সুজিত মণ্ডল, প্রকাশ সিনহা, রঞ্জিত সাউ, কলকাতা :  রেশন দুর্নীতিকাণ্ডের ( Ration Scam )  তদন্তে এবার ED-র স্ক্যানারে রেশন ডিলাররা। রেশন ব্যবসায়ীদের জিজ্ঞাসাবাদ করে দুর্নীতির শিকড়ে পৌঁছতে চাইছে কেন্দ্রীয় এজেন্সি। এদিন সিজিও কমপ্লেক্সে তলব করা হয় নদিয়ার রানাঘাটের এক মহিলা রেশন ডিলারকে।


গত ৪ নভেম্বর, রেশন দুর্নীতিকাণ্ডের তদন্তে রানাঘাট ও হরিণঘাটা-সহ নদিয়ার ৬টি জায়গায় অভিযান চালায় কেন্দ্রীয় এজেন্সি। রানাঘাটে ১২ নম্বর ওয়ার্ডের মিশন রোডে মহিলা রেশন ডিলারের বাড়িতেও তল্লাশি চলে। এখানেই শেষ নয়, যেখানে যেখানেই সন্দেহের বীজ, সেখানেই তল্লাশি চালাচ্ছে ইডি।  রানাঘাটের মহিলা রেশন ডিলারের ক্ষেত্রে ED-র দাবি, রেশনের চাল, গম পৌঁছে যেত খোলা বাজারে। সেখানে চড়া দামে বিক্রি করা হত রেশন সামগ্রী। দুর্নীতির চেন সিস্টেমে রেশন ডিলারদের ভূমিকা কী ছিল, খতিয়ে দেখছে ED। 


এর আগে রানাঘাটেই পুরসভার ১৭ নম্বর ওয়ার্ডের ওল্ড বহরমপুর রোডে চাল কল মালিক ও রেশন ডিলার নিতাই ঘোষের বাড়িতে তল্লাশি অভিযান চালায় ইডি। গত ৪ নভেম্বর সকাল ৯টা নাগাদ ED-র ৮ জনের দল পৌঁছে যায় ব্যবসায়ীর বাড়িতে। রেশন দুর্নীতিকাণ্ডে ধৃত ব্যবসায়ী বাকিবুর রহমানের সঙ্গে এই চাল কল মালিক ও রেশন ডিলারের কোনও যোগ রয়েছে কি না, খতিয়ে দেখে ED। আনুলিয়ার কায়েত পাড়ায় নিতাই ঘোষের অন্নদাত্রী রাইস মিলেও চালানো হয় তল্লাশি।  


ওইদিনই রানাঘাটের ১ নম্বর ওয়ার্ডে সড়ক পাড়ায় রেশন ডিলার সিদ্ধেশ্বর বিশ্বাসের বাড়িতেও হানা দেয়  ED-। সকাল থেকে চালানো হয় তল্লাশি। অন্য দিকে, হরিণঘাটার নগরউখড়া গিরিবালা অ্যাগ্রো প্রডাক্ট ও   জয় বাবা লোকনাথ রাইস মিলেও হানা দেয় ED। এই চাল কলের মালিক বিনয় দেবনাথ।  


ইতিমধ্যেই রেশন দুর্নীতিতেও টাকার পাহাড়ের হদিশ পেয়েছে বলে দাবি ইডির। গত মঙ্গলবার পর্যন্ত তল্লাশিতে কলকাতা ও জেলা মিলিয়ে ১৮ কোটি ২০ লক্ষ টাকা বাজেয়াপ্ত করে ED। সূত্রের খবর, এর মধ্যে অঙ্কিত ইন্ডিয়া লিমিটেডের কলকাতায় এজেসি বোস রোডের অফিস থেকেই বাজেয়াপ্ত করা হয় ১ কোটি টাকা। রেশন দুর্নীতি তদন্তে আরও কয়েকটি অফিসে তল্লাশি চালিয়ে বাকি ৪০ লক্ষ টাকা মেলে। বাঁকুড়ার দুটি পার্টনারশিপ কোম্পানির অ্যাকাউন্টে মেলে ১৬ কোটি ৮০ লক্ষ টাকা। ED-র অনুমান, বাজেয়াপ্ত করা এই টাকা রেশন দুর্নীতির।


আরও পড়ুন : 


নিয়োগ দুর্নীতি মামলায় ফের অভিষেক বন্দ্যোপাধ্য়ায়কে সমন ইডির, দেবেন হাজিরা?