কলকাতা: সোমবার বিদেশ যাওয়ার পথে কলকাতা বিমানবন্দরে আটকানো হয়েছিল তাঁকে। সঙ্গে ছিল কোলের সন্তান। দীর্ঘক্ষণ ধরে অপেক্ষা করার পরে অবশেষে ফেরত চলে আসতে হয় রুজিরা বন্দ্যোপাধ্যায়কে। তারই সঙ্গে সেই সময়েই কলকাতা বিমানবন্দরে দাঁড়িয়েই অভিষেক-পত্নীর হাতে তলবের নোটিশ দেয় এনফোর্সমেন্ট ডিরেক্টরেট। আজ, বৃহস্পতিবার তাঁকে তলব করা হয়েছে। নোটিশ অনুযায়ী আজ সিজিও কমপ্লেক্সে যাওয়ার কথা অভিষেক-পত্নীর। কয়লা পাচার মামলায় তাঁকে তলব করেছে ইডি। আজই কি রুজিরা বন্দ্যোপাধ্যায় ওই সময়ে ইডি-অফিসে যাবেন? নাকি হাজিরা এড়াবেন?


কিন্তু কেন সেদিন আটকানো হয়েছিল রুজিরা বন্দ্যোপাধ্যায়কে। সূত্রের খবর, অভিবাসন দফতরের পক্ষে জানানো হয়েছিল ইডি-র মামলায় লুক আউট সার্কুলার আছে রুজিরার নামে। ওই সার্কুলার জারি থাকায় বিদেশ যেতে পারবেন না রুজিরা। সেই কারণেই তাঁকে আটকানো হয়। এরপর বিমানবন্দরেই অভিষেক-পত্নীকে হাজিরার নোটিস ধরায় ইডি।


ওই ঘটনায় তীব্র ক্ষোভ প্রকাশ করেছিলেন অভিষেক বন্দ্যোপাধ্যায়। নবজোয়ার যাত্রা থেকে সাংবাদিক বৈঠক করে ক্ষোভ উগরে দিয়েছিলেন তিনি। সুপ্রিম কোর্টের নির্দেশের মান্যতা দেওয়া হয়নি বলেও অভিযোগ করেছিলেন তিনি। বলেছিলেন, 'সুপ্রিম কোর্টের গাইডলাইন এরা মানে না। আমি যে কেস করেছিলাম। তাতে সুপ্রিম কোর্ট জানিয়েছিল একটি নোটিশ পাঠাতে হবে রাজ্য সরকারের মুখ্যসচিব এবং পুলিশ কমিশনারকে। জানি না সেটা পাঠিয়েছে কিনা। কোর্টে জানানো হয়েছিল, যাতায়াতের ক্ষেত্রে কোনও বাধা থাকবে না। সুপ্রিম কোর্টের অর্ডার অনুয়ায়ী আমার জানানোর কথা নয়। আমার ইনটেনশন খারাপ থাকলে আমি জানাতাম না। আমার স্ত্রীর মেল অ্যাকাউন্ট থেকে মেল করা হয়েছিল। সেখানে বলা ছিল কোন দিন থেকে কোন দিন থাকব না। এক বছর আগে ডেকেছিল। তার পর তো আর ডাকেনি।' তাঁর আরও দাবি, নবজোয়ার যাত্রাকে বিঘ্নিত করতে এরকম করেছে।'


তলবের ঘটনার কড়া সমালোচনা করেছিলেন মমতা বন্দ্যোপাধ্যায়ও। তিনি বলেছিলেন, 'অসুস্থ মাকে দেখতে বিদেশ যাচ্ছিলেন রুজিরা। সুপ্রিম কোর্টের নির্দেশ অনুযায়ী ইডিকে বিদেশযাত্রার কথা জানিয়েছিলেন রুজিরা। বিমানবন্দরে গিয়ে তলবের নোটিস ধরানো অমানবিক বিষয়। মৃত্যুর মিছিল চলছে, লজ্জা নেই, সমবেদনা নেই। মানুষের পাশে না দাঁড়িয়ে ধামাচাপা দেওয়ার চেষ্টা হচ্ছে।'


এর আগে অক্টোবরে রুজিরার মার্কিন সফরে কোনও আপত্তি জানায়নি ইডি। ৫ থেকে ১৩ জুন পর্যন্ত দুবাই যাত্রার জন্য ইমেল করে জানানো হয়েছিল ইডিকে। পরিবারের দাবি ছিল রুজিরার বিদেশযাত্রা নিয়ে ইমেল করার পরেও কোনও আপত্তি করেনি ইডি। ২৩ জুন, ২০২২-র পরে জিজ্ঞাসাবাদের জন্য আর রুজিরাকেও ডাকেওনি ইডি।


বিজেপির কটাক্ষ:
রুজিরা বন্দ্যোপাধ্যায়কে তলবের প্রসঙ্গে এদিন দিলীপ ঘোষ বলেন, 'সিবিআই ইডি ডাকছে এটা নতুন কথা নয়। খবর এটা কতজন গ্রেফতার হচ্ছে। জাল গোটানো হচ্ছে। গ্রেফতারের খবরও আমরা পাবো। ডাকাডাকি তো চলবে।'


Cow Smuggling Case: '৬ বছর চাকরি করেই ৩৬ লক্ষের গয়না!' ধৃত সায়গলের মামলায় বিস্মিত বিচারক