কলকাতাঃ অনুব্রত-র রাইসমিলে সিবিআই হানায় (CBI Raid) ইতিমধ্যেই  প্রকাশ্যে এসেছে সারি সারি বিলাসবহুল গাড়ি। অনুব্রতর বিরুদ্ধে বিস্ফোরক অভিযোগ ফোর্ড এন্ডেভারের মালিক প্রবীর মণ্ডল। তিনি বলেন, ‘ঠিকাদারির টেন্ডার পেতে ৪৬ লক্ষ টাকার গাড়ি দিয়েছিলাম অনুব্রতকে।'প্রবীর মণ্ডলের এই মন্তব্যের পরেই কড়া প্রতিক্রিয়া দিলেন শান্তনু সেন।  (Santanu Sen)। 


এদিকে প্রবীর মণ্ডলের বিস্ফোরক মন্তব্যের পরেই শান্তনু সেন বলেন, 'সরকারি কাজ পাওয়ার জন্য ঘুষ নেওয়া দেওয়া, আইনের চোখে সমান অপরাধ।'  ২০২১ এর বিধানসভা নির্বাচনে বাংলার জনতা জনার্দন তাঁদের শেষ যাত্রার গাড়িতে তুলে দিয়েছিল গাড়ির নাম্বার ঠিক করে। ২০২৪ এও ভারতবর্ষের মানুষ তাঁদের রাজনৈতিক অন্তিমযাত্রার গাড়ির নাম্বারটা ঠিক করে রেখেছে। যথাসময়ে, সেই গাড়িতে তুলে তাঁদের বিদায় দেবে।'প্রসঙ্গত, বোলপুরের ভোলে ব্যোম রাইস মিলের গ্যারাজে অনুব্রত মন্ডলের ব্যবহৃত একাধিক গাড়ি। ফোর্ড এন্ডেভার গাড়িটি প্রবীর মণ্ডলের নামে রয়েছে। অনুব্রতর  বিরুদ্ধে বিস্ফোরক অভিযোগ এনে প্রবীর মণ্ডল বলেন, ‘ঠিকাদারির টেন্ডার পেতে ৪৬ লক্ষ টাকার গাড়ি দিয়েছিলাম অনুব্রতকে। নগদ ৫ কোটি টাকাও দিয়েছিলাম। টেন্ডার না পেয়ে টাকা ফেরত চাইলে হুমকি দেন অনুব্রত। অনুব্রত হুমকি দিয়ে বলেছিলেন, গাঁজা কেস দিয়ে দেব। গাড়িতে চাপবি, নাকি প্রাণে বাঁচবি?’, অভিযোগ প্রবীরের।


আরও পড়ুন, 'দুজনের অনুপ্রেরণা একজনই', অনুব্রত-পার্থ ইস্যুতে বিস্ফোরক সুজন


এদিকে দিলীপ ঘোষ ফেসবুক পোস্টে এই প্রসঙ্গে প্রশ্ন তুলে বলেছেন, 'আপনি কি এই রাজ্যের বাসিন্দা ? আপনি কি সরকারি টেন্ডার পেয়ে ব্যবসার কথা ভাবছেন ? তাহলে জেনে রাখুন , বৈধভাবে টেন্ডারের আপনি তো পাবেন না। এমনকি শাসকদলের নেতাদের কোটি কোটি টাকা, দামি গাড়ি উপহার দিয়েও পাবেন কিনা ঠিক নেই। আপনাকে প্রাণের ভয় দেখানো হতে পারে। গাঁজার কেসও দেওয়া হতে পারে। তৃণমূলের দুর্নীতির মুকুটে আরও একটি পালক জুড়ল, বলে কটাক্ষ বিজেপির সর্ব ভারতীয় সহ সভাপতির। মূলত বৃষ্টি মাথায় করেই গতকাল অনুব্রত গড়ে রাইসমিলে অভিযান চালান সিবিআই আধিকারিকরা। আর রাইসমিলে হানা দিতে বেরিয়ে পড়ল একের পর এক বিস্ফোরক তথ্য। প্রথমে রাইস মিলে ঢুকতে পারছিলেন না সিবিআইয়ের তদন্তকারীরা। জানানো হয় প্রথমে ভিতরে কেউ নেই। ততক্ষণে প্রায় ৪০ মিনিট কেটে গিয়েছে। মিলের কর্মীরা তারপর আসেন। মিলের নিরাপত্তারক্ষীদের দাবি, তাঁদের কাছে চাবি ছিল না। চাবি এনে তারপর গেট খোলা হয়। যদিও এবিপি আনন্দের ক্যামেরায় ধরা পড়ে ভিতরে রাখা বিলাসবহুল গাড়ি। রাইস মিলে একটি শেডের মধ্যে দাঁড়িয়ে রয়েছে একাধিক এসইউভি।  দুর্নীতির টাকার সঙ্গে কি এই দামি গাড়ির সম্পর্ক রয়েছে? তা এখন খতিয়ে দেখছেন গোয়েন্দারা।