প্রকাশ সিন্হা, কলকাতা: একের পর এক দুর্নীতি কাণ্ডে চূড়ান্ত তৎপরতা চোখে পড়ছে তাদের মধ্যে। সেই আবহেই কেন্দ্রীয় তদন্তকারী সংস্থা, এনফোর্সমেন্ট ডিরেক্টরেটের (Enforcement Directorate) আটজন উচ্চপদস্থ আধিকারিকের কার্যকালের মেয়াদ বাড়ল (ED Extension)। এঁদের মধ্যে অনেকেই বাংলায় স্কুল শিক্ষক নিয়োগে দুর্নীতি, গরুপাচার এবং কয়লাপাচারের তদন্তে যুক্ত রয়েছেন বলে জানা গিয়েছে। আগামী দিনে ওই মামলাগুলির তদন্ত যে আরও গুরুত্বপূর্ণ জায়গায় পৌঁছবে, এই মেয়াদবৃদ্ধিই তার প্রমাণ বলে মনে করা হচ্ছে।


আটজন ইডি আধিকারিকের মেয়াদ বৃদ্ধি করা হল


ইডি-র যে সমস্ত উচ্চপদস্থ আধিকারিকদের কার্যকালের মেয়াদবৃদ্ধি করা হচ্ছে, মঙ্গলবার তাঁদের নামের একটি তালিকা প্রকাশ করা হয়। তাতে মোট আটজন আধিকারিকের নাম ছিল, যার মধ্যে উল্লেখযোগ্য হলেন, অ্যাডিশনাল ডিরেক্টর সনিয়া নারাঙ্গ, যোগেশ শর্মা, জয়েন্ট ডিরেক্টর সুদেশ কুমার শেওরান। এই আটজনের মধ্যে অধিকাংশই কয়লা, গরুপাচার এবং এসএসসি দুর্নীতিকাণ্ডের তদন্তে যুক্ত বলে জানা গিয়েছে। 


ইডি সূত্রে জানা গিয়েছে, গতকাল আটজনের তালিকা প্রকাশ করা হয়। এঁদের সকলেরই মেয়াদ শেষ হয়ে গিয়েছিল। তাই কারও তিন বছর, কারও আবার দু'বছর করে মেয়াদ বাড়ানো হয়েছে। এই আধিকারিকদের অনেকেই কয়লা, গরু পাচার ও এসএসসি দুর্নীতিকাণ্ডের তদন্তে যুক্ত। আগামীদিনে এই তদন্তকে সবচেয়ে গুরুত্ব দিতে চাইছে ইডি, তা এই পদক্ষেপেই স্পষ্ট, মত ওয়াকিবহাল মহলের।


আরও পড়ুন: Parliament : বিধানসভায় পিএসি-র পাল্টা? সংসদের স্ট্যান্ডিং কমিটির মাথা থেকে সুদীপকে সরিয়ে বসানো হল লকেটকে


ইডি সূত্রে জানা গিয়েছে, এই সমস্ত আধিকারিকরা তদন্তের সঙ্গে সুপারভাইজিং অফইিসার হিসেবে যুক্ত। এই মুহূর্তে গুরুত্বপূর্ণ পর্যায়ে রয়েছে মামলাগুলির তদন্ত। তাই প্রথম থেকে যাঁরা তদন্তের সঙ্গে যুক্ত, তাঁদের হাতেই বিষয়টি রেখে দেওয়ার পক্ষে মত দেওয়া হয়। তাই মেয়াদ শেষ হয়ে গেলেও ওই আটজনের কার্যকাল আরও বাড়ানোর সিদ্ধান্ত নেওয়া হয়। 


রাজ্য়ে একাধিক মামলার তদন্তে রয়েছে ইডি


এসএসসি নিয়োগ দুর্নীতিকাণ্ডে অর্থনৈতিক তছরুপের বিষয়টি দেখছে ইডি। রাজ্যের প্রাক্তন শিক্ষামন্ত্রী পার্থ চট্টোপাধ্য়ায়কে তারাই গ্রেফতার করে। এ ছাড়াও গরুপাচারের অর্থনৈতিক লেনদেনের বিষয়টিও তাদের নজরে। কয়লা পাচার মামলায় অভিষেক এবং রুজিরা বন্দ্যোপাধ্যায়কেও দিল্লিতে ডেকে পাঠিয়েছিল ইডি। তার বিরুদ্ধে দিল্লি হাইকোর্ট হয়ে সরাসরি সুপ্রিম কোর্টের দ্বারস্থ হন তাঁরা। সেখানে শীর্ষ আদালত তাঁদের কলকাতাতেই ইডি-র দফতরে হাজিরায় অনুমতি দেয়।