সোশ্যাল মিডিয়ায় তীব্র সমালোচনার শিকার ভারতীয় বংশোদ্ভূত র‍্যাপার জেনেসিস ইয়াসমিন মোহনরাজ ওরফে জেনেসিস। চূড়ান্ত নিন্দিত তাঁর তুন প্রকাশিত একটি মিউজিক ভিডিও অ্যালবাম। বিতর্কের শীর্যে তাঁর মা কালী সেজে 'আপত্তিকর' অঙ্গভঙ্গি।

ভিডিওটিতে  ওই ব়্যাপ গায়িকাকে সারা শরীরে নীল রঙ মেখে অঙ্গভঙ্গি করতে দেখা গিয়েছে। তাঁর বেশভূষা হিন্দু দেবী কালীর মতোই। এখানেই ক্ষান্ত হননি শিল্পী। হাতে   যীশুখ্রীষ্টের ক্রস নিয়ে নানারকম অঙ্গভক্তি করেছেন এই গায়িকা । যা যথেষ্ট আপত্তিকর বলেই প্রতিক্রিয়া জানিয়েছেন নেট - ব্যবহারকারীরা।সোশ্যাল মিডিয়ায় সমালোচনার ঝড় উঠেছে। অনেকের অভিমত, কালী সেজে, যীশুখ্রীষ্টের ক্রস নিয়ে জেনেসিস যে ধরনের ভঙ্গিমা করছেন তাতে দুই ধর্মের মানুষেরই ভাবাবেগে আঘাত লাগবে। নেটিজেনদের কথায় 'দুই ধর্মকেই অপমান'! 

কানাডিয়ান  মডেল জেনেসিস ইয়াসমিন মোহনরাজ তাঁর নতুন গান "ট্রু ব্লু"এর মিউজিক ভিডিও বানিয়েছেন এই রকম ভঙ্গিমা করে। ভিডিওতে দেখা গিয়েছে, জেনেসিস তার সারা শরীরে নীল রঙ করেছেন। পরেছেন লাল বড় টিপ। গায়ে সাবেকি সোনার গয়না। তার সঙ্গে পরেছেন সোনালি রঙের বিকিনি এবং পায়ে স্টিলেটো ! করজোড় করেছেন। হাতে রেখেছেন ক্রশ, যা যীশুখ্রীষ্টের ক্রস বলেই মনে করা হচ্ছে। সেটি ধরে তিনি অত্যন্ত বিকৃত ভঙ্গিমা করছেন বলে মন্তব্য করছেন সোশ্যাল মিডিয়া ব্যবহারকারীরা।  ভিডিওটিতে গায়িকার এমন ভঙ্গিমার সমালোচনা করেছেন বহু মানুষ। 

desi.india.culture নামে এক ব্যবহারকারী লিখেছেন, হিন্দু ধর্মের পূজিতা দেবী মা কালীর মতো পোশাক পরে এই ব়্যাপার অশ্লীল ও যৌনতাপূর্ণ ভঙ্গিমা করেছেন। এটি  সাহসী কাজ নয় - এটি নিন্দনীয়। লক্ষ লক্ষ মানুষ দেবীর পুজো করেন। আপনার এমন একটি সংস্কৃতিকে উপহাস করার অধিকার নেই যা আপনি স্পষ্টভাবে বোঝেন না ... । আরেক নেটিজেনের বক্তব্য, 'মনোযোগ আকর্ষণের জন্য সবচেয়ে সস্তা কাজ করা !' একজন লিখেছেন, ঘৃণা ! আরেক নেটিজেন লিখেছেন, 'একজন মুসলিম হয়ে আমি আপনার পোস্টটিকে রিপোর্ট করছি'।একজন ব্যবহারকারী লিখেছেন,  'টমি জেনেসিসের কথা শুনলাম, যার আসল নাম জেনেসিস ইয়াসমিন মোহনরাজ। তিনি একজন কানাডিয়ান শিল্পী, যিনি কেরল এবং তামিল বংশোদ্ভূত। তার নতুন গানে হিন্দু এবং খ্রিস্টান উভয় ধর্মকেই খোলাখুলিভাবে উপহাস করা হয়েছে। এটি সৃজনশীলতা নয়, এটি সম্পূর্ণ অসম্মান। অবাক হয়েছি যে ইউটিউবে এখনও এটি রয়েছে'।  

অনেকেই জনপ্রিয় এই ব়্যাপারকে এখনই এই ভিডিওটি সরিয়ে ফেলার পরামর্শ দিয়েছেন। এখন দেখার এই বিতর্কের জল কতদূর গড়ায়।