অরিন্দম সেন ও ঝিলম করঞ্জাই, আলিপুরদুয়ার: স্বাস্থ্য দফতরের (Department of Health) বিজ্ঞপ্তিতে প্রাক্তন বিধায়ককে (Former MLA) বিধায়ক বলে উল্লেখ! আলিপুরদুয়ার জেলা হাসপাতালের (Alipur Duyar Zila Hospital) রোগী কল্যাণ সমিতির চেয়ারম্যান পদে তৃণমূল নেতা (TMC Leader) সৌরভ চক্রবর্তীর মনোনয়ন ঘিরে বিতর্ক। তা নিয়ে শুরু হয়েছে রাজনৈতিক তরজা। মন্তব্যে নারাজ স্বাস্থ্য দফতরের কর্তারা।
বিধানসভা ভোটে আলিপুরদুয়ার কেন্দ্রে, বিজেপি প্রার্থীর কাছে হেরেছেন তৃণমূল প্রার্থী সৌরভ চক্রবর্তী অথচ, সাতমাস পরও সরকারি বিজ্ঞপ্তিতে বিধায়ক হিসেবে রয়েছে তাঁরই নাম! সম্প্রতি রাজ্যের মেডিক্যাল কলেজ ও হাসপাতালে রোগী কল্যাণ সমিতির চেয়ারম্যানের নাম ঘোষণা করা হয়েছে।
বৃহস্পতিবার স্বাস্থ্য দফতরের তরফে বিজ্ঞপ্তি দিয়ে এমনই একটি তালিকা প্রকাশ করা হয়েছে। সেখানে বিভিন্ন জেলার সরকারি হাসপাতালের রোগী কল্যাণ সমিতির চেয়ারম্যানের নাম রয়েছে।
তালিকার একেবারে ওপরে আলিপুরদুয়ার জেলা হাসপাতালের রোগী কল্যাণ সমিতির চেয়ারম্যান হিসেবে নাম রয়েছে সৌরভ চক্রবর্তীর। বিধানসভা ভোটে হেরে যাওয়ার পরেও, নামের পাশে তাঁকে আলিপুরদুয়ারের বিধায়ক হিসেবে উল্লেখ করা হয়েছে স্বাস্থ্য দফতরের বিজ্ঞপ্তিতে।
জেলার বেশ কিছু হাসপাতালে মন্ত্রী, বিধায়ক বা বিশিষ্ট ব্যক্তিকে দায়িত্ব দেওয়া হলেও,আলিপুরদুয়ার জেলা হাসপাতালের রোগী কল্যাণ সমিতির চেয়ারম্যান পদে প্রাক্তন বিধায়ক সৌরভ চক্রবর্তীকেই রাখা হয়েছে, যিনি বর্তমানে শিলিগুড়ি-জলপাইগুড়ি উন্নয়ন পর্ষদের চেয়ারম্যান পদে রয়েছেন।
তা নিয়ে সরব হয়েছেন আলিপুরদুয়ারের বিজেপি বিধায়ক। পাল্টা কটাক্ষ করতে ছাড়েননি প্রাক্তন তৃণমূল বিধায়ক।
আলিপুরদুয়ার বিজেপি বিধায়ক সুমন কাঞ্জিলালের কথায়, স্বয়ং মুখ্যমন্ত্রীর স্বাস্থ্য দফতরের গাফিলতি। নোটিফিকেশনে পরিষ্কার, রাজ্য প্রশাসনের কি হাল! আগে বিধায়করাই পদাধিকার বলে চেয়ারম্যান হতেন। কিন্তু, সেই নিয়ম সরকার তুলে দিয়েছে।
আলিপুরদুয়ারের তৃণমূল নেতা ও প্রাক্তন বিধায়ক সৌরভ চক্রবর্তী জানিয়েছেন, এটা ভুলবশত হয়েছে। বিতর্কের কিছু নেই। কেন্দ্রের হাতে থাকা পর্যটন, চা, ফোর-লেন রাস্তা, এসব উন্নয়নের দিকে না তাকিয়ে এখানে ঘোরাঘুরি করছেন।
এ বিষয়ে প্রতিক্রিয়ার জন্য রাজ্যের স্বাস্থ্য অধিকর্তাকে ফোন করা হলে, তিনি ফোন ধরেননি। মেসেজেরও কোনও উত্তর দেননি।