কলকাতা: শিয়ালদায় ট্রেন দুর্ঘটনায় (Sealdah Train Accident) সাসপেন্ড করা হল কারশেডগামী ট্রেনের চালককে (Sealdah)। প্রাথমিক তদন্তের পর রেল জানিয়েছে, সিগন্যালিংয়ে কোনও ত্রুটি ছিল না। কারশেডগামী ট্রেনের চালককে নির্দিষ্ট জায়গা পর্যন্ত গিয়ে থামতে বলা হয়েছিল। কিন্তু নির্দেশ অগ্রাহ্য করে কারশেডগামী ট্রেনটিকে এগিয়ে নিয়ে যান শান্টা। নির্দেশ না মানায় জেরেই দুর্ঘটনা ঘটে যায় বলে দাবি রেলের (Indian Railways)।
নির্দেশ অগ্রাহ্য করে এগিয়ে নিয়ে যাওয়া হয় ট্রেন! উঠছে অভিযোগ
বুধবার সকালে এই দুর্ঘটনার পর ইতিমধ্যেই এক রেলকর্মীকে সাসপেন্ড করা হয়েছে বলে জানা গিয়েছে। ঠিক কী ভাবে দুর্ঘটনা ঘটে, তা জানতে তদন্ত কমিটি গড়া হয়েছে বলে জানিয়েছেন রেল কর্তৃপক্ষ। আগামী ২৪ ঘণ্টার মধ্যে তাদের কাছ থেকে চাওয়া হয়েছে রিপোর্ট। প্রায় দু'ঘণ্টা পর লাইনচ্যুত ট্রেনটিকে সরানো সম্ভব হয়। তার পর ধীরে ধীরে স্বাভাবিক হয় ট্রেন চলাচল।
কিন্তু, এরকম দুর্ঘটনা ঘটল কী করে? পৃথক লাইনে থাকা দু’টি চলন্ত ট্রেনের পাশাপাশি ধাক্কাই বা লাগল কী করে? শিয়ালদার DRM, এসপি সিংহের দাবি, এই দুর্ঘটনা ঘটেছে কারশেডগামী ট্রেনের শান্টারের ভুলে। ওই শান্টারকেই সাসপেন্ড করা হয়েছে বলে জানিয়েছেন DRM শিয়ালদা। তিনি বলেন,
"কারশেডগামী ট্রেন যেখানে দাঁড়ানোর কথা ছিল, শান্টার সেখান থেকে এগিয়ে নিয়ে চলে যায়। রানাঘাটের সিগনাল ঠিক ছিল। ফলে কারশেডগামী ট্রেনের সঙ্গে ধাক্কা লাগে।"
বুধবার বেলা পৌনে ১২টা নাগাদ এই দুর্ঘটনা ঘটে। শিয়ালদা স্টেশনের ৬ নম্বর প্ল্যাটফর্ম ছেড়ে বেরোয় যাত্রীবোঝাই আপ রানাঘাট লোকাল। ওই একই সময়ে ৪ নম্বর প্ল্যাটফর্ম ছেড়ে বেরোয় কারশেডগামী একটি খালি লোকাল ট্রেন। শিয়ালদা DRM অফিস পেরিয়ে, কারশেডের ২০০ মিটার আগে,পাশাপাশি ধাক্কা লাগে দু’টি ট্রেনের। সংঘর্ষের তীব্রতায় কারশেডগামী লোকাল ট্রেনটির চালকের কেবিনের ডানদিকের অংশ তুবড়ে যায়। আর যাত্রীবোঝাই রানাঘাট লোকালের পিছন দিকে, গার্ডের কেবিনের বাঁদিকের অংশ ক্ষতিগ্রস্ত হয়। পাশাপাশি সংঘর্ষের জেরে লাইনচ্যুত হয়ে যায় কারশেডগামী খালি ট্রেনের চাকা।
দুর্ঘটনার জেরে বিপত্তি, বন্ধ থাকে ট্রেন চলাচল
বুধবার সকালে এই দুর্ঘটনার জেরে দীর্ঘক্ষণ ট্রেন চলাচল বন্ধ থাকে। দুর্ঘটনাগ্রস্ত ট্রেনদু’টিকে ওই জায়গা থেকে সরানোর পর, আস্তে আস্তে স্বাভাবিক হয় পরিষেবা।