উজ্জ্বল মুখোপাধ্যায়, সিঙ্গুর: টাটারা বিদায় নেওয়ার পর ১৫ বছর পার। ২০২৩ এর পঞ্চায়েত ভোটের আগেও সিঙ্গুরের গলায় সেদিনের আক্ষেপ স্পষ্ট। শিল্পের প্রশ্নে সিঙ্গুরে মিলেমিশে একাকার সিপিএম-বিজেপি-তৃণমূল। অসম্পূর্ণই রয়ে গেল দ্য সিঙ্গুর স্টোরি।                                 

  


অসম্পূর্ণই রয়ে গেল দ্য সিঙ্গুর স্টোরি: না হল শিল্প, না ফিরল শস্য শ্যামলা চাষের জমি। ১৫ বছর ধরে অসমাপ্তই থেকে গেল, দ্য সিঙ্গুর স্টোরি। সিঙ্গুরেও দুয়ারে শিল্প এসেও এল না। সিঙ্গুর থেকে টাটারা চলে গেছে ১৫ বছর আগে। কিন্তু সিঙ্গুরের রাজনীতিতে কারখানা এখন প্রাসঙ্গিক।                   

২০০৮ সালের ৩ অক্টোবর,সিঙ্গুর ছেড়ে বিদায় নিতে হয়েছিল টাটাদের। কিন্তু সেই রেশ বঙ্গ রাজনীতিতে রয়ে গেছে বছরের পর বছর ধরে। যতবার ভোট আসে, ততবার অপ্রাপ্তির আক্ষেপ ঝড়ে পড়ে সিঙ্গুরের গলায়। সিপিএম প্রার্থী সঞ্চিতা দেশমুখ বলছেন, “কারখানা হওয়া দরকার ছিল যুবকরা চাকরি পেত।’’ বিজেপি প্রার্থী মনীষা পাল বলছেন, “কত লোকের সুবিধা হতো। কত বেকার যুবকের চাকরি হত। সব স্বপ্ন ওরা শেষ করে দিল।’’                        

বিরোধীরা তো বলবেনই। কিন্তু, ২০১৩ এর পঞ্চায়েত ভোটের আগে, সিঙ্গুরে তৃণমূলের অন্দরেও কোথাও যেন বইছে খোলা হাওয়া। তৃণমূল প্রার্থী সুনন্দা মাইতি বলেন, “সিঙ্গুরে কারখানা হলে বেকার যুবকরা চাকরি পেতে।’’ যারা রাজনীতিতে নেই, সেই ছাপোষা সিঙ্গুরবাসীর আক্ষেপ এতদিনে পরিণত হয়েছে ক্ষোভে। পঞ্চায়েত ভোটের আগে, ক্ষোভের পাহাড়ে বসে আছে সিঙ্গুর। ওই এলাকার এক বাসিন্দা কৃষ্ণেন্দু রায় বলেন, “আমরা সিঙ্গুরে থাকি মানুষকে বলতে লজ্জা লাগে।’’

সিঙ্গুরে জেলা পরিষদের আসন ৩ টে। রয়েছে ৪৮ টি পঞ্চায়েত সমিতি।১৬ টি গ্রাম পঞ্চায়েতে রয়েছে মোট ২৮৪ টি আসন।এবারের পঞ্চায়েত ভোটে কোন দিকে ঝুঁকবে সিঙ্গুর, উত্তর দেবে সময়ই। তবে, রাজনীতির দড়ি টানাটানির মাঝে, বাংলার কাল্পনিক শিল্পতালুক হয়েই থেকে গেল সিঙ্গুর।                     


আপনার পছন্দের খবর আর আপডেট এখন পাবেন আপনার পছন্দের চ্যাটিং প্ল্যাটফর্ম টেলিগ্রামেও। যুক্ত হোন


https://t.me/abpanandaofficial




আরও পড়ুন: Pet Care in Monsoon: বৃষ্টির দিনে ভিজতে দেবেন না আদরের পোষ্যকে, কীভাবে খেয়াল রাখবেন ওদের?