নান্টু পাল ও এরশাদ আলম, বীরভূম : বিজেপির (BJP) বীরভূম সাংগঠনিক জেলার সভাপতিকে ঘিরেও এবার গাড়ি বিতর্ক! নলহাটির বহিষ্কৃত বিজেপি নেতা অনিল সিংয়ের অভিযোগ, যে গাড়িতে ধ্রুব সাহা চড়েন, সেটি মহম্মদবাজারের তৃণমূল (TMC) ব্লক সভাপতির। যদিও বিজেপির (BJP) জেলা সভাপতির দাবি, গাড়িটি তিনি তৃণমূল নেতার থেকে কিনেছেন। একই দাবি মহম্মদবাজারে তৃণমূলের ব্লক সভাপতিরও।


শুক্রবার বোলপুরের ভোলে ব্যোম রাইস মিলে একাধিক বিলাসবহুল গাড়ির সন্ধান মেলে। তারপর থেকেই অন্যের মালিকানাধীন গাড়িতে ধৃত বীরভূমের তৃণমূল সভাপতি অনুব্রত মণ্ডলের ঘুরে বেড়ানোকে ঘিরে বিতর্ক চরমে উঠেছে। এবার বিতর্ক শুরু হল বিজেপির বীরভূম সাংগঠনিক জেলার সভাপতি ধ্রুব সাহার ব্যবহার করা গাড়িটি নিয়েও! চাঞ্চল্যকর অভিযোগ তুললেন বীরভূমের বহিষ্কৃত বিজেপি নেতা অনিল সিং!


তাঁর দাবি, যে গাড়িতে ধ্রুব সাহা চড়েন, সেটির মালিক মহম্মদ বাজারের তৃণমূলের ব্লক সভাপতি! তাঁর আরও অভিযোগ, ঘুষের বিনিময়ে তৃণমূলের হয়ে কাজ করছেন বিজেপির বীরভূম সাংগঠনিক জেলার সভাপতি ধ্রুব সাহা। WB 54V2828 নম্বরের এই ইনোভা গাড়িটিই বর্তমানে ব্যবহার করেন বিজেপির বীরভূম সাংগঠনিক জেলার সভাপতি ধ্রুব সাহা। গাড়ির সামনে তাঁর নামের স্টিকারও রয়েছে। কিন্তু সরকারি তথ্য বলছে, এই গাড়ির রেজিস্ট্রেশন রয়েছে মহম্মদবাজারের ব্লক তৃণমূল সভাপতি শুভ্রাংশু চৌধুরীর নামে। 


এই প্রসঙ্গ উল্লেখ করে, নলহাটির বহিষ্কৃত বিজেপি নেতা সোশাল মিডিয়ায় পোস্ট করে বলেছেন, বিজেপি পার্টিতে অনেক পার্থ চট্টোপাধ্যায়, অনুব্রত মণ্ডলের মতো লোক আছে। তাঁদেরও শাস্তি হওয়া দরকার। যেমন বীরভূম জেলার বিজেপি সভাপতি ধ্রুব সাহা। তৃণমূলের একজন ব্লক সভাপতির থেকে এই গাড়িটা ঘুষ হিসেবে নিয়েছেন। এই গাড়িটি আজও তৃণমূল নেতার নামেই রয়েছে। তিনি বলেছেন, 'আমি এমন কোনও কাজ করি না যে আমাকে ঘুষ দিতে হবে। গাড়িটা বিক্রি করার পরিকল্পনা করি। ধ্রুব সাহা বলে গাড়ি বিক্রি করবেন না, ওটা আমি নিয়ে নেব।'


কয়েকদিন আগে দলের একাংশের বিরুদ্ধে অনেকটা একই ধরনের অভিযোগ শোনা গিয়েছিল বিজেপির কেন্দ্রীয় সম্পাদক অনুপম হাজরার গলায়। এবার অভিযোগ তুললেন ২০১৬ সালে নলহাটি কেন্দ্র থেকে বিজেপির প্রার্থী ও বর্তমানে বহিষ্কৃত বিজেপি নেতা! সব মিলিয়ে দল নির্বিশেষে গাড়ি বিতর্ক চরমে। 


আরও পড়ুন- 'একটা মার দিতে এলে, তৃণমূল নেতা-কর্মীদের ভাল করে ওষুধ দিয়ে দেবেন' হুঁশিয়ারি সুকান্তর