কৃষ্ণেন্দু অধিকারী, সন্দীপ সরকার ও অনির্বাণ বাগচী: ধর্মতলায় বিজেপির (BJP) সভার বিরোধিতা করে, কলকাতা হাইকোর্টে (Calcutta High Court) ধাক্কা খেয়েছে তৃণমূল (TMC) সরকার। আর আদালত যেদিন বিজেপির এই সভায় অনুমতি দিল, সেদিনই এই সভার বিরোধিতা নিয়ে প্রশ্ন তুললেন তৃণমূলের রাজ্য় সাধারণ সম্পাদক কুণাল ঘোষ (Kunal Ghosh)। তিনি বলেন, 'চার আনার নকুলদানার পার্টি বিজেপিকে বারো আনার প্রচার দেওয়া হল। কারা ওপরমহলকে পরামর্শ দেয়? '
তৃণমূল কংগ্রেস রাজ্য় সাধারণ সম্পাদক কুণাল ঘোষ এ প্রসঙ্গে বললেন, একটা চার আনার নকুলদানার পার্টি বিজেপি, তাকে বারো আনার প্রচার দেওয়া হল, এই জায়গাটা করতে দেব না, করতে দেব না, কারা ওপরমহলকে পরামর্শ দেয়? এ তো কোর্টের মুড, মেজাজ, কোর্টের ঘরে ঢুকলে, কোর্টের হাওয়া গায়ে লাগলে বলে দেওয়া যায়, মামলাটা কোন দিকে যাচ্ছে। তাহলে বিজেপি বা অমুক দলকে, সভা করতে দেব না, অমুক জায়গায় দেব না, আবার কোর্ট দিচ্ছে।
এক দশক পর ধর্মতলায় বিজেপির সভা নিয়ে ফের কলকাতা হাইকোর্টে ধাক্কা খেয়েছে রাজ্য় সরকার। তৃণমূল সরকারের বিরোধিতা উড়িয়ে বিজেপির সভায় অনুমতি দিয়েছে কলকাতা হাইকোর্ট। আর সেই দিনই বিজেপির সভায় রাজ্য় সরকারের বিরোধিতা নিয়ে প্রশ্ন তুললেন কুণাল ঘোষ!
শুধু তাই নয়, দলীয় নেতাদের একাংশকেও বড়সড় প্রশ্নের মুখে দাঁড় করিয়ে দিয়েছেন তিনি! কার্যত অন্তর্ঘাতের সম্ভাবনাও উড়িয়ে দেননি তৃণমূলের রাজ্য় সাধারণ সম্পাদক!
কুণাল ঘোষ এদিনের এক্সক্লুসিভ সাক্ষাৎকারে আরও বলেন, এগুলো আমাদের মতো তুচ্ছ সৈনিকদের সিদ্ধান্ত নেওয়ার মতো নয়। কোথাও সিপিএম যদি মিছিল করে, তাতে কী এসে যায়! আমার প্রশ্ন হল, যেটা আমরা বুঝতে পারছি, যে কোর্টে এটা হতে চলেছে, কোর্টে এটা হওয়াটাই স্বাভাবিক, আমরা সেই ফাঁদে পা দিচ্ছি কেন? নাকি এই প্রসেসটার মধ্য়ে এমন অনেকে রয়েছেন, যাঁরা মমতা ব্য়ানার্জির সরকারকে কোর্টে বেইজ্জত করতে চাইছেন, দুর্বল করতে চাইছেন। নাহলে এই ধরনের ঘটনা, এই ভুল লড়াইতে রাজ্য় সরকারকে ইনভলভ করা, এটা হতে পারে না।
বিজেপির সভায় বিরোধিতা নিয়ে বিস্ফোরক কুণাল। কার্যত অন্তর্ঘাতের আশঙ্কা প্রকাশ করে, কাদের নিশানা? এতদিন বাম-কংগ্রেস অভিযোগ করত, বিজেপির সভার বিরোধিতা করে, কার্যত তাদেরই প্রচার করে দিচ্ছে তৃণমূল। কিনতু, এবার তৃণমূলের রাজ্য় সম্পাদকই যেভাবে সরাসরি সেই কথা বলে দিলেন, তাতে কি দলের অস্বস্তি বাড়বে? সেই উত্তর দেবে সময়।