রুমা পাল, কলকাতা: নদিয়ার কালীগঞ্জে বিধানসভা উপনির্বাচনের ভোট গণনা চলাকালীন নির্বাচন কমিশনের বিল্ডিংয়ে আগুন। দোতলায় বামার অ্যান্ড লরির ইনফরমেশন সেন্টারে আগুন লাগে। দোতলা এবং তিনতলায় নির্বাচন কমিশনের অফিস। এই বিল্ডিংয়ে আরও অনেক অফিস রয়েছে। দ্রুত বিল্ডিং ফাঁকা করে দেওয়া হয়। অগ্নি নির্বাপণ যন্ত্রের সাহায্যে আগুন নেভানোর চেষ্টা চলছে। ভোট গণনায় কোনও সমস্যা হচ্ছে না। সবকিছু ঠিকঠাকই চলছে বলে নির্বাচন কমিশনের আধিকারিকরা জানিয়েছেন।
কালীগঞ্জ বিধানসভা উপনির্বাচনে এগিয়ে তৃণমূল। সপ্তম রাউন্ড গণনার শেষে এগিয়ে তৃণমূল কংগ্রেস প্রার্থী আলিফা আহমেদ। সপ্তম রাউন্ডের শেষে দ্বিতীয় স্থানে উঠে এলেন বাম সমর্থিত কংগ্রেস প্রার্থী কাবিলউদ্দিন শেখ। তৃতীয় স্থানে নেমে গেলেন বিজেপি প্রার্থী আশিস ঘোষ প্রথম রাউন্ড থেকেই দ্বিতীয় স্থানের জন্য হাড্ডাহাড্ডি লড়াই চলছে বিজেপি ও বাম সমর্থিত কংগ্রেস প্রার্থীর মধ্যে। নির্বাচন কমিশন সূত্রে খবর, ২৩ রাউন্ড গণনা শেষে জানা যাবে ফলাফল।
এদিন, সকাল ৮টা থেকে পানিঘাটা হাইস্কুলে গণনা শুরু হয়। পোস্টাল ব্যালটের পর EVM-এর ভোট গণনা। গণনা কেন্দ্রে রয়েছে ত্রিস্তরীয় নিরাপত্তা ব্যবস্থা। গণনা কেন্দ্রের বাইরে রয়েছে রাজ্য পুলিশের সশস্ত্র বাহিনী। রয়েছে লাঠিধারী পুলিশ, কমব্যাট ফোর্স ও র্যাফ। দ্বিতীয় স্তরে রয়েছে রাজ্যের সশস্ত্র পুলিশ ও কেন্দ্রীয় বাহিনী। তৃতীয় স্তরে কেবলমাত্র কেন্দ্রীয় বাহিনী থাকছে। নির্বাচন কমিশন সূত্রে খবর, ২৩ রাউন্ড গণনা শেষে কালীগঞ্জ বিধানসভার ৩০৯টি বুথের ফলাফল জানা যাবে। গণনা কেন্দ্রে ঢোকার ক্ষেত্রেও কড়াকড়ি করা হয়েছে। ভিতরে ঢোকার সময় সাদা কাগজ, কলম ছাড়া কোনও কিছু নেওয়া যাবে না। সাধারণ পর্যবেক্ষক এবং রিটার্নিং অফিসারও গণনা কেন্দ্রে মোবাইল ফোন ব্যবহার করতে পারবেন অনুমতি সাপেক্ষে।
এদিন ভোটের ফল বেরনোর পর দেখা গেল, প্রদত্ত ভোটের ৫৫ শতাংশই পেয়েছেন তৃণমূল প্রার্থী আলিফা আহমেদ। বিজেপি পেয়েছে ২৮ শতাংশ, আর সিপিএম সমর্থিত কংগ্রেস প্রার্থী পেয়েছেন ১৫ শতাংশ ভোট।