কলকাতা: আজ বিশ্বের প্রায় সমস্ত মানুষই কম বেশি সোশ্যাল মিডিয়া (Social Media) ব্যবহার করেন। আবার না করার মতো ব্যতিত্রমী মানুষরাও রয়েছেন। কিন্তু বেশিরভাগ মানুষের হাতেই আজ রয়েছে স্মার্টফোন আর তাতে রয়েছে একাধিক সোশ্যাল মিডিয়া হ্যান্ডলে অ্যাকাউন্ট। ফেসবুক (Facebook) থেকে ইনস্টাগ্রাম (Instagram) কিংবা অন্য কোনও সোশ্যাল মিডিয়া হ্যান্ডল, বুঁদ হয়ে রয়েছেন তাতে। কে কী ছবি দিল অথবা নিজের ছবিতেই কতগুলো লাইক পড়ল, কমেন্ট পড়ল, তা দেখার জন্য সারাক্ষণ স্মার্টফোনটিকে হাতের মুঠোয় ধরে রেখেছেন। কিন্তু এই অত্যধিক সোশ্যাল মিডিয়া ব্যবহারের ফলে স্বাস্থ্যে কী প্রভাব পড়ছে জানা আছে? কোন মারাত্মক রোগে এর ফলে আক্রান্ত হতে পারেন ভেবে দেখেছেন?


সোশ্যাল মিডিয়া ব্যবহারের ফলে আক্রান্ত হতে পারেন এই অসুখে-


গবেষকরা জানাচ্ছেন, প্রতিদিন সারাবিশ্বে বহু মানুষ স্মার্টফোন ব্যবহার করে থাকেন। আর তার সঙ্গে পাল্লা দিয়ে বেড়েছে স্মার্টফোন ব্যবহার। ফেসবুক, ইনস্টাগ্রাম, টুইটার, হোয়াটসঅ্যাপ সময় কাটাচ্ছেন। আর তাতেই বাড়ছে একাধিক শারীরিক সমস্যা। বিশেষজ্ঞদের মতে, অত্যধিক সোশ্যাল মিডিয়া ব্যবহারের ফলে বেড়েছে অবসাদে (Depression) আক্রান্ত হওয়ার সমস্যা। 


সারা বিশ্বে গবেষণায় দেখা দিয়েছে যখনই মানুষ ৩০০ মিনিটের বেশি সময় সোশ্যাল মিডিয়ায় কাটাচ্ছেন, তখনই দেখা দিচ্ছে নানা মানসিক সমস্যা। এর মধ্যে অন্যতম হল অবসাদ। এছাড়ও, স্ট্রেস, উদ্বেগজনিত সমস্যা, রাগ, উত্তেজনা বৃদ্ধি এবং আত্মকেন্দ্রিক হয়ে পড়ার সমস্যা দেখা দিচ্ছে। 


আরও পড়ুন - Stairs: ওজন কমানোর জন্য সিঁড়ি দিয়ে ওঠানমা করছেন? কী হচ্ছে এর ফলে?


সম্প্রতি গবেষকদের পক্ষ থেকে একটি সমীক্ষা করা হয়। যেখানে তাঁকা ১৮ থেকে ৩০ বছর বয়সী এক হাজার ব্যক্তির মধ্যে একটি সমীক্ষা করেন। প্রত্যেক ব্যক্তির সোশ্যাল মিডিয়া ব্যবহারের সময় দেখা হয় এবং তার ফলে তাঁদের মানসিক স্বাস্থ্যে কী প্রভাব পড়ছে, তা দেখা হতে থাকে। সমীক্ষা শেষে দেখা যায়, যাঁরা ৩০০ মিনিটের বেশি সারাদিনে সোশ্যাল মিডিয়া ব্যবহার করেছিলেন, তাঁদের মানসিক স্বাস্থ্যে নেতিবাচক প্রভাব পড়েছে। আর এর ফলেই তাঁদের মধ্যে বেড়েছে রাগ, উত্তেজনা, স্ট্রেস, অবসাদ, উদ্বেগজনিত সমস্যার মতো নানা মানসিক সমস্যা। তাঁরা অনেক বেশি আত্মকেন্দ্রিকও হয়ে পড়েছেন। 


বিশেষজ্ঞরা আরও জানাচ্ছেন যে, অতিমারি পরিস্থিতিতে আরও বেশি করে বেড়েছে সোশ্যাল মিডিয়া ব্যবহারের মাত্রা। মুখোমুখি দেখা হয়ে কথা বলার তুলনায় ভার্চুয়াল জগতে অনেক বেশি সময় কাটাচ্ছেন বহু মানুষ। আর তার ফলে পাল্লা দিয়ে বেড়েছে অবসাদে আক্রান্তর সমস্যা।


ডিসক্লেইমার : কপিতে উল্লেখিত দাবি, পদ্ধতি পরামর্শস্বরূপ। প্রয়োজনীয় চিকিৎসাপদ্ধতি/ডায়েট ফলো করার জন্য অবশ্যই বিশেষজ্ঞ / চিকিৎসকের সঙ্গে কথা বলুন ও সেইমতো নিয়ম মেনে চলুন।