প্রকাশ সিনহা, কলকাতা : এবার সুজয়কৃষ্ণ ভদ্র ওরফে 'কালীঘাটের কাকু'কে নোটিস পাঠাল ইডি। আগামী সপ্তাহে সিজিও কমপ্লেক্সে ইডি দফতরে তলব। হদিশ পাওয়া ৩টি কোম্পানি সংক্রান্ত তথ্য সামনে রেখে জিজ্ঞাসাবাদ করা হবে, খবর সূত্রের। গত এক সপ্তাহে ৩ কোম্পানির হিসাবরক্ষকদের কাছ থেকে বহু তথ্য মিলেছে, খবর ইডি সূত্রে। 


সুজয়কৃষ্ণ ভদ্রের বাড়িতে ১৫ ঘণ্টা তল্লাশি


CBI-এর পর ED, অফিস, বাড়িতে তল্লাশির পর এবার 'কালীঘাটের কাকু'কে তলব করল এনফোর্সমেন্ট ডিরেক্টরেট। শনিবার, সুজয়কৃষ্ণ ভদ্রের বাড়িতে ১৫ ঘণ্টা তল্লাশি চালায় ED। তল্লাশি চালানো হয় তাঁর একাধিক অফিসেও।

কোম্পানিগুলোর মাধ্যমে কী হত?


ইডি সূত্রে দাবি, নামে-বেনামে সুজয়কৃষ্ণ ভদ্রের ৩টি কোম্পানি ও একাধিক সম্পত্তির হদিশ মিলেছে। সূত্রের খবর, ইডি আধিকারিকরা জানতে চাইছেন, এই কোম্পানিগুলোর মাধ্যমে কি নিয়োগ দুর্নীতির কালো টাকা সাদা করা হয়েছিল? 
গত এক সপ্তাহ ধরে সুজয়কৃষ্ণ ভদ্রের ৩টি কোম্পানির একাধিক কর্মী, আধিকারিককে জিজ্ঞাসাবাদ করছেন তদন্তকারীরা।

ইডি সূত্রে দাবি, তাঁদের বয়ানের সূত্র ধরেই মঙ্গলবার সুজয়কৃষ্ণ ভদ্রকে জিজ্ঞাসাবাদ করা হবে। ইডি সূত্রে খবর, শনিবার সুজয়কৃষ্ণ ভদ্রের যে মোবাইলটি বাজেয়াপ্ত করা হয়, মঙ্গলবার সেটি তাঁর সামনেই খোলা হবে। এর আগে, চার্জশিটে ইডির তরফে দাবি করা হয়েছিল, বহিষ্কৃত তৃণমূল নেতা শান্তনু বন্দ্যোপাধ্যায়ের DIP ডেভলপার্সের ১ হাজার ২০০
স্কোয়ার ফুটের একটি কমার্শিয়াল স্পেস কেনার জন্য ২০২০ সালে অগ্রিম হিসেবে ৪০ লক্ষ টাকা দিয়েছিলেন সুজয়কৃষ্ণ ভদ্র।

সুজয়কৃষ্ণের বাড়িতে তল্লাশির পর, ইডি সূত্রে দাবি করা হয়, আয়ের সঙ্গে তাঁর ব্যয়ের সামঞ্জস্য মেলেনি। সূত্রের দাবি, এত সম্পত্তি কোথা থেকে এল, তা নিয়ে অসঙ্গতি ধরা পড়ে সুজয় ভদ্রের কথাতেও। 

শনিবার অভিষেক বন্দ্য়োপাধ্য়ায়কে সিবিআই জিজ্ঞাসাবাদের দিনে, কালীঘাটের কাক সুজয়কৃষ্ণ ভদ্রর বাড়িতে পৌঁছে গেছিল ইডি। এবার ইডি-র তলবে কি সাড়া দেবেন তিনি? 'কালীঘাটের কাকু'কে জিজ্ঞাসাবাদে কি মিলবে কোনও নতুন সূত্র? সেটাই দেখার।                           


আরও পড়ুন :


শুধু জামাইয়ের মঙ্গল নয়, জামাইষষ্ঠী ব্রতপালনের পিছনে ছিল শাশুড়িদের আরও এক মনস্কামনা


চলতি মাসের ৪ তারিখ, কালীঘাটের কাকু সুজয়কৃষ্ণ ভদ্রর বাড়িতে তল্লাশি চালায় সিবিআই। তাঁকে জিজ্ঞাসাবাদও করা হয়। তাঁর ২টো মোবাইল ফোন ও নথি বাজেয়াপ্ত করা হয়। সেদিন কেন্দ্রীয় বাহিনীকে সঙ্গে নিয়ে সুজয়কৃষ্ণ ভদ্রর বেহালা ফকির রায় রোডের বাড়িতে পৌঁছয় CBI। CBI সূত্রে দাবি,  বিভিন্ন সময় কুন্তল ঘোষের মাধ্যমে টাকা আসত সুজয়কৃষ্ণ ভদ্রের কাছে। পরে, তা চলে যেত প্রভাবশালীদের কাছে।