কলকাতা: আজ বিচ্ছেদের বিজয়া (Vijaya Dashami)। বাপের বাড়ি থেকে আজই যাত্রা উমার। দেবী বাপের বাড়ির ছুটি কাটিয়ে পাড়ি দেবেন কৈলাসে৷ আনন্দে উচ্ছ্বাসে মিশেছে বিষণ্ণতার সুর৷ সকাল থেকে মন্ডপে মন্ডপে দেবী বরণের প্রস্তুতি (Durga Puja 2022)৷ সকালে হবে ঘট বিসর্জন। এর পর সিঁদুরখেলা। তার পর গঙ্গার ঘাটে মা-কে বিদায় জানানোর পালা। কোলাকুলিতে হবে শুভেচ্ছা বিনিময়, মিষ্টিমুখ৷ হাসি মুখে মাকে বিদায় জানিয়ে আরও একটা বছরের অপেক্ষা (Kolkata News)৷
বিজয়া দশমীতে সমাপ্তি শারোদৎসবের
করোনা পরিস্থিতি পেরিয়ে এ বছর পুজোর শহরে ফের আগের মতো উচ্ছ্বাস চোখে পড়ে। তাতে বাড়তি মাত্রা যোগ করে এ বছর বাংলার পুজোর আন্তর্জাতিক স্বীকৃতি প্রাপ্তি। তাকে ঘিরে প্রায় এক মাস আগে থেকেই শহরে সাজ সাজ রব পড়ে যায়। ইউনেস্কো কর্তাদের সামনেই একমাস আগে পুজো শুরু বলে ঘোষণা করে দেন বাংলার মুখ্যমন্ত্রী মমতা বন্দ্য়োপাধ্য়ায়। তার পর থেকেই চলছিল প্রহর গোনা। বিগত দু'বছরের ঘাটতি পুষিয়ে নিতে এ বছর মহালয়ার দিন থেকেই শহরের বিভিন্ন প্যান্ডেলে ভিড় করতে শুরু করেন সাধারণ মানুষ।
তার পর চতুর্থী থেকে যত ভিড় এগিয়েছে ততই রাস্তাঘাটে, প্যান্ডেলে ভিড় বেড়েছে উৎসবপ্রেমী মানুষের। সেই আবহেই মঙ্গলবার, নবমীর দিন বিষাদের সুর নেমে আসে বাঙালির প্রাণের উৎসবে। কোথা দিয়ে পুজো কেটে গেল, বোঝাই যায়নি। তাই শেষবেলার আনন্দ চেটেপুটে নিতে নবমী নিশিতেও শহর কলকাতার রাস্তায় জনস্রোত নেমে আসে। করোনা-উদ্বেগকে পিছনে ফেলে মণ্ডপে মণ্ডপে ঠাসা ভিড়।
আরও পড়ুন: West Bengal News Live Updates: আজ বিচ্ছেদের বিজয়া, বাপের বাড়ি থেকে কৈলাস পাড়ি দেবেন উমা
নবমীর দুপুর থেকেই কলকাতায় জনসমুদ্র। সন্ধে নামতেই তা জনসুনামির চেহারা নেয়। বিক্ষিপ্ত বৃষ্টিকে তুড়ি মেরে উড়িয়ে প্যান্ডেলে প্যান্ডেলে চলে দল বেঁধে ঠাকুর দেখা। প্রতি বারের মতো মাকে আরও কিছুদিন রেখে দেওয়ার বাসনা নিয়েই বিসর্জনের প্রহর গোনা শুরু। তার রেশ চোখে পড়েছে বুধবার, দশমীর সকালেও। এ দিন সকালেও রাস্তায় উৎসবপ্রেমী মানুষের ভিড় দেখা গিয়েছে। রাত জেগে ঠাকুর দেখে বাড়ি ফিরছেন দলে দলে মানুষ। আবার ভোর ভোর বাড়ি থেকে পড়েছেন অনেকে। শেষবেলায় ফাঁকায় ফাঁকায় প্রতিমাদর্শন সেরে নিচ্ছেন তাঁদের কেউ কেউ।
কলকাতা পৌরসভার তরফে তুঙ্গে প্রস্তুতি
এ দিকে প্রশাসনের তরফেও প্রস্তুতি তুঙ্গে। প্রতিমা নিরঞ্জনের জন্য গঙ্গার বিভিন্ন ঘাটে প্রয়োজনীয় ব্যবস্থা নেওয়া হচ্ছে। ক্রেন থেকে স্বেচ্ছাসেবক, সবকিছুর বন্দোবস্ত রাখছে কলকাতা পৌরসভা। এ দিন বেলা বাড়ার সঙ্গে সঙ্গে বিসর্জন শুরু হবে বলেই এখনই পর্যন্ত জানা গিয়েছে। সব কিছু যাতে সুষ্ঠ ভাবে সম্পন্ন হয়, তার জন্য কোথাও কোনও খামতি রাখতে নারাজ কলকাতা পৌরসভা।