অমিতাভ রথ, ঝাড়গ্রাম: সাঁকরাইল ব্লকের বহড়াদাড়ি এবং হাড়িভাঙ্গা গ্রামে হাতির তাণ্ডব। মঙ্গলবার সাতসকালেই হাতির তাণ্ডব চলে দুটি জায়গায়। স্থানীয় সুত্রে খবর, কয়েক দিন ধরেই ওই এলাকায় হাতির তাণ্ডব শুরু হয়েছে। যার ফলে রীতিমতো আতঙ্কের মধ্যে রয়েছেন এলাকার বাসিন্দারা।


স্থানীয়দের অভিযোগ, খাবারের সন্ধানে লোকালয়ে প্রবেশ করছে হাতি। কিন্তু এ বিষয়ে এখনও উদাসীন বন দফতর। ইতিমধ্যে নতুন করে হাতির দল ঢোকাতে বন দফতরের চিন্তা যেমন বেড়েছে ঠিক তেমনই গ্রামের মানুষ আতঙ্কিত। বহড়াদাড়ি এলাকায়  ৩০ থেকে ৩৫টি হাতির দল ঢুকে চাষের জমিতে ব্যাপক তাণ্ডব চালায়। খাবারের সন্ধানেই এই কাজ করেছে তাঁরা বলে অনুমান। 


এদিকে, ভোর রাতে হাড়িভাঙ্গার গ্রামের মধ্যে ঢুকেও তাণ্ডব চালায় আরেকদল। গ্রামের বাঁশ বাগান ও সবজি বাগানে রীতিমতো দাপিয়ে বেড়ায় গজরাজ। এই ঘটনার পর থেকেই আতঙ্কে গোটা গ্রামের মানুষ। অভিযোগ, বনদফতরকে খবর দিলেও আসেনি কোনও আধিকারিক। এরপর নিজেদের উদ্যগে হাতি তাড়াবার ব্যবস্থা করা হয় বলে দাবি। 


অন্যদিকে, বহড়াদাড়িতে দল ছুট ১টি হাতি সকাল গ্রামে প্রবেশ করে তাণ্ডব চালায়। এই ঘটনায় ক্ষোভ বাড়ছে গ্রামের মানুষের মধ্যে। এই দুই গ্রামের পাশে বাঁকড়াতে হাতি প্রবেশ করতেই গ্রামের মানুষ চিৎকার চেঁচামেচি করে হাতি তাড়ায় বলে জানান হয়েছে। 


ফের বাঘের হানা সুন্দরবনে (Sundarbans News) । গুরুতর জখম হলেন মৎস্যজীবী (Fisherman)। জঙ্গলে কাঁকড়া ধরতে গিয়ে বাঘের মুখে (Tiger Attack) পড়েন তিনি। নৌকোয় ঝাঁপিয়ে পড়ে তাঁকে আক্রমণ করে বাঘটি। বাঘের হানায় গুরুতর আহত হয়েছেন ওই ব্যক্তি। প্রতমে স্থানীয় হাসপাতালেই চিকিসার জন্য নিয়ে যাওয়া হয় তাঁকে। কিন্তু পরিস্থিতির অবনতি হলে স্থানান্তরিত করা হয় কলকাতা। সেখানে চিকিসকদের পর্যবেক্ষণে রয়েছেন তিনি। 


এদিকে,  সোমবার সুন্দরবনের বেনিফেলির জঙ্গলে বাঘের মুখে পড়েন ওই ব্যক্তি। তাঁর নাম শঙ্কর সর্দার। আদতে কুলতলির (Kultali) দেউলবাড়ির বাসিন্দা। তিন সঙ্গীকে নিয়ে বেনিফেলির জঙ্গলে কাঁকড়া ধরতে গিয়েছিলেন। সেই সময় তাঁদের নৌকোয় ঝাঁপিয়ে পড়ে হামলাকারী বাঘটি। তার একেবারে মুখে পড়ে যান শঙ্কর। সঙ্গীদের চিৎকারে বাঘটি যদিও জঙ্গলে ফিরে যায়। কিন্তু শঙ্কর আহত হন। প্রথমে জয়নগর গ্রামীণ হাসপাতালে চিকিসার জন্য নিয়ে যাওয়া হয় তাঁকে। সেখানে পরিস্থিতির অবনতি হতে শুরু করলে কলকাতার হাসপাতালে স্থানান্তরিত করা হয়।