্পর্ক', লিপস অ্যান্ড বাউন্ডসের সঙ্গে সুজয়কৃষ্ণের নিয়ন্ত্রণাধীন কোম্পানি এস ডি কনসালটেন্সির যোগ, লিপস অ্যান্ড বাউন্ডসের অফিস থেকেই এস ডি কনসালটেন্সির কাজকর্ম পরিচালনা এবং পরিবর্তে মোটা টাকা লিপস অ্যান্ড বাউন্ডসের অ্য়াকাউন্টে ঢোকার মতো একাধিক চাঞ্চল্য়কর দাবি করা হয়েছে। চার্জশিটের ২২ নম্বর পাতায় ইডি দাবি করেছে, অভিষেক বন্দ্যোপাধ্যায়ের অত্যন্ত ঘনিষ্ঠ এই কালীঘাটের কাকু। যুব তৃণমূলের তৎকালীন সভাপতি অভিষেক বন্দ্যোপাধ্যায়ের আর্থিক বিষয়গুলি দেখাশোনা করতেন সুজয়কৃষ্ণ ভদ্র।