রাণা দাস ও কমলকৃষ্ণ দে, পূর্ব বর্ধমান : আঙুলের ছাপ নিয়ে স্বাস্থ্যসাথীর কার্ড (Swastha Sathi Card) থেকে তুলে নেওয়া হয়েছে লক্ষ লক্ষ টাকা। এমনই অভিযোগে নার্সিংহোমে (Nursing Home) হানা দিয়ে ১২৩টি স্বাস্থ্যসাথী কার্ড উদ্ধার করল পুলিশ (Police)। ঘটনায় আরও একজনকে গ্রেফতার (Arrest) করা হয়েছে। অভিযোগ পেলে পৃথক তদন্ত করা হবে, জানিয়েছেন জেলার মুখ্য স্বাস্থ্য আধিকারিক।


আঙুলের ছাপ নিয়ে স্বাস্থ্যসাথীর কার্ড থেকে লক্ষ লক্ষ টাকা তুলে নেওয়ার চাঞ্চল্যকর অভিযোগ উঠেছে বর্ধমানের মিডভিউ নার্সিংহোমের বিরুদ্ধে। সেই ঘটনায় এবার নার্সিংহোমে হানা দিল পুলিশ। পুলিশ সূত্রে দাবি, নার্সিংহোমে ১২৩টি স্বাস্থ্যসাথী কার্ড উদ্ধার হয়েছে। তার মধ্যে, নার্সিংহোমে ৪২জন রোগীকে পাওয়া গেলেও, ৮১ জন উপভোক্তার হদিশ মেলেনি।


প্রাথমিক তদন্তে জানা গিয়েছে, এই কার্ডগুলির উপভোক্তারা মূলত বর্ধমান (Burdwan), বীরভূম (Birbhum), হুগলি (hooghly) ও বাঁকুড়ার (bankura) বাসিন্দা। ৮১ জনকে ধাপে ধাপে ডেকে জিজ্ঞাসাবাদ করা হবে বলে জানানো হয়েছে। নার্সিংহোমের মালিক, কয়েকজন চিকিৎসক ও কর্মীর বিরুদ্ধে স্বতঃপ্রণোদিত মামলা রুজু করেছে পুলিশ। সোমবার সাহেলা বিবি নামে একজনকে গ্রেফতার করে পুলিশ। তিনি কমিশন পেতে রোগীদের নার্সিংহোমে নিয়ে আসতেন বলে অভিযোগ। মঙ্গলবার তাঁরই জামাই ও হাসপাতালের কর্মী মুনসি নরুলকে গ্রেফতার করা হয়। 


দুর্নীতির অভিযোগ নিয়ে জেলার মুখ্য স্বাস্থ্য আধিকারিক জানিয়েছেন, এখনও স্বাস্থ্য দফতরের কাছে লিখিত কোনও অভিযোগ আসেনি। অভিযোগ এলে স্বাস্থ্য দফতর আলাদাভাবে তদন্ত করবে। ধৃত ২ জনকে মঙ্গলবার কাটোয়া আদালতে তোলা হলে ৮ দিনের পুলিশি হেফাজতের নির্দেশ দেন বিচারক। 


আরও পড়ুন- স্বাস্থ্যসাথীর আওতায় প্রতিস্থাপনের অস্ত্রোপচারে নয়া নির্দেশিকা, চরমে বিতর্ক


কিছুমাস আগেই স্বাস্থ্যসাথী কার্ড (Swasthya Sathi Card) না নিয়ে রোগী ফেরানোর অভিযোগে ৭টি বেসরকারি হাসপাতালকে শোকজ করেছিল রাজ্য স্বাস্থ্য কমিশন। গত দেড় মাসে ১০টি অভিযোগ স্বাস্থ্য কমিশনে জমা পড়েছিল। এই প্রেক্ষাপটে বেসরকারি হাসপাতালগুলিকে সতর্ক করা হয়েছিল।