ময়ূখ ঠাকুর চক্রবর্তী, কলকাতা: জুনের মধ্যে কাজ শেষ হতে পারে টালা ব্রিজের (Tala Bridge)। রেলের অনুমোদনের পর সেতুর কাজও অনেকটা এগিয়েছে। নতুন টালা ব্রিজ চালু হলে দুর্ভোগ মিটবে বলে আশাবাদী উত্তর কলকাতা (North Kolkata) ও উত্তর শহরতলির বাসিন্দারা। 


জুনেই নতুন রূপে খুলে যেতে পারে নতুন টালা ব্রিজ। করোনা পরিস্থিতি ও রেলের অনুমোদনের জট কাটিয়ে বর্তমানে টালা ব্রিজের (Tala Bridge) কাজ প্রায় শেষের পথে। ২০২০-র ফেব্রুয়ারি (February) থেকে শুরু হয় ব্রিজ ভাঙার কাজ।  


পূর্ত দফতর সূত্রের খবর, নতুন রূপে যে টালা ব্রিজ (Tala Bridge) তৈরি হচ্ছে তার দৈর্ঘ্য হবে ৭০০ মিটার। ব্রিজ চওড়ায় ২০ মিটার। থাকবে ৪ লেনের রাস্তা। কেবল স্টেড ব্রিজের দুপাশে থাকবে ফুটপাথ। সংস্কারের জন্য টালা ব্রিজ ভেঙে দেওয়ায় দু ছর ধরে সমস্যায় রয়েছেন উত্তর কলকাতা ও উত্তর শহরতলির বাসিন্দারা। নতুন ব্রিজ চালু হলেই মিটবে দুর্ভোগ।


আরও পড়ুন: Swastha Sathi Card Scam : আঙুলের ছাপ নিয়ে লক্ষাধিক টাকা প্রতারণা, বর্ধমানের হাসপাতালে শতাধিক ভুয়ো স্বাস্থ্যসাথী কার্ড উদ্ধার


গত জানুয়ারিতে ব্রিজ পরিদর্শনের পর পূর্তমন্ত্রী মলয় ঘটক (Moloy Ghatak) জানিয়েছিলেন আগামী ৩ মাসের (Three Months) মধ্যে টালা ব্রিজ (Tallah bridge) খুলে দেওয়া হবে সাধারণ মানুষের ব্যবহারের জন্য। তিনি জানান, টার্গেট ছিল ফেব্রুয়ারির মধ্যেই ব্রিজ খুলে দেওয়ার। করোনা আবহে কাজ কিছুটা ব্যাহত হয়।  ২০২০ সালের পয়লা ফেব্রুয়ারি টালা ব্রিজ ভাঙার কাজ শুরু হ।


উত্তর কলকাতার অত্যন্ত গুরুত্বপূর্ণ এই টালা ব্রিজ। স্বাস্থ্য পরীক্ষায়  ধরা পড়েছিল পুরানো এই সেতুর র্জীর্ণ অবস্থা। তার পরেই রেলের সঙ্গে আলোচনার করে সেতুটি ভেঙে ফেলার সিদ্ধান্ত নেওয়া হয়। সেইসঙ্গে নতুন করে সেতুটি তৈরির কাজও শুরু হয়। টালা ব্রিজ বন্ধ থাকায় আপাতত বিকল্প পথে যান চলাচল করছে। টালা ব্রিজ খুলে গেলে যান চলাচলের ক্ষেত্রে যে সমস্যা তৈরি হয়েছে, তাও মিটে যাবে।


এর আগে সরকারের পক্ষ থেকে জানানো হয়েছিল যে, আসন্ন পয়লা বৈশাখের আগেই নতুন চেহারায় খুলে দেওয়া হতে পারে টালা ব্রিজ। এমনই চিন্তাভাবনা রয়েছে সরকারের। রাজ্য বিধানসভায় সরকারের এই পরিকল্পনার কথা গত বছরের নভেম্বরে জানিয়েছিলেন পূর্তমন্ত্রী। সরকারি সূত্রে জানানো হয়েছিল, ফেব্রুয়ারির মধ্যে প্রকল্পের কাজ শেষ করে, মার্চ-এপ্রিলে নাগাদ রেল ওভারব্রিজ খোলার পরিকল্পনা রয়েছে সরকারের। তবে এপ্রিলে সম্ভব না হলেও জুনের মধ্যে ব্রিজটি সাধারণের জন্য খুলে দেওয়া হবে বলে মনে করা হচ্ছে।