সমীরণ পাল ও জয়ন্ত পাল, উত্তর ২৪ পরগনা: ফের জেলে থাকাকালীন বন্দির মৃত্যুতে পুলিশি অত্যাচারের অভিযোগ তুলল পরিবার। যার জেরে রণক্ষেত্র হয়ে উঠল ব্যারাকপুর (Barracpore) -বারাসাত (Barasat) রোডের কাঁঠালিয়া মোড়। মারধরের অভিযোগ অস্বীকার করে পুলিশ সূত্রে খবর, চুরির অভিযোগে গ্রেফতার করা হয় যুবককে।
ফের জেলে থাকাকালীন বন্দির মৃত্যু! পুলিশি অত্যাচারের অভিযোগ তুলেছে মৃতের পরিবার। যুবকের মৃত্যু ঘিরে রণক্ষেত্র হয়ে উঠল ব্যারাকপুর-বারাসাত রোডের কাঁঠালিয়া মোড়। মৃতের নাম সুপ্রিয় সাঁতরা (২৬)। বাড়ি ব্যারাকপুরের কাঁঠালিয়ায়। পরিবারের দাবি, ২৬ মে চুরির অভিযোগে তাঁকে গ্রেফতার করে বারাসাত থানার পুলিশ। পরের দিন জেল হেফাজতের নির্দেশ দেয় আদালত। রাখা হয় দমদম সংশোধনাগারে। সেখানে অসুস্থ হয়ে পড়ায়, তাঁকে আরজি কর মেডিক্যালে ভর্তি করা হয়। সোমবার তাঁর মৃত্যু হয়।
পুলিশের বিরুদ্ধে পিটিয়ে মারার অভিযোগ তুলেছে পরিবার। মৃতের আত্মীয় আনন্দ সাঁতরা বলছেন, পুলিশ পিটিয়ে মেরেছে। সন্দেহজনকভাবে তুলে নিয়ে গেছে। লাশ দেখেই বোঝা যাচ্ছে মেরেছে। মৃতদেহ নিয়ে পথ অবরোধ করেন স্থানীয় বাসিন্দারা। অবরোধ তুলতে পুলিশ লাঠিচার্জ করে। কাঁঠালিয়ার বাসিন্দা শম্পা ঘোষের কথায়, আমরা বিচার চেয়ে শান্তিপূর্ণ অবরোধ করছিলেমা। পুলিশ লাঠিচার্জ করেছে।
মৃত যুবককে মারধরের অভিযোগ অস্বীকার করে পুলিশ সূত্রে খবর, সুপ্রিয়র বিরুদ্ধে সম্প্রতি চুরির মামলা দায়ের হয়। সেই অভিযোগে তাঁকে গ্রেফতার করা হয়। এ নিয়ে শুরু হয়ে গেছে রাজনৈতিক তরজা। নোয়াপাড়া ২-এর বিজেপিরমণ্ডল সভাপতি মিন্টু রায়ের কথায়, জেলে সন্দেহের বশে রয়েছে এভাবে মেরে ফেলে দেবে। এভাবে মেরে ফেলে দেবে পুলিশ।
মোহনপুর পঞ্চায়েতের তৃণমূল নেতা ও উপপ্রধান নির্মল করের দাবি, সেন্ট্রাল জেলে পুলিশ কখনও মারতে পারে না। মারমারি কয়েদিদের হয়। সেটা হয়েছে কিনা জানিনা।গত বছর অগাস্ট মাসে গল্ফগ্রিনে থানায় পুলিশের মারে যুবকের মৃত্যুর অভিযোগ ওঠে। সাসপেন্ড করা হয় ২ পুলিশকর্মীকে, এক সিভিক ভলান্টিয়ারকে গ্রেফতার করা হয়। চলতি বছরের এপ্রিলে নরেন্দ্রপুরে হেফাজতে থাকাকালীন পুলিশের মারে যুবকের মৃত্যুর অভিযোগ ওঠে। অভিযুক্ত ASI অর্ণব চক্রবর্তীকে ক্লোজ করা হয়। আর এবার বারাসাতে পুলিশের মারে মৃত্যুর অভিযোগ উঠল। যদিও দমদম সংশোধনাগার সূত্রে খবর, রবিবার জেলে থাকাকালীন স্ট্রোক হওয়ায় সুপ্রিয় সাঁতরাকে আরজিকর হাসপাতালে ভর্তি করা হয়।