অমিতাভ রথ, ঝাড়গ্রাম: ফের হাতির হানায় মৃত্যু ঝাড়গ্রামে (Jhargram Elephant News), এবার প্রাণ গেল হুলা পার্টির এক সদস্যের। বৃহস্পতিবার রাতে, ঝাড়গ্রাম জেলার মানিকপাড়া বিটের অন্তর্গত চিতলবনি গ্রামে ঘটনাটি ঘটে। নিহতের নাম চন্দ্রকান্ত মণ্ডল বলে প্রশাসন সূত্রে খবর।
কী জানা গেল?
সূত্রের খবর, রাতের অন্ধকারে ৮টি হাতির একটি দল খাবারের খোঁজে চিতলবনি গ্রামে তাণ্ডব চালাতে শুরু করেছিল। খবর পেয়ে ঘটনাস্থলে পৌঁছে যান স্থানীয় হুলা পার্টির সদস্যরা। সে সময়ই মর্মান্তিক ঘটনা। প্রত্যক্ষদর্শীদের দাবি, ওই সময় হাতির সামনে পড়ে গিয়েছিলেন ২২ বছরের চন্দ্রকান্ত। আর পালাতে পারেননি। হাতি তাঁকে শুঁড়ে পেঁচিয়ে তুলে আছাড় মারে। তরুণের এমন পরিণতির খবর বন দফতর ও ঝাড়গ্রাম থানায় পৌঁছতে দেরি হয়নি।
তড়িঘড়ি বনদফতরের কর্মী ও পুলিশ হুলাপার্টির ওই সদস্যকে উদ্ধার করে ঝাড়গ্রাম মেডিক্যাল কলেজ হাসপাতালে নিয়েও এসেছিলেন। কিন্তু ততক্ষণে যা হওয়ার হয়ে গিয়েছে। ডাক্তাররা তাঁকে মৃত বলে ঘোষণা করেন। ঝাড়গ্রামে হাতির হানায় মৃত্যু কার্যত এখন চেনা ঘটনা হয়ে গিয়েছে। এলাকাবাসীর তীব্র ক্ষোভ, এই ব্য়াপারে পর্যাপ্ত ব্যবস্থা নিচ্ছে না বন দফতর। নষ্ট হওয়া ফসলের ক্ষতিপূরণও মিলছে না। ঠিক দিনসাতেক আগে, এক বৃদ্ধার মর্মান্তিক মৃত্যু ঘিরে তেতে উঠেছিল ঝাড়গ্রামের একাংশ। সে বার মারা যান ৭০ বছরের এক বৃদ্ধা।
দিনসাতেক আগেই হাতির হানা ও...
রাত তখন ৩টে। কোকিলা মাহাতো নামে ওই বৃ্দ্ধাকে সেই সময়ই বাড়ি থেকে টেনে বের করে এনে পা দিয়ে পিষে মেরে ফেলে একটি হাতি, জেনেছিল প্রশাসন। ভোরের আলো ফুটতে না ফুটতেই সেখানে পুলিশকে নিয়ে পৌঁছে যান বন দফতরের আধিকারিকরা। বস্তুত, ঝাড়গ্রামে হাতির হানায় মৃত্যু মোটেও বিরল ঘটনা নয়। এই ভাবে প্রাণের ঝুঁকি নিয়ে বেঁচে থাকায় অত্যন্ত বিরক্ত এলাকাবাসী। বৃদ্ধার মৃত্যুর পর তাঁদের দাবি, বনপ্রতিমন্ত্রী বীরবাহা হাঁসদাকে ঘটনাস্থলে আসতে হবে। হাতি তাড়াতে বন দফতর কী ব্যবস্থা নিচ্ছে তা ঝাড়গ্রামের মানুষকে লিখিত আকারে জানাতে হবে তাঁকে, বলেন এলাকাবাসীরা। শুধু তাই নয়। মৃতদের পরিবারের জন্য ক্ষতিপূরণেরও ব্যবস্থা করুক প্রশাসন, চান এলাকার মানুষ। যত ক্ষণ না পর্যন্ত বন দফতর তাদের দাবি মানছে, তত ক্ষণ পর্যন্ত তাঁরা দেহ উদ্ধার করতে দেবেন না, সাফ জানিয়ে দেন বাসিন্দারা। কিন্তু ক্ষোভ-প্রতিরোধ সত্ত্বেও হাতির হানায় মৃত্য়ু যে আটকানো যাচ্ছে না, সেটা আরও একবার স্পষ্ট হয়ে গেল বৃহস্পতিবার রাতের ঘটনায়।
আরও পড়ুন:সপ্তাহের শেষ কাজের দিনে বীরভূমে ঝলমলে রোদ, নামবে তাপমাত্রাও