কলকাতা: কংগ্রেস ছাড়ার একদিন পরেই বিজেপিতে যোগ দিলেন আইনজীবী ও পদত্যাগী কংগ্রেস নেতা কৌস্তভ বাগচী (Koustav Bagchi on Joining BJP)। বিরোধী দলনেতা শুভেন্দু অধিকারী (Suvendu Adhikari on Kaustav Bagchi) এবং বিজেপির রাজ্য সভাপতি সুকান্ত মজুমদারের উপস্থিতিতে পদ্মশিবিরে যোগ দেন কৌস্তুভ। তাঁর সঙ্গেই এদিন আরও কয়েকজন যোগ দিয়েছেন বিজেপিতে।
যোগদানের পরে কৌস্তভ বাগচি (Kaustav Bagchi after Joining BJP) বলেন, 'AICC-এর কাছে তৃণমূলটাই হয়ে গিয়েছে এই রাজ্যের কংগ্রেস। যে রাজ্যের প্রদেশ কংগ্রেসের কোনও গুরুত্ব থাকে না, সেই দলের সঙ্গে যুক্ত থাকা মানে নিজের আত্মমর্যাদার সঙ্গে আপোষ করা। আগে এমন প্রচুর ঘটনা ঘটেছে। যেখানে দেখা গিয়েছে বিজেপির তরফে সেন্ট্রাল টিম, ফ্যাক্ট ফাইন্ডিং টিম, কেন্দ্রীয় নেতারা এসেছেন। কংগ্রেসের তরফ থেকে কেউ আসেননি।' সন্দেশখালির ঘটনা নিয়েও নিজের পুরনো দলকে কাঠগড়ায় দাঁড় করিয়েছেন কৌস্তভ বাগচী। তাঁর অভিযোগ, 'সন্দেশখালির মতো ঘটনায় প্রধানমন্ত্রী নরেন্দ্র মোদি নিজে প্রতিক্রিয়া দিয়েছেন, সেখানে কংগ্রেসের উচ্চ নেতৃত্বের তরফে কোনও বক্তব্য পাওয়া যায়নি।'
কংগ্রেসের অন্দরে অসন্তোষ?
তিনি যে কারণে বিরোধিতা করেছেন। সেই কারণে তাঁর পুরনো দলের মধ্যেও ক্ষোভ রয়েছে বলে অভিযোগ করেছেন তিনি। কৌস্তভ বলেন, 'এইসব বিষয়গুলি নিয়ে দলের মধ্যেও অসন্তোষ রয়েছে। সেই অসন্তোষের কথা কেউ বলছে কেউ বলছে না। আমার মনে হয়েছে এভাবে ওই দলে থাকা নিজের আত্মমর্যাদার সঙ্গে আপোষ করা। দিনের পর দিন এইভাবে তৃণমূলের প্রতি নরম মনোভাব নিয়ে আর যাই হোক এই রাজ্যে তৃণমূলকে উৎখাত করা যাবে না।'
এদিন যোগদানের আগে শুভেন্দু অধিকারী কৌস্তভকে দলে স্বাগত জানিয়ে বলেন, 'গত ২-আড়াই বছরে যে জ্বলন্ত ইস্যু হয়েছে। তিনি তাঁর পার্টি লাইনের বাইরে গিয়ে মানুষের আবেগকে মর্যাদা দিয়ে প্রতিবাদ করেছেন। তিনি সশরীরে এলাকাতেও গিয়েছেন। তাঁকে মমতা বন্দ্যোপাধ্যায়ের সরকার আইনি ঝামেলাতেও ফেলেছেন।'
এর আগেও কংগ্রেস ছেড়ে শুভেন্দু অধিকারী এবং নরেন্দ্র মোদির নামে ভূয়সী প্রশংসা শোনা গিয়েছিল কৌস্তভ বাগচীর গলায়। বেশ কিছুদিন ধরেই কংগ্রেসের সঙ্গে দূরত্ব তৈরি হয়েছে কৌস্তভ বাগচীর।
আপনার পছন্দের খবর আর আপডেট এখন পাবেন আপনার পছন্দের চ্যাটিং প্ল্যাটফর্ম হোয়াটস অ্যাপেও। যুক্ত হোন ABP Ananda হোয়াটস অ্যাপ চ্যানেলে।
আরও পড়ুন: নার্সের চাকরি করেও প্রস্তুতি! সময় মেপে পড়েই আজ বিডিও মৃণ্ময়ী