কলকাতা: বছরশেষে ডিমের দামে আগুন (Egg Price Hike)। খুচরো বাজারে ডিম বিক্রি হচ্ছে প্রতিটি ৮টাকা দরে। একদিকে উৎসবের মরশুম অন্যদিকে দক্ষিণ ভারতে প্রাকৃতিক দুর্যোগ, দুই-এ মিলেই ডিমের দাম ঊর্ধ্বমুখী বলে দাবি বিক্রেতাদের। কেকের মরশুম শেষ হলে দাম কিছুটা নামার আশা।
বাংলায় ডিমের যোগানের বেশিরভাগটাই আসে এই দুই রাজ্য থেকে..
বাংলায় ডিমের যোগানের বেশিরভাগটাই আসে অন্ধ্রপ্রদেশ ও তেলঙ্গানা থেকে। ব্যবসায়ীদের দাবি, শীতের এই সময়ে কেকের প্রচুর চাহিদা থাকায় এমনিতেই ডিমের চাহিদা বাড়ে। তারওপর সম্প্রতি অন্ধ্রে ঘূর্ণিঝড়ের কারণেও ডিমের জোগানে ঘাটতি হয়েছে। আর তার জেরেই বাড়তে শুরু করেছে ডিমের দাম। কিন্তু তা থামবে কোথায় গিয়ে ? সেটাই প্রশ্ন সাধারণ মানুষের।
মূল্যবৃদ্ধির কারণ যাই হোক না কেন, ভুক্তভোগী সাধারণ মানুষই
জিনিসপত্রের দাম আগুন হলেও, চলতি শীতের মরসুমে শাক-সবজির দাম তুলনামূলক ভাবে নিয়ন্ত্রণেই এখনও পর্যন্ত। সেই আবহেই দাম বাড়ল ডিমের। সাড়ে ছ'টাকা থেকে এ বার সাড়ে সাত টাকা দাম হল। এই মূল্যবৃদ্ধির কারণ যাই হোক না কেন, ভুক্তভোগী সাধারণ মানুষই। সস্তায় প্রোটিন-যুক্ত খাবার হিসেবেই বাঙালি নিম্নবিত্ত এবং মধ্যবিত্ত পরিবারের কাছে ডিম আদর্শ খাবার। স্কুলসের মিড ডে মিলেও তাই জায়গা পেয়েছে ডিম। কিন্তু সেই ডিমই এখন মহার্ঘ্য। সাড়ে ছ'টাকা থেকে সাত টাকা হয়ে এখন সাড়ে সাত টাকায় বিকোচ্ছে। তবে এ শুধু পোলট্রির মুরগির ডিমের দাম। তবে হাঁস এবং ডবল কুসুমের ডিমের দাম অনেক বেশি।
আরও পড়ুন, কালীঘাটে মুখ্যমন্ত্রীর পাড়ায় বিক্ষোভ দেখিয়ে জেল হেফাজতে ৪, আজ ধৃতদের আদালতে পেশ
উৎসবের মরশুমে চড়চড়িয়ে দাম বেড়েছিল পেঁয়াজেরও
চলতি বছরের নভেম্বরে, উৎসবের মরশুমে চড়চড়িয়ে বেড়েছিল পেঁয়াজের দাম। দেশজুড়েই বেড়েছিল পেঁয়াজের দাম। দিল্লির পর এবার কলকাতাতেও ঝাঁঝে চোখে জল এসেছিল ক্রেতার। ক্রমশ চড়ছিল দাম।সেইসময় কোথাও ৮০, কোথাও ৯০ টাকা কিলো দরে বিকোচ্ছিল পেঁয়াজ। মূল্যবৃদ্ধি রুখতে তারপরে অভিযানে নেমেছিল টাস্ক ফোর্স। নাগেরবাজার ও বাগুইআটির বিভিন্ন বাজারে সবজি ও আনাজের দাম খতিয়ে দেখা হয়েছিল। কোথাও বেশি দাম নেওয়ার অভিযোগ উঠলে ব্যবসায়ীদের সতর্ক করছিলেন টাস্ক ফোর্সের সদস্যরা। কোথা থেকে, কত দামে পেঁয়াজ কেনা হচ্ছে, খোলা বাজারে তা কত দামে বিক্রি হচ্ছে, সবই নোটবন্দি করেছিল টাস্ক ফোর্স।