কলকাতা: নিয়োগ দুর্নীতি  মামলায় ফের (SSC Recruitment Scam,) জেল হেফাজতের মেয়াদ বাড়ল রাজ্যের প্রাক্তন মন্ত্রী তথা তৃণমূলের প্রাক্তন মহাসচিব পার্থ চট্টোপাধ্যায়ের (Partha Chatterjee)। তাঁর ঘনিষ্ঠ বলে পরিচিত অর্পিতা মুখোপাধ্যায়ের (Arpita Mukherjee) জেল হেফাজতের মেয়াদও বাড়ল ফের। আগামী ১৪ ডিসেম্বর পর্যন্ত জেল হেফাজতেই থাকতে হবে তাঁদের। 


নিয়োগ দুর্নীতি মামলায় হেফাজতের মেয়াদ বাড়ল পার্থ ও অর্পিতার


বুধবার ব্যাঙ্কশাল আদালতের তরফে পার্থ এবং অর্পিতার জেল হেফাজতের মেয়াদ বাড়ানো হয়। সেখানে পার্থর বিরুদ্ধে মারাত্মক অভিযোগ তোলে এনফোর্সমেন্ট ডিরেক্টরেট (Enforcement Directorate)। তদন্তকারীরা দাবি করেন, মোটা টাকার বিনিময়ে একটি বেসরকারি আইন কলেজকে ছাড়পত্র দেন পার্থ। টাকার বিনিময়ে ছাড়পত্র দেন একটি বেসরকারি ফার্মাসি কলেজকেও। 


শুধু তাই নয়, অর্পিতার বাড়ি থেকে যে কোটি কোটি টাকা উদ্ধার হয়েছে, তা  ‘শিডিউল অফেন্স’-এর  অংশ বলেও আদালতে দাবি করে ইডি। গোটা ঘটনার সঙ্গে ডাকাতির তুলনাও টানলেন কেন্দ্রীয় তদন্তকারী সংস্থার আইনজীবী।


আরও পড়ুন: Debangshu Bhattacharya: সভানেত্রী রইলেন সেই সায়নীই, তৃণমূলের যুব কমিটিতে নামই নেই দেবাংশুর, পোস্ট ঘিরে জল্পনা


শুধু তাই নয়, নিয়োগ দুর্নীতিতে পার্থর সঙ্গে প্রাথমিক শিক্ষা পর্ষদের প্রাক্তন সভাপতি মানিক ভট্টাচার্যের প্রত্যক্ষ যোগাযোগ ছিল বলেও আদালতে দাবি করে ইডি। বেআইনি কারবারে দু'জনের প্রত্যক্ষ যোগাযোগ ছিল বলে দাবি করে তারা। এর আগে, পার্থ এবং মানিক, দুই জনই জেল হেফাজত নিয়ে প্রশ্ন তুলেছিলেন। এ দিন জামিনের আবেদন না করলেও খামোকা তাঁদের জেলে আটকে রেখে শামুকের গতিতে তদন্ত চলছে বলেই কার্যত আদালতে সওয়ার করেন পার্থর আইনজীবী। উত্তরে আদালতে ইডি জানায়, কোটি কোটি টাকা উদ্ধারের ঘটনা খুন বা ডাকাতির মতো ‘সিঙ্গল অফেন্স’ নয় যে, একবার চার্জশিট দিলেই হয়ে গেল।


অর্পিতার জোড়া ফ্ল্যাট থেকে কোটি কোটি টাকা ও গয়না উদ্ধারের মামলায় এদিন শুনানি ছিল ব্যাঙ্কশাল কোর্টের বিশেষ আদালতে। সেখানে ভার্চুয়ালি উপস্থিত ছিলেন জেলবন্দি পার্থ ও অর্পিতা। দুই তরফের সওয়াল-জবাব শোনার পর এ দিন ১৪ ডিসেম্বর পর্যন্ত পার্থ-অর্পিতাকে জেল হেফাজতেই থাকার নির্দেশ দেন বিচারক।


১৪ ডিসেম্বর পর্যন্ত পার্থ-অর্পিতাকে জেল হেফাজতেই থাকার নির্দেশ


এর আগে, ২৪ নভেম্বর, মানিক প্রসঙ্গে আদালতে ED-র তরফে দাবি করা হয়েছিল, নতুন বেসরকারি D.El.Ed কলেজ খোলা ও সিট বাড়াতে NOC দেওয়ার ক্ষেত্রেও ব্যাপক আর্থিক লেনদেন হয়েছিল।