কলকাতা: গরুপাচার মামলায় (Cattle Smuggling Case) অনুব্রত মণ্ডলের (Anubrata Mondal) বিরুদ্ধে চার্জশিট। চার্জশিট জমা দিল কেন্দ্রীয় তদন্তকারী সংস্থা এনফোর্সমেন্ট ডিরেক্টরেট (ED)। ২০৩ পাতার চার্জশিট জমা দেওয়া হয়েছে। তার সঙ্গে প্রায় সাড়ে তিন হাজার পাতার নথিও রয়েছে। চার্জশিটে অনুব্রতর মেয়ে সুকন্যা মণ্ডলের (Sukanya Mondal) বয়ানকেই হাতিয়ার করেছে ইডি। চার্জশিটে উল্লেখ, দিল্লি যাওয়ার পথে শক্তিগড়ে অনুব্রতর খাওয়া-দাওয়ার প্রসঙ্গও উঠে এল চার্জশিটে।


আদালতে অনুব্রতর জামিনের আর্জি খারিজ


বৃহস্পতিবার দিল্লির রাউস কোর্টে অনুব্রতর জামিনের আর্জি খারিজ হয়েছে। আসানসোল সেলে ফেরার আর্জিও খারিজ করে দিয়েছে আদালত। সেখানে চার্জশিট নিয়ে ঢিলেমির জন্য ভর্ৎসিতও হয় ইডি। তার পরই অনুব্রতর বিরুদ্ধে চার্জশিট জমা দেয় তারা। আর তাতেই বীরভূমের তৃণমূল সভাপতির বিরুদ্ধে একাধিক যুক্তি খাড়া করেছে ইডি। 


চার্জশিটে অনুব্রতর বিরুদ্ধে তাঁর মেয়ের মন্তব্যকে হাতিয়ার করেছে ইডি। ইডি জানিয়েছে, জিজ্ঞাসাবাদে সুকন্যা বলেন, "চেকবইয়ে সই করতে বলতেন বাবা। সই করে দিতাম। বাবাই সব জানে।" সুকন্যার এই বয়ানকেই অনুব্রতর বিরুদ্ধে হাতিয়ার করেছে ইডি। নামে-বেনামে অনুব্রতর অসংখ্য সম্পত্তির উল্লেখও রয়েছে ইডির চার্জশিটে। গরুপাচারে সুকন্যারও ভূমিকা ছিল, তাঁর নামে একাধিক সম্পত্তি, প্রচুর ফিক্সড ডিপোজিট পাওয়া গিয়েছে বলে জানিয়েছে ইডি।


আরও পড়ুন: Anubrata Mondal: ‘বিবেক বলে কিছু আছে?’ মেয়ের গ্রেফতারিতে ফুঁসে উঠলেন অনুব্রত, পেলেন সাক্ষাতের অনুমতি


অনুব্রতর বিরুদ্ধে চার্জশিটে ইডি জানিয়েছে, নামে-বেনামে অসংখ্য সম্পত্তি রয়েছে অনুব্রতর। এনামুল হকের সাহায্য়ে গরুপাচার করতেন তিনি। সেই বাবদ ১৮ কোটি টাকা জমা করা হয়েছিল ব্য়াঙ্কে। অনুব্রত এবং তাঁর পরিবারের ১১ কোটি টাকার সম্পত্তি বাজেয়াপ্ত করা হয়েছে বলে জানিয়েছে ইডি। বলা হয়েছে, দু'টি চালকলের ডিরেক্টর সুকন্যা। আরও দু'টি সংস্থা এবং ২ কোটির সম্পত্তি পাওয়া গিয়েছে। এনামুল, আব্দুল লতিফের কাছ থেকে সায়গল হোসেনের মাধ্যমে 'প্রোটেকশন মানি' আসত বলে জানিয়েছে ইডি। গরুপাচার চক্র কী ভাবে চলত, তাও বিশদে জানিয়েছে ইডি।


নামে-বেনামে সম্পত্তি অনুব্রতর!


আসানসোল থেকে দিল্লি যাওয়ার পথে শক্তিগড়ে একটি হোটেলে ঢুকে প্রাতরাশ সেরেছিলেন অনুব্রত। সেখানে তৃণমূল নেতা এবং ঘনিষ্ঠদের সঙ্গে অনুব্রতর কথা হয় বলেও চার্জশিটে উল্লেখ করেছে ইডি। আচমকা দু'বছর পুরনো মামলায় অনুব্রতকে পুলিশের হেফাজতে নেওয়ার উল্লেখও রয়েছে। পাশাপাশি, প্রভাবশালী তত্ত্বে দুবরাজপুর-মামলারও উল্লেখ করেছে ইডি।