গৌতম মণ্ডল, গঙ্গাসাগর : ভয়াবহ ভাঙনের কবলে গঙ্গাসাগরের কপিল মুনির আশ্রম (Gangasagar)। সম্প্রতি সঙ্কটে কপিলমুনির মন্দির (Kapil Muni Ashram)। কটালের দাপট, জলের তোড়ে ভেঙে পড়েছে সংলগ্ন রাস্তা । গঙ্গাসাগর সমুদ্র পাড়েও দেখা দিয়েছে বড়সড় ধস। পরিস্থিতি এমনই  যে ,স্থানীয়রা আশঙ্কা করছেন, এভাবে চলতে থাকলে জলের গর্ভে চলে যেতে পারে কপিলমুনির আশ্রম। 


রাজ্যের অনত্যম তীর্থ পর্যটন কেন্দ্র গঙ্গাসাগর। ,সেখানে ভাঙন রুখতে আবারও সাহায্য নেওয়া হবে চেন্নাই আইআইটির। ভয়াবহ এই ভাঙন রোখার জন্য অতীতেও চেন্নাই আইআইটির সাহায্য নেওয়া হয়েছিল। সেইসময় একটি বিস্তারিত প্রকল্প রিপোর্ট তৈরিও করা হয়েছিল। এবার ফের গত কয়েকদিন ধরে সাগরমেলার ১ থেকে ৫ নং স্নানঘাট পর্যন্ত সমুদ্রতটে ভয়াবহ ভাঙন হয়। পূর্ত দফতরের একটি কংক্রিটের রাস্তা, বিদ্যুতের খুঁটি, জনস্বাস্থ্য কারিগরী দফতরের জলের লাইন, অস্থায়ী দোকান, গাছ সমুদ্রগর্ভে তলিয়ে গিয়েছে। এই মুহূর্তে ভাঙন রুখতে না পারলে আগামীতে তলিয়ে যাবে কপিমুনির আশ্রম।


এই পরিস্থিতিতে  দু’‌দিন ভাঙন এলাকায় সমীক্ষা শুরু করল সেচ ও সুন্দরবন উন্নয়ন দফতর। উপস্থিত ছিলেন সুন্দরবন উন্নয়ন মন্ত্রী বঙ্কিম হাজরা। ভাঙন এলাকা থেকে মাটি ও বালি সংগ্রহ করা হয়েছে। জোয়ার ও ভাটার সময় কতটা জলস্ফীতি হচ্ছে তাও পরিমাপ চলছে। ইতিমধ্যে সেচ দপ্তরের পক্ষ থেকে উপগ্রহ-‌চিত্র সংগ্রহ করা হয়েছে। আগামী সাগরমেলার আগে কিভাবে এই ভাঙন রোখা যায় সেই পরিকল্পনা করছে সেচ দফতর। এই দু’‌দিনের বিস্তারিত রিপোর্ট জমা করা হবে সেচ দফতরের প্রিন্সিপ্যাল সেক্রেটারির কাছে। 



ইতিমধ্যেই ভাঙন আটকাতে একাধিক পদক্ষেপ গ্রহণ করেছে প্রশাসন। বাঁধ দিয়ে ভাঙন রোখার চেষ্টা করা হয়েছে। কিন্তু ভাঙন আটকানো যাচ্ছে না। উত্তাল ঢেউ, প্রকৃতির রুদ্ররূপে ক্রমেই সঙ্কটের মুখে বাঙালির তীর্থস্থান। সম্প্রতি কটালের পর আরও উত্তাল হয়েছে সমুদ্র। ভেঙেছে রাস্তা। 


এখনও এলাকার ব্যবসায়ীরা আতঙ্কে। সামনের আরও দুটি বড় কটাল। যেভাবে ভাঙন দ্রুত এগিয়ে আসছে, তাতে তলিয়ে যেতে পারে আশ্রমও। তাই তার আগে আইআইটি চেন্নাই এর ইঞ্জিনিয়াররা কিছু সুরাহা করতে পারেন কি না, সেটাই দেখার।  


আরও পড়ুন :


শুক্রবারে কেমন বৃষ্টি হবে শহরে? কী রকম থাকবে কলকাতার আবহাওয়া 


আপনার পছন্দের খবর আর আপডেট এখন পাবেন আপনার পছন্দের চ্যাটিং প্ল্যাটফর্ম হোয়াটস অ্যাপেও। যুক্ত হোন ABP Ananda হোয়াটস অ্যাপ চ্যানেলে