প্রকাশ সিনহা ও রঞ্জিত সাউ, কলকাতা : বাংলাদেশ থেকে পশ্চিমবঙ্গ সহ ভারতের বিভিন্ন রাজ্যে কোটি কোটি টাকা পাচারের অভিযোগে কিং পিন সহ ৬ বাংলাদেশিকে গ্রেফতার করল এনফোর্সমেন্ট ডিরেক্টোরেট। ধৃতদের থেকে ভুয়ো ভারতীয় পরিচয়পত্র উদ্ধার হয়েছে বলে ইডি সূত্রে দাবি। কারা অভিযুক্তদের ভুয়ো পরিচয়পত্র তৈরি করে দিয়েছে, তা নিয়েও এবার তদন্ত শুরু করেছে ইডি।


কেঁচো খুঁড়তে গিয়ে বেরিয়ে এল কেউটে ! বাংলাদেশ থেকে কোটি কোটি টাকা পশ্চিমবঙ্গ সহ ভারতের বিভিন্ন রাজ্যে পাচারের অভিযোগ পেয়ে তদন্তে নেমেছে এনফোর্সমেন্ট ডিরেক্টোরেট বা ইডি। আর সেই তদন্তেই উঠে এল ভুয়ো ভারতীয় পরিচয়পত্র তৈরির চক্রের হদিশ। টাকা পাচারকাণ্ডে এক মহিলা সহ ৬ বাংলাদেশিকে গ্রেফতার করেছে ইডি। 


ইডি সূত্রে দাবি, প্রত্যেকের কাছেই মিলেছে ভুয়ো ভারতীয় আধার কার্ড, প্যান কার্ড, এপিক সহ একাধিক পরিচয়পত্র। 


বাংলাদেশ থেকে হাওয়ালার মাধ্যমে রাজ্যে, দেশের অন্যত্র, এমনকী বিদেশেও প্রায় এক হাজার কোটি টাকা পাচার হয়েছে বলে অভিযোগ উঠেছে। বাংলাদেশ সরকারের কাছ থেকে এই তথ্য পাওয়ার পরেই সক্রিয় হয় ইডি। 


শুক্রবার উত্তর ২৪ পরগনার অশোকনগরের বাসিন্দা সুকুমার মৃধার বাগান বাড়িতে হানা দেন ED’র আধিকারিকরা। প্রায় ৪ বিঘা জমির ওপর তৈরি এই বাগানবাড়িতে কেউ ছিল না। তদন্তকারীরা বাড়ির মালিকের এক আত্মীয়ের কাছ থেকে চাবি এনে বাড়িতে ঢোকেন। তারপর শুরু হয় তল্লাশি। কেন্দ্রীয় তদন্তকারী সংস্থা সূত্রে খবর, এছাড়াও দমদম ও দক্ষিণ ২৪ পরগনার ২ জায়গায় চালানো হয় তল্লাশি।


ইডি সূত্রে দাবি, এই আন্তর্জাতিক টাকা পাচার চক্রের কিং পিন প্রশান্তকুমার হালদার। তদন্তে নেমে প্রশান্তকুমার হালদার, তাঁর ভাই পৃথ্বীশকুমার হালদার সহ ৬ জনকে গ্রেফতার করেছে ইডি। ধৃতদের থেকে একাধিক ভুয়ো ভারতীয় পরিচয়পত্রও উদ্ধার হয়েছে। এরপরই কেন্দ্রীয় তদন্তকারী সংস্থার নজরে চলে এসেছে ভুয়ো পরিচয়পত্র। 


প্রশ্ন হল, বাংলাদেশি অভিযুক্তরা কীভাবে জোগাড় করলেন ভুয়ো আধার কার্ড, প্যান কার্ড, ভোটার কার্ড ? কারা তৈরি করে দিয়েছে এই সব ভুয়ো পরিচয়পত্র ? ভুয়ো পরিচয়পত্র তৈরির চক্রে কি কোনও প্রভাবশালীর মদত আছে? ধৃত বাংলাদেশিদের সঙ্গে আরও কেউ জড়িত ?
পাচার হওয়া টাকার খোঁজ করার পাশাপাশি, এই ভুয়ো পরিচয়পত্র তৈরির চক্রেরও অনুসন্ধান শুরু করেছেন ইডি’র অফিসাররা।