রাজা চট্টোপাধ্যায়, জলপাইগুড়ি: ফের রেললাইনে (rail line) হাতি (elephant) এবং আবারও চালকের তৎপরতার জোররক্ষা(saved)!
কী ভাবে রক্ষা?
এবারের ঘটনাস্থল ডুয়ার্সের চালসা-নাগরাকাটা রেললাইন। নির্দিষ্ট করে বললে ওই লাইনের ৭১/৭ নম্বর পিলারের কাছে হাতি পারাপারের (cross) সময় চলে আসে ট্রেন। তবে রেল সূত্রে খবর, লাইনে যে হাতি থাকতে পারে সে কথা বেশ কিছুটা আগেই টের পেয়েছিলেন চালক এ কে শর্মা। তাঁর এবং সহকারী চালক এম চৌরাসিয়ার তৎপরতায় প্রাণ বাঁচে প্রাণীটির। কিছু ঘটার আগেই ট্রেনের গতি নিয়ন্ত্রণ করেন চালক ও সহকারী চালক। হাতিটি লাইন পেরিয়ে তার গন্তব্যের দিকে চলে গেলে পরই এগোয় ট্রেন।
মর্মান্তিক ঘটনা অতীতেও
ডুয়ার্সে ট্রেনের ধাক্কায় হাতির মৃত্যু নতুন নয়। এই চালসা-নাগরাকাটা রেললাইনের উপরও ট্রেন চলাচলের সময় একাধিক বার হাতি চলে এসেছে। গত মে-তে আবার ডুয়ার্সের সেবক-গুলমা লাইনে একই কাণ্ড ঘটে। দুরন্ত গতিতে ছুটে আসা শিলিগুড়ি-আলিপুরদুয়ার ইন্টারসিটি এক্সপ্রেসের সামনে চলে আসে একটি হাতি। তবে সে বারও ট্রেনচালকের তৎপরতার মর্মান্তিক পরিণতি এড়ানো গিয়েছিল। দ্রুত ব্রেক কষে ট্রেনের গতি নিয়ন্ত্রণ করেছিলেন চালক ও সহকারী চালক। বড়সড় বিপদের হাত থেকে বেঁচেছিলেন যাত্রীরাও।
এদিনের ঘটনাতেও ফের শিরোনামে চালক ও সহকারী চালকের ভূমিকাই। কিন্তু বার বার এই ধরনের বিপত্তি কেন? স্থানীয় বাসিন্দা থেকে বিশেষজ্ঞদের একাংশের বক্তব্য,ডুয়ার্সে জঙ্গলের ভিতর দিয়েই রেললাইন ও সড়কপথ তৈরি হয়েছে। ফলে তার উপরে হাতি-সহ অন্যান্য বন্যপ্রাণী মাঝেমধ্যেই চলে আসে। এমন অবস্থায় যাতে কোনও মর্মান্তিক ঘটনা না ঘটে সে জন্য রেল ও বন দফতরের মধ্যে কথাবার্তা হয়েছে একাধিকবার। তাতেই স্থির হয়, বনাঞ্চল-সংলগ্ন এলাকা দিয়ে যাওয়ার সময় ট্রেনের গতি কিছুটা কমিয়ে দেওয়া হবে।
পাশাপাশি চালকদের সতর্কতা ও তৎপরতাও বেড়েছে। সব মিলিয়েই কমছে দুর্ঘটনা।
আরও পড়ুন:জগদ্দল কাণ্ডের ২৪ ঘণ্টার মধ্যেও পাকড়াও মূল অভিযুক্ত, মোট গ্রেফতার ৩